Barak UpdatesBreaking News
২১ জুলাই মানবশৃঙ্খল, ২২-এ মশাল মিছিলIn demand of fees relaxation human chain on 21 July & torch rally on 22 July
২০ জুলাই: ফি মকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র আহ্বানে মধ্যশহর সাংস্কৃতিক হলে ছাত্র – শিক্ষাবিদ – অবিভাবকদের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয় । শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন ডুনা বর্মন ।
অধ্যাপক নিরঞ্জন দত্ত তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসাম সরকার নাম কামানোর জন্য প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের বিনামাশুলে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। অথচ তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন । তারা ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষিত করানোর জন্য এই প্রকল্প চালু করলে মাঝপথে তা বন্ধ করত না ।
ফি মকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র অন্যতম উপদেষ্টা প্রোজ্জ্বল দেব বলেন, আসাম সরকারের গণতন্ত্রের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে ছাত্রদের এই দাবি মেনে নিত। কারণ রাজ্যের কলেজগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক- অধ্যাপক- অভিভাবক সবাই এই সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবি করছেন কিন্তু আসাম সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের জন্য রাজ্যের হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন বিপন্ন হতে চলেছে ।
বেক পেলেই খারাপ ছাত্র, এ ধারণা সঠিক নয়। কারণ মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাও বেক পায়। শীঘ্র তাদের দাবি মেনে না নিলে ভবিষ্যতে তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইয়াসির সভাপতি সঞ্জীব রায় । প্রাক্তন শিক্ষক সুব্রত চন্দ্র নাথ বলেন, শিক্ষাকে ব্যক্তিগতকরণ করার স্বার্থে আসাম সরকার গরিব ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাঙ্গন থেকে জোর করে তাড়িয়ে দিতে চাইছে ।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য বিশেষ কারণে উপস্থিত না হতে পারলেও এক লিখিত বিবৃতি ছাত্র সংগ্রাম কমিটির উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন । তার বার্তায় তিনি লিখেন, “ছাত্র সংগ্রাম সমিতির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমার পূর্ণ সমর্থন আছে । গরিব ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার স্বৈরাচারী চক্রান্ত পরাস্ত হোক”।
অভিভাবকদের সোনালি বণিক বলেন, যে পরিবারে দু-তিন ছেলে -মেয়ে তাদের পক্ষে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভবপর নয় । ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র উপদেষ্টা হিল্লোল ভট্টাচার্যের বক্তব্য, সরকার একদিকে দুবছর আগে বিনামাশুলে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ করে দিয়ে ভর্তি ফি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিয়েছে । দুবছর আগে যেখানে ভর্তি ফি দুই বা আড়াই হাজার টাকা ছিল তা বর্তমানে বেড়ে পাঁচ – ছয় হাজার টাকা হয়েছে । এরপর বেক পেলে বিনামাশুলে ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিতে চাইছে । বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও তাদের নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন
সভার শেষে আহ্বায়কবৃন্দের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৮৬ সালের ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জল দিন ২১ জুলাই এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানব শৃঙ্খল গড়ে তোলা হবে, শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে । এছাড়াও ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র পক্ষ থেকে আগামী ২২ জুলাই সোমবার শহিদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ থেকে নেতাজি মুর্তির পাদদেশ পর্যন্ত একটি মশাল মিছিল বের করা হবে ।