Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করোনা থাবা বরাকের বিএসএফ-আর্মিতেও, আরও ১৯ পজিটিভ কাছাড়ে COVID-19 now enters BSF & Army in Barak, total 19 +ve in Cachar
২৭ জুনঃ করোনা এ বার বরাক উপত্যকার বিএসএফ-আর্মিদের মধ্যেও থাবা বসিয়েছে। শনিবার শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ১৯ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে ১৫ জনই আর্মি-বিএসএফ। ১১ জন বিএসএফ এবং ৪ জন সেনা জওয়ান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন চৌধুরী জানান, সেনা জওয়ানদের মাসিমপুরস্থিত সেনা হাসপাতালেই চিকিতসা করা হবে। বাকিদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে আনা হচ্ছে।
বিএসএফ-আর্মি ছাড়াও আর একজন উর্দিধারী রয়েছেন তালিকায়। তিনি আসাম পুলিশের কনস্টেবল আস্রাফুল আলম বড়ভুইয়া। কাছাড়ের জয়পুর থানায় কর্মরত৷ শনিবার যে ১৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে, একমাত্র তাঁরই সংক্রমণের উৎস জানা যায়নি৷ আসাম টার্গেটেড সার্ভেল্যান্স প্রোগ্রামে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ পজিটিভ ধরা পড়ায় এরই মধ্যে শ্রীকোণার বাড়ি থেকে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছে৷ সুমনবাবু বললেন, তাঁর সংক্রমণের উৎস জানতে স্বাস্থ্যবিভাগ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷
সাধারণ নাগরিক পজিটিভ রয়েছেন তিনজন৷ তাঁরা হলেন কাটিগড়া তারিণীপুরের তাজিমউদ্দিন তালুকদার (২৩), ধলাই রাজনগরের বাহারউদ্দিন লস্কর (৩৭) এবং ধলাই বসালের আব্দুল কাসিম বড়ভুইয়া (২৮)৷ তাজিমউদ্দিন ও আব্দুল কাসিম বেঙ্গালুরু ফেরত৷ বাহারউদ্দিন এসেছেন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে৷
বিএসএফ জওয়ানরা হলেন নন্দ লাল (৫৪), মুন্সি রাম (৫৩), সুদীপ্ত নাথ (৩২), অশোক কুমার (৪৭), দেবেন্দ্র সিং (৫৬), বিশাল ঝা (২৭), রাধে শ্যাম (৩৯), তেজ সিং (৩৫), সুনীল কুমার (৩১), দেবী লাল (৫২) এবং প্রণয় সরকার (৩৮)৷ তাঁরা সবাই ধলছড়া প্রথম ব্যাটেলিয়নে কর্মরত৷ কেউ এসেছেন দিল্লি, কেউ রাজস্থান থেকে৷ মাসিমপুর সেনা কোয়রান্টাইনে ছিলেন রবীন্দ্র রেড্ডি (৩৩), সন্দীপ (২৭), জিজেশ (২৫) ও উমেশ কামবার (৩৬)৷ তাঁরা পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংশ্রবে ছিলেন৷ সে জন্যই তাদের লালারস সংগ্রহ করে সেনাশিবিরের ভেতরেই কোয়রান্টাইন করা হয়েছিল৷
বিএসএফ-আর্মিতে ১৫ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের ঘটনায় সাধারণ জনতার মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ কারণ দিল্লি হোক বা ত্রিপুরা, সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়তেই তা ব্যাপক আকার নেয়৷ সংখ্যাটা দ্রুত লাফিয়ে বাড়ে৷ তাতে স্বাস্থ্যসেবা সহ নানা ক্ষেত্রে চাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা৷