Barak UpdatesHappeningsBreaking News
যাযাবরদের জন্য স্বাস্থ্য শিবির, থার্মাল স্ক্রিনিংHealth camp & thermal screening for nomads near NIT Silchar
25 এপ্রিলঃ বেশ কিছুদিন ধরে শিলচর এনআইটি সংলগ্ল খোলামাঠে আস্তানা গেড়েছে একদল যাযাবর। লকডাউনে তাদের অসহায়ত্ব বেড়ে গিয়েছে। তাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন সক্ষম এবং জনশিক্ষণ সংস্থানে কর্মকর্তারা। তখনই তাদের নজরে আসে, যাযাবর শিশুগুলি নানা ধরনের রোগে ভুগছে। বিশেষ করে প্রায় প্রত্যেকের চর্মরোগ। সক্ষমের প্রধান কর্মকর্তা মিঠুন রায় এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার এনআইটি সংলগ্ন ওই খোলা মাঠে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। টাস্কফোর্সের ছয়জন চিকিতসক বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে বিভিন্ন বয়সের যাযাবরদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। সঙ্গে সকলের থার্মাল টেস্টও হয়। তবে কারও তাপমাত্রা বা অন্যান্য উপসর্গ আশঙ্কাজনক ছিল না। ফলে সবাইকে নেগেটিভ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ দিন শিবিরে যান স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডা. সুদীপজ্যোতি দাস, জেলা সার্ভেল্যান্স অফিসার ডা. অজিত ভট্টাচার্যও। তাঁরা করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যাযাবরদের অবগত করান এবং সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন। শ-দেড়েক রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। শিশুদের অনেকেরই নানা রকমের চর্মরোগ, রয়েছে অপুষ্টির সমস্যাও। স্বাস্থ্যবিভাগ তাদের মালটি-ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করে। তিনজন প্রসূতিও শিবিরে চিকিতসকদের পরামর্শ নেন। লকডাউন খুললেই মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে তাদের নাম লেখাতে বলা হয়। কারণ সম্পূর্ণ বিনা খরচে প্রসূতিদের নিয়মিত চিকিতসার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।
শ্রমবিভাগের কর্মকর্তারাও শনিবার তাদের খোঁজখবর নিতে যান। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র চারজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাও বিহারের। তাতে অবশ্য সমস্যা নেই। সরকারি কর্তারা ওই চারজনের নাম, ব্যাঙ্ক বিবরণ নিয়ে যান। জানান, শুধু তাদেরই সরকারি তরফে আটকে যাওয়া ভিনরাজ্যের শ্রমিক হিসেবে সাহায্য করা সম্ভব। তারা তা শীঘ্র করবেন।