NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
মিজো শিশুদের মধ্যে করোনা বাড়ছে, উদ্বেগে শিলচর মেডিক্যালCorona spreading among Mizo children, anxious Silchar Medical College
এই ধরনের পরিস্থিতি বরাকে হলে কী ভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব, তা ভেবে এখনই কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছেAt least 176 children were among the newly infected people in Mizoram
ওয়েটুবরাক, ৩ সেপ্টেম্বর : অসমের কাছাড় জেলায় ১ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ২৪১ জন৷ ১ সেপ্টেম্বর তা ১১৩-তে নেমে আসে৷ একই অবস্থা করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি জেলাতেও৷ কিন্তু মিজোরামে চিত্রটা ভিন্ন৷ প্রতিবেশী রাজ্যটিতে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে৷ বুধবার সেখানে ৮৮০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন৷ তাদের মধ্যে রয়েছে ১৭৬টি শিশুও৷ মোট রোগীর ২০ শতাংশ শিশু হওয়াকে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষরা৷ তাঁদের কথায়, বরাক উপত্যকায় কোভিড কমলেও তাঁরা স্বস্তিতে নেই৷ মিজোরামে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা বাজে সংকেত বলেই মনে করছেন তাঁরা৷
অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া জানান, এই ধরনের পরিস্থিতি বরাকে হলে কী ভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব, তা ভেবে এখনই কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজে শিশুদের জন্য আগেই ১০টি আইসিইউ-বেড ছিল৷ কোভিড পরিস্থিতিতে তৈরি করা হয়েছে আরও ৮টি ৷ এখন তৃতীয় ঢেউ শিশুদের বেশি আক্রান্ত করলে বা এর আগেই মিজোরামের মত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় আরও ৪০ বেডের শিশু-আইসিইউ তৈরি করা হচ্ছে৷ অধ্যক্ষ বেজবরুয়া বলেন, মিজোরামের পরিস্থিতি সুবিধের ঠেকছে না বলে দ্রুত এর কাজ শুরু করিয়েছেন৷ তিনি আশা করছেন, আগামী সপ্তাহে পুরো নির্মাণকার্য শেষ হবে৷
শিলচর মেডিক্যাল কলেজে অবশ্য পর্যাপ্ত অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এখন ৪০ হাজার লিটারের প্লান্ট রয়েছে৷ তা থেকে প্রতি মিনিটে সরবরাহ হয় আড়াই হাজার লিটার লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন৷ আরও ৬০ হাজার লিটারের প্লান্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে৷ এর কাজ শেষ হলে প্রতি মিনিটে সরবরাহ হবে ৪০০০ থেকে ৪৫০০ লিটার৷ উপাধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্তের দাবি, “করোনার গতিপ্রকৃতি ভাল নয় বলে প্রতিবেশী মিজোরাম ইঙ্গিত দিলেও এর মোকাবিলায় আমরা আঁটঘাট বেঁধেই তৈরি হচ্ছি৷”