AnalyticsBreaking News
নাগরিকত্ব/১৫: পাকিস্তানে হিন্দুমাত্রই কাফের!Citizenship/15: Hindus in Pakistan are labelled as ‘Kafirs’
(যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন লাভের পর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৬ গত ৭ জানুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে গিয়েছে এটি। এ বার রাজ্যসভায় ওঠার কথা ছিল। শেষপর্যন্ত তা আনাই হয়নি। তবে সংসদে সুযোগ না থাকলেও বাইরে এ নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকবে। এই প্রেক্ষিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি যে ৪৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট দিয়েছে, ওয়েটুবরাক পুরো রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে চলেছে। আজ এর পঞ্চদশ কিস্তি।)
২৬ ফেব্রুয়ারি: ১.২৪ আহমেদাবাদ ও রাজকোটে যে সব বিষয় যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে: ১. করাচিতে ধর্মকর্মের জন্য একটি মন্দিরও নেই। সমস্ত মন্দির হয় গুদামঘর নয়তো মসজিদে পরিণত করা হয়েছে। ২. পাকিস্তানে থাকার সময় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ লেগেই ছিল। ৩. পাকিস্তানে সমস্ত মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। হিন্দুরা পূজা, কীর্তনের সুযোগ পান না। ৪. কাফের বলে পরিচিত হিন্দুদের পাক
১.২৪ আহমেদাবাদ ও রাজকোটে যে সব বিষয় যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে:
১. করাচিতে ধর্মকর্মের জন্য একটি মন্দিরও নেই। সমস্ত মন্দির হয় গুদামঘর নয়তো মসজিদে পরিণত করা হয়েছে।
২. পাকিস্তানে থাকার সময় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ লেগেই ছিল।
৩. পাকিস্তানে সমস্ত মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। হিন্দুরা পূজা, কীর্তনের সুযোগ পান না।
৪. কাফের বলে পরিচিত হিন্দুদের পাকিস্তানে থাকতে হলে নাম বদলে ডাকতে হয়, উচ্চারণ যেন মুসলমান নামের মতোই হয়। পাকিস্তানে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে রাজকোটে ৩০০ হিন্দু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
৫. পাকিস্তানের হিন্দু উদ্বাস্তুদের রাজকোটে পাকিস্তানি বলা হয়। অনেকে তাদের কাজে নিতে চায় না।
৬. এক বছর পর উদ্বাস্তুদের ঠিকানা বদলাতে হয়। তাতে পূর্ব ঠিকানায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠানো হলেও তারা পান না।
৭. নিজের রাজ্যের উদ্বাস্তুদের ভালো করে বাঁচার জন্য রাজ্য সরকারের কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন।
৮. নাগরিকত্ব শংসাপত্র না থাকায় উদ্বাস্তু সন্তানরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে ফি-ছাড় পান না।
৯. বেসরকারি কোম্পানিগুলো পাক হিন্দু শরণার্থীদের নিযুক্ত করে না। ঋণ প্রাপ্তির জন্যও তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
১০. রাজকোটে থাকা পাকিস্তানের উদ্বাস্তুদের জীবনজীবিকার জন্য কঠোর লড়তে হয়। কাজ পেলেও তাদের কম বেতন, মজুরি দেওয়া হয়।
১১. উচ্চ শিক্ষার জন্য নামকরা প্রতিষ্ঠানে পাক হিন্দু শরণার্থীদের ছেলে মেয়েদের সুযোগ দেওয়া উচিত।
১২. পাকিস্তানের এমবিবিএস পাশরা ২০০২ সালের আগে কোনও স্ক্রিনিং টেস্ট ছাড়াই প্র্যাকটিস করতে পারতেন। এখন তা হয় না। ভারতে ডাক্তারির জন্য তাদের স্ক্রিনিং টেস্ট দিতে হয়। এই প্রথা প্রত্যাহার করা উচিত।
১৩. পাকিস্তানের হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের আবেদন নিয়ে জেলা, রাজ্য, এমনকী কেন্দ্রীয় স্তরেও অস্বাভাবিক বিলম্ব করা হয়।
১৪. দীর্ঘকালীন ভিসা ও নাগরিকত্ব মঞ্জুরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গুজরাট সরকার ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়।
১৫. নাগরিকত্বের শপথের দায়িত্ব শুধু কালেকটরকে না দিয়ে তার অনুপস্থিতিতে যাতে অ্যাডিশনাল কালেক্টর, এসডিএম ইস্ট, এসডিএম ওয়েস্টকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাহলে শপথের বিলম্ব থেকে রেহাই মিলবে।
১৬. নাগরিকত্বের আবেদন ও সার্টিফিকেট পাওয়ার মধ্যে সময় বাঁধা উচিত।