Barak UpdatesHappeningsBreaking News
স্পা-র নামে যৌনতা, দুই জোড়া যুবাকে ধরে জেলে পাঠাল পুলিশ
১৭ ডিসেম্বরঃ স্পা-র নামে ব্ল্যাকমেলিঙের ব্যবসা ফেঁদেছিলেন ন্যাশনাল হাইওয়ের দম্পতি। এ বার প্রেমতলা গোলদীঘি মলের আরএন হেভেন স্পা থেকে ধরা পড়ল এক জোড়া যুবক-যুবতী। স্পা-র নামে যৌনতায় মেতে উঠেছিল এরা। পুলিশ আপত্তিকর অবস্থায় গ্রেফতার করে এদের। ধৃত মণিকা রাভা, মিনতি দাস, আলি আহমেদ বড়ভুইয়া এবং মনসুরুর আহমেদকে বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারকের নির্দেশে শিলচর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে অভিযান চালিয়ে পাশের এক স্পা থেকেও একজোড়া যুবা এবং স্পা-মালিককে তুলে এনেছিল পুলিশ। তবে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল এবং জেরায় কোনও অসঙ্গতি না পাওয়ায় তিনজনকেই থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ধৃত ২৭ বছরের মণিকা মূলত গুয়াহাটির বাসিন্দা, শিলচরে থাকতেন ওয়াটার ওয়ার্কস রোডে। ২৪ বছরের মিনতির বাড়ি করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়িতে। অন্যদিকে ২৪ বছরের খদ্দের আলি আহমেদের ঠিকানা উজানগ্রাম, মাসিমপুর। ২২ বছরের মনসুরুরের বাড়ি করিমগঞ্জ জেলার আছিমগঞ্জে।
শিলচর শহরে অপরাধের মাত্রা বেড়ে চলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ জনতা। বিশেষ করে, অবৈধ যৌনতার সুযোগ অবাধ ও নিত্যনতুন রূপে হাজির হতে দেখে অভিভাবকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। কিছুদিন আগে প্রেমতলাতেই চিটচাট সাইবার কাফেতে একজোড়া কলেজপড়ুয়া যুবক-যুবতী ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় যুবতীটিকে অভিভাববকের হাতে তুলে দিলেও যুবক এবং কাফে মালিককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। যুবকটি অবশ্য এ সপ্তাহেই জামিনে মুক্তি পায়।
শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল এই সব ঘটনায় পুলিশকে কঠোর হতে বলেছেন। তিনি জানান, চিটচাট কাণ্ডের পরই তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। এই ধরনের অন্যান্য ঠেকগুলিকে চিহ্নিত করে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে বলেছিলেন।
পুলিশ সুপার বিএল মিনা জানান, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তক্রমে অভিযানে নেমেছে। দ্রুত সমস্ত অবৈধ ঠেকে হানা দেবেন তাঁরা এবং তা নিয়মিত চলতে থাকবে।