Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে হাসপাতালের শয্যা: সব নথি রেখেও বিধিলিপি কানু পালের!Detention Camp to Hospital bed: Tale of sorrow of Kanu Paul after having all documents
১৫ ফেব্রুয়ারি: ১৯৬৫ সালে জমি কিনেছিলেন হাইলাকান্দি জেলার কারিছড়ার কানু পাল৷ সেই দলিল সযত্নে রাখা৷ মূল্যবান নথির ফাইলে রয়েছে বাবার সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেটটিও৷ না, ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কিছুই দেখতে চায়নি৷ একতরফা রায়ে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে বিদেশি বলে ঘোষণা করে৷ কিছু জানা-বোঝার আগেই ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ৷ সোজা শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে৷
চার কন্যা কানুবাবুর৷ তিনজনের বিয়ে হলেও এক মেয়ে অবিবাহিত৷ আগে থেকেই তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোতো৷ তবু কানুবাবু দিনমজুরি করে সংসার টানছিলেন৷ তাঁর কারাবাসের দরুন মা-মেয়ের খাবার জোটানো মুশকিল৷ তাই নাগরিকত্ব প্রমাণে উপযুক্ত নথি থাকলেও ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস পায়নি৷
এর মধ্যে ডিটেনশন ক্যাম্পে অসুস্থ হয়ে পড়েন কানু পাল৷ একে তো বার্ধক্যজনিত রোগে শয্যাশায়ীই ছিলেন৷ এর ওপর, ১২ ফেব্রুয়ারি একদিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ প্যারালাইসিস।
মেডিক্যালে ভর্তি হলেও ডিটেনশন ক্যাম্পের রোগীটির দিকে নজর দেওয়ার যেন সুযোগ মেলেনি৷ খবর পেয়ে হাইলাকান্দির বাসিন্দা (বর্তমানে শিলচরে বাসরত) সৌমিত্র দ্ত্ত রায় (বাপ্পি), শুভ্রাংশু ভট্টাচার্য (টাবু), পল্লবিতা শর্মা, যজ্ঞেশ্বর দেব এবং আরও অনেকে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন৷ এর দরুন বর্তমানে অবশ্য উন্নত চিকিৎসা পরিষেবাই পাচ্ছেন৷ তার মুক্তির জন্য এখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে৷ তাতে সহযোগিতা করছেন হাইলাকান্দির আইনজীবী শেখর ধর ।