India & World UpdatesHappeningsBreaking News
লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলেও চলাচল অবাধ নয়, মুখ্যমন্ত্রীদের মোদিEven after lockdown some restrictions may be there on movement: PM
শিলচর, 2 এপ্রিল: লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলেও অবাধ বিচরণ নয়। একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বিষয়টি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে লকডাউনের পূর্ব নির্ধারিত সময় শেষ হতে। ফলে করোনা মোকাবিলায় এক বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে রাজ্যগুলো। গবেষকদের পরামর্শ মেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে না চললে দিন দিন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিন, প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ছিল, কারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের খুঁজে বের করতে জেলা স্তরে অবিলম্বে একজন অফিসার নিয়োগ করুন। করোনা টেস্টিংয়ের জন্য অনুমোদিত জেলার বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলি থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করা হোক। সেই তথ্যগুলি ভালভাবে যাচাই করে নিতে হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
Had an extensive interaction with Chief Ministers of various states. The Centre and all the states are working in close cooperation to battle the COVID-19 menace. We are doing everything possible to ensure a healthy India. https://t.co/N05Wxu3Civ
— Narendra Modi (@narendramodi) April 2, 2020
মোদি বলেন, লকডাউনের ফলে ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কিছুটা সাফল্য পাওয়া গিয়েছে ঠিকই। একটা পর্যায় অবধি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে কোভিডি-১৯ সংক্রমণ। রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারি উপশমের সংকেত মোটেই শুভ নয়। বিজ্ঞানীরা এমনও বলছেন, কোনও কোনও দেশে দ্বিতীয়বার ওই মহামারি ফিরে আসতে পারে। ফলে লকডাউন শেষ হওয়ার পরে আমাদের দেশে যাতে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য এব্যাপারে ‘এক্সিট স্ট্র্যাটেজি’ তৈরি করা জরুরি। এই বিষয়ে রাজ্যগুলির কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, পরীক্ষা, রোগীকে খুঁজে বার করা, তাঁদের বিচ্ছিন্ন করা ও কোয়ারেন্টাইন করার ওপরে আগামী কয়েক সপ্তাহ সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এই কাজকে ফুলপ্রুফ করতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে প্রতি মুহুর্তে সহযোগিতা করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। প্রধানমন্ত্রী এও স্পষ্ট করেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে, এই হাসপাতালগুলোতে যাতে কোনও কিছুর অভাব না হয়, প্রত্যেক রাজ্যকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। চলতি মাসেই বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার, জানান তিনি।
করোনা যুদ্ধে এনসিসি ও ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্য নেওয়ার জন্যও রাজ্যগুলিকে বলেন প্রধানমন্ত্রী। এঁদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে পরামর্শ দেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দেন।
প্রসঙ্গত, লকডাউন সময়সীমা শেষ হচ্ছে চৌদ্দ এপ্রিল। অথচ, এব্যাপারে সচেতন নন একাংশ মানুষ। নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রচন্ড চাপে ফেলে দিয়েছে সরকারকে। এই অবস্থায়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদি।