India & World UpdatesHappeningsBreaking News
বন্ধ লালকেল্লা-তাজমহল, দু’শ জাদুঘর বন্ধ করছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগCorona: Taj Mahal, Red Fort shut, 200 museums closed by ASI
১৭ মার্চ : করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবার দেশের সব স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক স্থানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। করোনা আতঙ্কে দেশের অধিকাংশ স্কুল কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সিনেমা হলগুলিও। অধিকাংশ অফিস কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে দেশের সব স্মৃতিসৌধ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ অর্থাৎ এএসআই। এর আওতায় পড়ছে তাজমহল, লালকেল্লা, কুতুব মিনারের মতো সৌধও।
এছাড়া ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইট অজন্তা, ইলোরা, হাম্পির মতো স্থানগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের ২০০টি জাদুঘর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৩ হাজার সৌধ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল।
তবে ঐতিহাসিক স্থান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই প্রথমবার নেয়নি। এর আগে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ ছিল তাজমহল। ওড়িশা, কর্ণাটক ও কেরলের একাধিক সৌধও বহুবার বন্ধ করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। যদিও করোনা সংক্রমণ এড়াতে সোমবারই মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের সব দর্শনীয় স্থান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অজন্তা-ইলোরা-সহ গুহাগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ঔরঙ্গাবাদের বিবি-কা-মকবারা ও দেবগিরির দুর্গ।
মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ১৯ মার্চ থেকে ঔরঙ্গাবাদের সমস্ত স্মৃতি সৌধ বন্ধের ঘোষণা করা হয়। করোনার জেরে ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির। সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আদেশ বন্দেকার বলেন, ‘মন্দিরে আসা ভক্তদের আধ ঘণ্টা অন্তর হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে বলা হচ্ছে। রক্ষীদেরও মাস্ক দিয়ে তাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সোমবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সব জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলে ধর্মীয়স্থান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজনৈতিক মিছিল হোক বা কোনও মিটিং, সবক্ষেত্রেই এই নিয়ম মেনে করোনার সংক্রমণ রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।