Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কীর্তনাশ্রয়ের নগর কীর্তনে মুখর হল সংক্রান্তির সকালChanting name of Krishna, devotees of Kirtanashray goes around Silchar
১৫ জানুয়ারি : পৌষ সংক্রান্তির সকালে কীর্তনের সুরে ধ্বনিত হল শহর শিলচরের পথঘাট। এ বারও কুয়াশা ঘেরা সকালে রাস্তায় বেরোল কীর্তনাশ্রয়ের এক শোভাযাত্রা। গান-বাজনা, কীর্তনের লুট কিছুই বাদ যায়নি। যারাই সকালে রাস্তায় বেরিয়েছেন এই শোভাযাত্রা দেখে এক অন্য রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁদের।
এ দিন শহরের নরসিংটোলা মাঠে কীর্তনাশ্রয়ের আমন্ত্রণে সাত সকালেই জমায়েত হন বহু মানুষ। এঁদের মধ্যে কীর্তন গায়ক বা বাদক অনেকেই ছিলেন। আবার কীর্তনকে ভালবেসেও অনেকে এতে সামিল হয়েছেন। এখান থেকে বেরিয়ে এই নগর-কীর্তন পার্ক রোড হয়ে যায় সেন্ট্রাল রোডে। সেখান থেকে নাজিরপট্টি, প্রেমতলা হয়ে এই নগর-কীর্তন এগিয়ে যায় অম্বিকাপট্টি পয়েন্টে। সেখান থেকে অম্বিকাপট্টি, ইসকন মন্দির, চৌরঙ্গী হয়ে চার্চ রোড ও শিলংপট্টির রাস্তা ধরে ফিরে আসে নরসিংটোলায়।
নগর-কীর্তনে অংশগ্রহণকারীরা কীর্তনাঙ্গের বিভিন্ন গান যেমন গেয়েছেন, তেমনি মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে লুটের গানও গেয়েছেন। রাস্তায় লুট দেওয়া হয়েছে। এতে পথচলতি বহু মানুষ অংশ নিয়েছেন। আসলে তখন সংক্রান্তির সকালে এক স্বর্গীয় অনুভূতি ছড়িয়ে দিয়েছিল কীর্তনাশ্রয়।
নগর-কীর্তনের অগ্রভাগে দেখা গেল, মৃদঙ্গ বাজিয়ে চারজনকে এগিয়ে যেতে। পেছনে প্রায় একশ জনের কণ্ঠে শুধুই গান। আর সবথেকে আগ্রহের জায়গা হল, এই চার মৃদঙ্গ বাদকের মধ্যে একজন মহিলা। ছিলেন এই কীর্তনাশ্রয় গড়ে তোলার মূলে যিনি প্রধান উদ্যোগ নিয়েছেন, সমরবিজয় চক্রবর্তী। অন্যদের মধ্যে মঙ্গলা নাথ, কানাইলাল দাস, ভাস্কর দাস, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, সন্তোষ চন্দ এমন অনেকেই ছিলেন। প্রসঙ্গত, পৌষ সংক্রান্তির সকালে এ নিয়ে মোট সাতবার নগর-কীর্তন বের করে কীর্তনাশ্রয়।