Barak UpdatesBreaking News

পঞ্চায়েতে প্রার্থীচয়নে সন্তাননীতি নয়, শিক্ষাতেই সমস্যা
Educational qualification a great hurdle in choosing candidates for Panchayat polls

১১ নভেম্বরঃ অসমে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য শর্ত চাপানোয় সঙ্কটে রাজনৈতিক দলগুলি।

একে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, প্রার্থী হতে গেলে বাড়িতে শৌচালয় থাকা বাধ্যতামূলক। তৃতীয়ত, দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলে দাঁড়ানো যাবে না।

ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার দরুন সব রাজনৈতিক দলই প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করে নিতে চাইছে। কিন্তু শর্ত মিটিয়ে প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। এতদিন তৃতীয় শর্ত নিয়েই চর্চা চলছিল রাজ্যের ভেতরে-বাইরে। এখন দেখা যাচ্ছে, সন্তান-নীতির চেয়ে বেশি সঙ্কট হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতায়। কারণ নতুন আইনে ২০১৮-র মার্চের পরে তৃতীয় সন্তান না হলেই হল। এই ৮-৯ মাসে কত সম্ভাব্য প্রার্থীর আর তৃতীয় সন্তান হয়েছে! কিন্তু বাদ সাধছে পড়াশোনার কলাম। বিশেষ করে, মহিলা সংরক্ষিত আসনে এমনিতেই অনেক জায়গায় প্রার্থী খুঁজে পাওয়া কঠিন। বাধ্য হয়ে সম্ভাব্য পুরুষ প্রার্থীর স্ত্রীকে দাঁড় করাতে হয়। এ বার মনোনয়ন পত্রে নথিপত্র জমা দিয়ে জানাতে হবে, প্রার্থী কতটুকু পড়াশোনা করেছেন। আর সে জায়গাতেই আটকে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি।

জেলা পরিষদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থীর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হওয়া বাধ্যতামূলক। আঞ্চলিক পঞ্চায়েতে চাই মাধ্যমিক পাশ। আর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য অন্তত ষষ্ঠ শ্রেণি উত্তীর্ণ। মহিলাদের জন্য পৃথক কোনও ব্যাপার নেই। শুধু তফশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি, এমওবিসি প্রার্থীদের গ্রাম পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নেই। তাদের আঞ্চলিক পঞ্চায়েতে দাঁড়ানোর জন্য চাই অষ্টম শ্রেণির যোগ্যতা। জেলা পরিষদের জন্য মাধ্যমিক পাশ।

এই শর্ত পূরণ করা প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে হিমসিম অবস্থা সব রাজনৈতিক দলের। যেমন বিজেপি, তেমনি কংগ্রেস। সঙ্কটের কথা খোলাখুলি না বললেও রাজনৈতিক দলগুলোর অন্দরে উঁকি দিলেই দেখা যায়, সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব কিনা, আশঙ্কায় নেতারা। কংগ্রেস নেতা পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী, সীমান্ত ভট্টাচার্যরা প্রথমে দাবি করেন, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের সব স্তরের সব আসনে চারগুণ দাবিদার রয়েছেন তাঁদের হাতে। শর্তের কথা মনে করিয়ে দিতেই বলেন, গ্রামেগঞ্জের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ছাড়া এই ধরনের শর্ত চাপানো যুক্তিহীন। সব বাড়িতে শৌচালয়ের অর্থই হল অতি সাধারণ মানুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্যও যে মুশকিলে পড়তে হয়েছে, স্বীকার করেন তাও।

বিজেপি নেতা, রাজ্যের বন-পরিবেশ ও আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য খোলামেলা বলেন, মহিলা প্রার্থী খুঁজে বের করতে গিয়ে বিজেপিতেও সমস্যা হচ্ছে। তাঁর সংযোজন, তাই বলে গ্রামের মহিলারা কম শিক্ষিত নন। কিন্তু তাঁরা ঘর-সংসার সামলে ভোটে আগ্রহ দেখান না। ফলে বাছাইয়ের সুযোগ কম থাকে।

November 11: The political parties are in deep crisis primarily because of three stringent criteria set up by State Election Commission of Assam.The Commission has made its mandatory of having a usable sanitary toilet at home along with a two-child norm and specific educational qualification for all aspiring candidates of the forthcoming panchayat polls.

This year it has been made mandatory for the aspiring candidate to submit documentary evidence of his/her educational qualification along with the nomination papers and this has become a hurdle in choosing suitable candidates by the political parties. Further, the parties will have to match the other 2 pre-conditions also before distributing the tickets. As such, for becoming eligible as a candidate of the panchayat polls, he/she ought to satisfy all 3 norms.

The Panchayat (Amendment) Bill passed by Assam Assembly, determined minimum education qualification for a person aspiring to become a member of village panchayat, president of village panchayat, member of Zila Parishad and president of Zila Parishad.

As per the amendment Bill, a person from general category must have passed Class-VI to be able to become a member of village panchayat while there is no minimum education qualification fixed for persons from backward communities. To become the president of Gaon Panchayat or a member of Anchalik Panchayat, a general category person must have passed Class X while the minimum qualification for aspirants from backward communities is Class VIII pass. The minimum education qualification for aspirants from general category to contest election to Zila Parishads should be Higher Secondary (Class XII) qualified while the same for backward communities is HSLC (Class X) qualified.

This has been the cause of concern both for the Congress and BJP. Although none of them are coming up with any public statements, yet a careful observation revealed that the parties are not in a position to offer candidates in all the seats. Congress leaders Partha Ranjan Chakraborty and Simanta Bhattacharjee initially claimed that they has 3 times more aspirants than the required number of seats in their hand. However, when they were reminded of these 3 prime conditions, they commented that without improving the socioe-conomic status of the rural populace, such kind of conditions are meaningless.The Bill also has made it mandatory for panchayat aspirants to have usable sanitary toilets in their homes. This means that ordinary people of the village will not be able to satisfy this criteria. They also accepted that they are in serious crisis to find candidates who are able to satisfy all the three conditions.

BJP leader and State Cabinet Miister Parimal Suklabaidya candidly confessed that BJP is also finding problem to find out women candidates. He, however, added that this does not mean that the rural women are less qualified. Infact, more often the women folk after maintaining their family does not show interest to come out and contest polls.

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker