AnalyticsBreaking News
নাগরিকত্ব/৬ঃ দেশভাগের সময় অসমকেও চেয়েছিল পাকিস্তানCitizenship/6: Pakistan demanded Assam too during partition
১৫ ফেব্রুয়ারিঃ ১.৭ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর লেখা বই ‘মিথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্স’ পড়ে কমিটি পাকিস্তানের কূটকৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তিনি ১৯৬৯ সালে ওই বইতে লেখেন, স্বাধীনতা এবং ভারতভাগের সময় অসমও পাকিস্তানের কাছে কম বড় ইস্যু ছিল না। তাঁর লেখাটি হুবহু এ রকম— ‘ভারত-পাকিস্তান ভাগাভাগির সময়ে শুধু কাশ্মীরই আমাদের ইস্যু ছিল, এমনটা ভাবলে ভুল করা হবে। নিঃসন্দেহে কাশ্মীরের বিরাট তাতপর্য রয়েছে। কাশ্মীর বিতর্কের মত এত গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। তবে অসম এবং পূর্ব পাকিস্তানের সীমা লাগোয়া কিছু ভারতীয় জেলা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান এ নিয়ে জোরালো দাবি করে চলেছে।’
১.৮ সর্বানন্দ সোনোয়াল বনাম ভারত সরকার ও অন্যান্য মামলায় ২০০৫ সালের ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে উল্লেখ করেছে,
‘‘২২. বাংলাদেশ থেকে বিশাল পরিমাণ অবৈধ অনুপ্রবেশ অসম তো বটেই, সামগ্রিকভাবে দেশের জন্যও বিপদের কথা। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত। তাই ধর্মনিরপেক্ষতার নামে কোনও ভুল ধারণা বা দোষের যেন সুযোগ না মেলে।
২৩. বাংলাদেশ থেকে জনস্রোত অসমে আছড়ে পড়ায় অসমের আদি বাসিন্দারা নিজেদের রাজ্য সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তাদের সাংস্কৃতিক লড়াই আজ যূপকাষ্ঠে বাঁধা। তাদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে গিয়েছে।
২৪. অসমের বিশেষ জনসংখ্যাগত চরিত্র নিম্ন অসমের গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলিতে ক্ষতি ডেকে আনছে। অবৈধ এই অনুপ্রবেশ অসমের জেলাগুলিকে মুসলিম প্রধান করে তুলছে। এমন সময়ও আসতে পারে যে, এই অঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে মিশে যাওয়ার দাবি করছে। আন্তর্জাতিক ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলি এই দাবি আদায়ের জন্য অন্যতম শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এ প্রসঙ্গে এ কথা উল্লেখ করা ভালো যে, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দিয়েছে। ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়াকেই বেছে নিয়েছে। তাদের কাছে নিম্ন অসমকে হারিয়ে ফেলা মানে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতকে দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। তাতে দেশ এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদকে হারাবে।’’