Barak UpdatesHappeningsBreaking News
স্বেচ্ছাসেবীরাই শয্যাশায়ী মায়ের কাছে নিয়ে গেলেন আইনজীবী পুত্রকেHeart touching incident: Son meets 95 years old ailing mother after 25 long years
Mother's love is indeed priceless
ওয়েটুবরাক, ৭ জুনঃ বোনেদের আবেদনে সাড়া না দিলেও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর প্রচেষ্টায় মাকে দেখতে গেলেন করিমগঞ্জের আইনজীবী রঞ্জিত পুরকায়স্থ৷ ৯৫ বছরের বৃদ্ধ মায়ের তাতেই শান্তি। অনেকদিন ধরে শয্যাশায়ী চামেলি পুরকায়স্থ৷ দিনদিন অবস্থার অবনতি৷ এখন তাঁর একটাই প্রত্যাশা, বড় ছেলের মুখটা একটিবারের জন্য দেখা৷ ছোট ছেলে তো দীর্ঘকাল ধরেই নিখোঁজ৷
রঞ্জিতের সঙ্গেই ছিলেন মা ও দুই বোন। কিন্তু আড়াই দশক আগে অভিমান ভরে বাড়ি ছেড়েছিলেন, আর যাননি। করিমগঞ্জ শহরে ভাড়া থাকছেন। এখন আর আদালতে যেতে পারেন না। প্রচণ্ড কোমরের যন্ত্রণা৷ আজকাল কানেও শুনতে পান না।
এ দিকে, তাঁদের খবর রাখায় ছেলের আগ্রহ নেই দেখে চামেলিদেবীও মেয়েদের নিয়ে বদরপুর থেকে সোনাখিরায় চলে আসেন। কিন্তু মায়ের মন বলে কথা। শয্যাশায়ী হতেই ছেলের জন্য মন অস্থির হয়ে ওঠে। দিনরাত তাঁকেই ডেকে চলেছেন৷ মায়ের অবস্থা দেখে মেয়েরা দাদার মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করেন। “দাদা কানে শুনতে পান না” বলেই বৌদি ফোন রেখে দেন। শেষে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেন। শয্যাশায়ী মায়ের ভিডিয়ো তৈরি করে দাদার উদ্দেশে আহ্বান জানান, “একবার এসে মায়ের মুখে এক চামচ জল দিয়ে যাও। তাঁর কষ্টটা যে আর সইতে পারছি না।”
ওই ব্যতিক্রমী আহ্বান দেখেই সাংবাদিকরা ছুটে যান সোনাখিরার বাড়িতে। রবিনহুড আর্মি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুঁজে বের করে রঞ্জিত পুরকায়স্থের বাড়ি। বোনেদের আহ্বান তিনি অবশ্য আগেই জেনে গিয়েছেন। তাতে অভিমান দূর হওয়ার বদলে বরং তাঁর জেদটাই বেড়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সুজন দেবরায়, দেবদুলাল দাসদের বারবার প্রশ্ন করেন, বোনেরা ফেসবুকে তাঁর নাম উল্লেখ করে এ সব দিতে গেল কেন? শেষে অবশ্য তাঁরাই রঞ্জিতবাবুকে মাতৃদর্শনে রাজি করান। নিয়ে যান করিমগঞ্জ থেকে সোনাখিরায়।