AnalyticsBreaking News
নাম বাদ পড়াদের পাশে আছি, মোবাইলে মমতাI stand besides those whose names are excluded from NRC, assures Mamata over mobile
৮ এপ্রিলঃ এনআরসি-র খসড়ায় ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে জেনেই প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই প্রতিবাদ আজও অব্যাহত আছে। তখন পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিলাম। আজও বলছি, পাশে আছি। বরাকবাসীর উদ্দেশে মোবাইলে কথাগুলি বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য শিলচর বা করিমগঞ্জে আসেননি।
সোমবার এসেছেন তাঁর প্রতিনিধি প্রতিবেশী রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পুর প্রশাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি আবার কলকাতা পুর নিগমের মেয়রও। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর প্রথম মুসলমান মেয়র। এই সাহস কংগ্রেস, সিপিএম কেউ দেখাতে পারেননি। দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁরই নির্দেশে সোমবার প্রথমে করিমগঞ্জ আসনের আলগাপুরে জনসভা করেন ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসের হায়দর ও হুগলি জেলা পরিষদের সদস্যা রুনা খাতুন। ছিলেন অসম প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি, প্রাক্তন মন্ত্রী গোপীনাথ দাসও। সেখান থেকে শিলচরে ফিরে অংশ নেন নাগরিক সভায়।
শুরুতেই ফিরহাদ মাইক্রোফোন চেয়ে নেন। পরে মোবাইলে বলেন, দিদি, তোমার ম্যাসেজে সভার কাজ শুরু হবে। মোবাইলটা মাইক্রোফোনে ধরা হল। দিদি বলতে শুরু করেন, পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনের সবকটি তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। আপনারা কিছু দিলে চেষ্টা করব, অসমের মানুষও কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মতো ভালো থাকতে পারেন।
নেত্রীর বক্তব্যের রেশ ধরেই পরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কত ভাষাভাষীর মানুষ রয়েছেন। আছেন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও। সেখানে তো কারও প্রতি কোনও বিদ্বেষ নেই। তাহলে এখানে কেন। তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তির সময় এনআরসি-র কথা বলা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু, ৩৪ বছরে পরিস্থিতি প্রচুর বদলেছে। তাঁর কথায়, অসমে বলুন আর কেন্দ্রে, বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, নিজেদের কৌশলমত কাজ করে। মূল লক্ষ্য, বিভেদ লাগিয়ে ফয়দা তোলা।
তাঁর কথায়, নথি পরীক্ষা করতে হলে শুধু বাংলাদেশি সন্দেহে কেন, দেশভাগের পুরো অঞ্চলকে ধরা হোক। মনমোহন সিংহ, লালকৃষ্ণ আডবাণীদের নথিও যাচাই হোক। এর চেয়ে বড় কথা, ১৯৭১ সালের পর যদি ৪০ লক্ষ বিদেশি এক সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়ে, তাহলে বিএসএফ, সেনাবাহিনী কী করছিল! একে তিনি রাষ্ট্রীয় অপদার্থতা বলে উল্লেখ করেন। বলেন, এর জন্য এখন প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের নথি নিয়ে ঘুরতে হবে! আর করতেই হলে শুধু রায়-পাল-চৌধুরী-মজুমদারদের নথি পরীক্ষার জন্য ডেকে পাঠানো কেন, গগৈ-সোনোয়ালদেরও নথি পরীক্ষা করা হোক।
এনআরসি-র জন্য কৃতিত্ব দাবি করায় তিনি কংগ্রেসকেও একহাত নেন। বলেন, এরা এত নির্লজ্জ! শেষে তাঁর অঙ্গীকার, বাঙালি বলে কাউকে বিদেশি তকমা এঁটে দিলে বাংলাদেশে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে চলে আসবেন। আমরা আপনাদের বরণ করে নেব।