কোভিডে কর্মহীন মানুষ, এই সময়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখতে সিআরপিসিসির আর্জি

ওয়েটুবরাক, ৯ জুন: রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দরিদ্র মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে বেআইনি ভাবে  উচ্ছেদ করার ঘটনার নিন্দায় মুখর হয়েছে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসাম৷ সভাপতি ড. তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, কোভিড মহামারির সময়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পর্যাপ্ত সরকারি সাহায্যের অভাবে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন, ঠিক তখনই আসাম সরকার নির্দয়ভাবে করিমগঞ্জ, হোজাই ও শোণিতপুর জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণকে অবৈধ দখলদার ও বিদেশি তকমা লাগিয়ে উচ্ছেদ করছে। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার একমাসের মধ্যেই রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার, নাগরিকত্ব ও বাস্তুভিটা কেড়ে নেওয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে।

উচ্ছেদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম কোনও লিখিত নোটিশ জারি না করেই সংখ্যালঘু জনসাধারণকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে৷ এর পেছনে সরকার যে যুক্তিই দেখাক না কেন, তাদের আসল উদ্দেশ্য অনসমিয়া জনগণকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা। তিনি এও বলেন, এনআরসি তালিকা তৈরির দীর্ঘদিন পরও তালিকাভুক্ত তিন কোটি এগারো লক্ষ নাগরিকের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করতে আরজিআই-এর পক্ষ থেকে নোটিশ প্রদানের সুপারিশ না করে রাজ্য সরকার  পুনরায় সীমান্তবর্তী জেলার ২০ শতাংশ ও অন্যান্য জেলার ১০ শতাংশ নাগরিকের নথিপত্র যাচাই করার আবেদন জানিয়েছে৷ এর পেছনে রয়েছে রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার গভীর চক্রান্ত।

ড. তপোধীর ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিরোধী অবস্থানের বিরুদ্ধে রাজ্যের গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন সচেতন নাগরিক ও সংগঠনগুলোকে এগিয়ে এসে যৌথভাবে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করতে আহ্বান জানান। পাশাপাশি অমানবিক ও বেআইনি উচ্ছেদ বন্ধ করতে আসাম সরকারের নিকট জোরালো দাবি জানান।