Barak UpdatesIndia & World UpdatesAnalyticsBreaking News
এ বার বরাকে প্রার্থী দিচ্ছে না সিপিএমCPM refrains from contesting Lok Sabha polls in Barak Valley
অথচ এক সময় শিলচর আসন থেকে সিপিএম লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেছে। বিধানসভা ভোটে একসঙ্গে ৪জন জেতেন। লোকসভার কথা ১৯৭৪ সালের। উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী নুরুল হুদা। ১৯৯১ সালেও তিনি ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। আর ১৯৭৮ সালে উপত্যকায় দলের ৪জন বিধায়ক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে অবশ্য আর কেউ সিপিএম টিকিটে জেতেননি। তবে বিভিন্ন আসনে তারা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হন। করিমগঞ্জ সংসদীয় আসনেও সিপিএম কখনও জিততে পারেনি বটে, কিন্তু ১৯৭১ ও ১৯৮০ সালে দ্বিতীয় স্থানে ছিল।
নুরুল হুদা ছাড়াও অসম থেকে লোকসভায় যান সিপিএমের উদ্ধব বর্মন। বরপেটা আসনে তিনি দুইবার জেতেন। সেখানেও দল প্রার্থী দিচ্ছে না এ বার। সিপিএম ভোট ক্রমাগত কমে আসাই এমন সিদ্ধান্তের কারণ। কেন কমছে, এ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা শোনা যায়। একাংশ দলীয় নেতার বক্তব্য, ভোট এখন আর চিন্তাভাবনা, প্রার্থীর গুণাগুণ বিচারে হয় না। রাজ্যে চলছে হিন্দু-মুসলমানের মেরুকরণ। সেখানে সিপিএম ব্রাত্য। অন্য অংশের দাবি, লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেই ভোট কম। উদাহরণ হিসেবে তারা শিলচর লোকসভা আসনকেই তুলে ধরেন। এখানে ১৯৯৬ সালে সিপিএম ২১.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
১৯৯৮ সালে পায় ২৭.৮ শতাংশ। কিন্তু ১৯৯৯ সালে দল প্রার্থী না দিয়ে নির্দল আব্দুল মুহিব মজুমদারকে সমর্থন জানায়। সেই যে সিপিএম ভোটারদের অন্য চিহ্নের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, ওই ভোট আর ফিরে আসেনি। ফলে ২০০৪ সালের নির্বাচনে নুরুল হুদা মাত্র ৩.৩ শতাংশ ভোট পান। সেখান থেকে আর উঠে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি সিপিএমের। এ বার প্রার্থী না দেওয়ায় আগামী দিনে সংগঠনের চেহারা কী দাঁড়াবে, সে নিয়েও চিন্তায় দলের স্থানীয় নেতাদের অনেকে।