India & World UpdatesBreaking News

কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপির অনুষ্ঠান দ্বিগুণ সম্প্রচার! নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের মুখে ডিডি নিউজ
EC directs Doordarshan to “desist” from extending preferential coverage to BJP

১৫ এপ্রিলঃ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর গত এক মাসে ডিডি নিউজ শাসক দল বিজেপির বিভিন্ন অনুষ্ঠান ১৬০ ঘণ্টা সম্প্রচার করেছে। ঠিক এর পরের স্থানটিতে রয়েছে কংগ্রেসের অনুষ্ঠান সম্প্রচার। কিন্তু তা তুলনায় অনেক কম। ৮০ ঘণ্টা সম্প্রচার করা হয়েছে কংগ্রেসের অনুষ্ঠান। তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে সিপিএম। তাদের জন্য অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়েছে ৮ ঘণ্টা।

গত ৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে ডিডি নিউজ যে হিসেব দিয়েছে, সে অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর অর্থাৎ আদর্শ নির্বাচনবিধি চালু হওয়ার পর থেকে ডিডি নিউজ এবং তার আঞ্চলিক শাখার চ্যানেলগুলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি সম্প্রচার করার এই তালিকা পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাত দেখানো যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময়ের মধ্যেও যেন মাত্রাতিরিক্ত ব্যবধান না থাকে। ডিডি-র দেওয়া হিসেবে কমিশনের এই নিয়মই লঙ্ঘিত হয়েছে। ঘণ্টার হিসেবে প্রথম এবং দ্বিতীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য থাকা সত্তেও সংশ্লিষ্ট সম্প্রচার সংস্থা জানিয়েছে, তাঁদের তরফে কোনও নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাত ছিল না।

সংস্থার এক আধিকারিকের বলেছেন, লোকসভায় বিজেপির আসন বেশি, তাছাড়া দেশের মোট ১৬টি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। তাই সময়ের ভিত্তিতে কভারেজ বিচার করলে বিজেপির এগিয়ে থাকা অস্বাভাবিক নয়। তিনি আরও বলেন, “বিজেপির সঙ্গে বাকি সমস্ত রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময়ের তুলনা করলে দেখা যাবে ভারসাম্য রয়েছে”। নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের মুখে প্রসার ভারতীর সিইও শশী শেখর ভেম্পতি জানিয়েছেন, কভারেজ একটা চলমান পদ্ধতি। আমাদের ৩০টির বেশি চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচার করলে সঠিক হিসেব পাওয়া যাবে না”।

ডিডি নিউজ বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাচ্ছে— কংগ্রেসের তরফে এরকম অভিযোগ এলে নির্বাচন কমিশন চ্যানেলের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চায়। এর আগে সিপিএম এর সীতারাম ইয়েচুরি দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, যতটা জোর দিয়ে মোদির মিশন শক্তি নিয়ে দেওয়া ভাষণ সম্প্রচার করেছিল, ততটাই জোর দিয়ে তাঁদের দলীয় ভাষণ এবং বিবৃতিকে সম্প্রচার করা হোক।

এদিকে, ৩১ মার্চ জাতির উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদির ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ ভাষণ কেন সম্প্রচার করা হল কয়েক ঘণ্টা ধরে, ডিডি নিউজের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, “শুধুমাত্র মোদির ব্যক্তিগত কৃতিত্ব তুলে ধরার জন্য এই সম্প্রচার করা হয়েছে”। আরও অভিযোগ, ডিডি নিউজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে মোদির ভাষণের লাইভ দেখানো হয়েছে এবং চ্যানেলের অফিসিয়াল সোশাল হ্যান্ডেলে তার প্রচারও চালানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিডি জানিয়েছে, খবরের উপযোগী হওয়ায় এএনআই এর কাছ থেকে তা সম্প্রচার করা হয়েছিল, ঠিক যেভাবে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল।

April 15: The Election Commission directed State-run Doordarshan (DD) to “desist” from extending any preferential or disproportionate airtime coverage in favour of any party. In a strongly-worded letter to secretary, Information and Broadcasting Ministry, the EC said, “Would like you (secy) to direct the DD news channel to desist from extending any preferential or disproportionate airtime coverage in favour of any party and extend commensurate and balanced coverage of the activities of all recognised political parties…”

The Congress had asked the EC earlier this month to issue urgent and necessary directions to the Information and Broadcasting Ministry and Prasar Bharti (DD News), and for further passing of strictures or censures against Modi and the ruling BJP for “using government-owned news channels as a tool to promote and advertise their election campaign”.

The “Main Bhi Chowkidar” programme of the prime minister was broadcast live on DD News and its YouTube channel, and was even promoted on the social media handles of DD News, a Congress memorandum submitted to the poll panel had said. “This broadcast undermines the fundamental task which falls to the commission: to ensure a level-playing field for all candidates and political parties,” it had said.

“It was noted from the report that the airtime coverage given to various political parties is disproportionate and not balanced, which is not in accordance with the principle of maintaining neutrality and a level playing field, especially in the context of the provisions of MCC,” the EC said.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker