India & World UpdatesHappeningsBreaking News
কর দিতে হয় রাষ্ট্রপতিকে? বিতর্ক উসকে দিলেন কোবিন্দ“I have to pay taxes,” comment of President Kobind evokes controversy
ওয়েটুবরাক, ২৯ জুনঃ কর দিতেই মাসে বেতনের ৫৫ শতাংশ বেরিয়ে যায়, উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়ে এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর কথায়, মাসে ৫ লক্ষ টাকা বেতন পান তিনি। এর মধ্যে করই দিতে হয় পৌনে ৩ লক্ষ টাকার।
দু’দিনের উত্তরপ্রদেশ সফর গিয়ে শনিবার কানপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কোবিন্দ নিজের বেতনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, ‘‘আপনারা জানেন, রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত কর্মী। কিন্তু রাষ্ট্রপতি করও তো দেন!মাসে পৌনে তিন লক্ষ টাকা কর দিই আমি।’’
কোবিন্দের এই মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী রাষ্ট্রপতির বেতন করের আওতায় পড়ে না। এ ছাড়া, রাষ্ট্রপতি আজীবন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য এবং আবাসন পরিষেবা পান। পদে থাকাকালীনও রাষ্ট্রপতি ভবনের কোনও খরচই তাঁকে বহন করতে হয় না। কেন্দ্রীয় বাজেটেই রাষ্ট্রপতি ভবনের জন্য আলাদা করে ২০০ কোটির বেশি বরাদ্দ করা হয়, যার মধ্যে রাষ্ট্রপতি, তাঁর কর্মী এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে কর্মরত সকলের ভাতাবাবদ ৮০ কোটিও রাখা হয়।
তবে করোনা সঙ্কটে সরকারি খরচ বাঁচাতে ২০২০ সালে ১ বছর তিনি নিজের বেতনের ৩০ শতাংশ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর সঙ্গে অবশ্য করের কোনও সম্পর্ক নেই।
President Ram Nath #Kovind Tells How Much He Gets Paid Monthly and How Much Income #Tax Is Deducted
'I get #salary of 5 lakhs per month, out of which 2,75,000 goes to tax, a teacher has more savings than us', said President Ram Nath Kovind. pic.twitter.com/B2V7X2CLro— Sandeep Seth (@sandipseth) June 28, 2021
তাঁর এই কর সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন বহু মানুষ। কংগ্রেসের জাতীয় কার্যনির্বাহক নীরজ ভাটিয়া লেখেন, ‘১৯৫১ সালের রাষ্ট্রপতির বেতন এবং পেনশন ধারায় যে তাঁর বেতন করমুক্ত, তা দেশের প্রথম নাগরিক জানেনই না?’ তবে কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে কোনও সাফাই মেলেনি এখনও পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন কোবিন্দ। সেই সময় রাষ্ট্রপতির বেতন মাসিক দেড় লক্ষ টাকা ছিল, যা তৎকালীন মন্ত্রিসভার কোনও সচিবের বেতনের চেয়ে কম ছিল। সপ্তম বেতন কমিশন চালু হওয়ার পর সে বছর অক্টোবরে রাষ্ট্রপতির বেতন বাড়িয়ে মাসিক ৫ লক্ষ টাকা করা হয়। শুধু তাই নয়, অবসর নেওয়ার পর মাসে দেড় লক্ষ টাকা করে পেনশন বরাদ্দ হয়েছে রাষ্ট্রপতি জন্য। এমনকি আইনত যিনি রাষ্ট্রপতির জীবনসঙ্গী, তাঁর জন্যও প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়াও, সাজানো বাংলো, বিমানূল্যে দু’টি ল্যান্ডলাইন এবং একটি মোবাইল, এক জন সচিব সহ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ৫ কর্মী, কর্মীদের উপর খরচের জন্য বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা, একজন সঙ্গীকে নিয়ে বিনামূল্যে বিমান ও ট্রেনে যাত্রার পরিষেবা পাবেন রাষ্ট্রপতি।