Barak UpdatesBreaking News

বরাকে ৬ নং দফা কার্যকর হতে পারে না, শর্মাকে প্রবীণদের স্মারকপত্র
Clause 6 of Assam Accord can’t be applicable in Barak, senior citizens gives memorandum to Sharma

২৭ আগস্টঃ অসম চুক্তিতে বরাক উপত্যকার কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন সই করেননি। বরাক কখনই আসাম আন্দোলনে যোগই দেয়নি। পাহাড়ি জেলাতেও তা-ই। এই কারণেই জেনেশুনে কেন্দ্র সরকার অসম চুক্তির ৬ নং দফা কার্যকর সম্পর্কীত উচ্চস্তরের কমিটিতে এই অঞ্চলের কাউকে নেয়নি। এমনটাই মনে করছে সক্রিয়পন্থী নাগরিক মঞ্চ। তাই অসম চুক্তির ৬ নং ধারা বরাক উপত্যকা এবং পাহাড়ি জেলাগুলিতে কার্যকর হতে পারে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

উচ্চস্তরের কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি বিকে শর্মার উদ্দেশে মঙ্গলবার স্মারকপত্র পাঠিয়েছে মঞ্চ। তাতে স্বাক্ষর করেছেন মঞ্চের চেয়ারম্যান মিহির কর পুরকায়স্থ, ভাইস চেয়ারম্যান নীহারেন্দু পুরকায়্স্থ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দিলীপকুমার দে, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অজয়কুমার দাস, বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত চৌধুরী, অসিত কুমার রায়, গীতায়ন পুরকায়স্থ, লিপিকা দে, দীপিকা কর প্রমুখ। এই স্মারকপত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও।

তাঁরা নৈতিকতা, যুক্তিযুক্ততা, পরিপ্রেক্ষিত, সাংবিধানিক, সাংস্কৃতিক ও আইনি দৃষ্টিতে বরাক ও পাহাড়ি জেলাগুলিকে শর্মা কমিটির এক্তিয়ার  থেকে সম্পূর্ণ বাইরে রাখার জন্য দাবি করেন। ওই ভৌগোলিক অঞ্চলের জন্য কোনও ধরণের সুপারিশ না করতেও অনুরোধ করেন। সক্রিয়পন্থী নাগরিক মঞ্চের বক্তব্য, বরাক উপত্যকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠী বহু যুগ থেকে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে নিজ নিজ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বাঙালি,কাছাড়ি-বর্মন,মণিপুরি, সাঁওতালি, চাবাগানে কর্মরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, নেপালি, হিন্দিভাষী, ভোজপুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, মাড়োয়ারি, শিখ, মার, কুকি, নাগা, পাইতে, লুসাই, খাসি, জয়ন্তিয়া, কোচ প্রভৃতি জনগোষ্ঠী বংশ পরম্পরায় এই অঞ্চলে রয়েছেন। তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক। তাদের মধ্যে হিন্দু, ইসলাম, খ্রিষ্টান, জৈন, বৌদ্ধ, সুখ-দুঃখ -বঞ্চনা ভাগ করে আছেন। তাঁদের সিংহভাগ কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী। এদের উপর কোনও আঘাত অত্যন্ত অদূরদর্শিতা বলে বিবেচিত হবে।

ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার একটি জনগোষ্ঠীকে  সুবিধা দিতে গিয়ে অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হলে তা অমানবিক হবে বলেও বিচারপতি শর্মাকে জানিয়ে রাখেন। তাঁরা তাঁকে মনে করিয়ে দেন, আসাম এক বহুজাতিক, বহুভাষিক, বহুসাংস্কৃতিক ও  বহুধর্মীয় রাজ্য। জাতপাত আর ভাষার নামে খেঁটে  খাওয়া মানুষদের মধ্যে আর অনৈক্য সৃষ্টি হবে সম্পূর্ণ মানবিকতা বিরোধী।

Related Articles

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker