India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
দেশের ১৬ কোটি প্রবীণদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের বিশেষ পরামর্শCentre issues special advisory for senior citizens
১৫ এপ্রিল : ৬০ বছরের বেশি বয়সের প্রবীণ নাগরিক বিশেষ করে যারা কোনও ধরনের অসুখে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। সামাজিক ন্যায় এবং সশক্তিকরণ মন্ত্রক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং দিল্লির এইমস-এর সঙ্গে মিলে এক অ্যাডভাইজারি তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে প্রবীণ নাগরিকদের খেয়াল রাখার জন্য এই পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত। এই অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার অনুপাতে দেশে প্রায় ১৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে ৮.৮ কোটি নাগরিকের বয়স ৬০ থেকে ৬৯ বয়সের মধ্যে, ৭০ থেকে ৭৯ বয়সের মধ্যে রয়েছেন দেশের ৬.৪ কোটি প্রবীণ নাগরিক। ৮০ বছরের অধিক বয়সের প্রবীণ নাগরিকদের মেডিক্যাল সহায়তা খুব বেশি দরকার। এমন ২.৮ কোটি নাগরিক রয়েছেন দেশে, এরমধ্যে আশ্রয়হীন বা দুঃস্থদের তালিকায় রয়েছেন ০.১৮ কোটি নাগরিক।
বয়স্ক নাগরিকদের তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই সময় করোনা ভাইরাস থেকে কীভাবে সুরক্ষা দেবেন, এই অ্যাডভাইসারিতে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য…..
কী করতে হবে…..
সবসময় ঘরের মধ্যেই থাকবেন। ঘরে কাউকে ডেকে আনবেন না। কিন্তু সাক্ষাত খুব জরুরি হলে এক মিটার দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখবেন। যদি ঘরে একা থাকেন, তাহলে জরুরি সামগ্রীর জন্য পড়শীর সহায়তা নিতে পারেন। কোনও ধরনের ছোট ও বড় জমায়েতে যাবেন না। ঘরের মধ্যেই চলাফেরা করবেন। হালকা ব্যায়াম ও যোগ করার অভ্যেস গড়ে তুলুন। হাত ধোবেন, বিশেষ করে খাওয়ার আগে ও বাথরুম ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে কম করেও ২০ সেকেন্ড হাত ধোবেন। চশমা ও টিভি রিমোটের মতো জিনিস, যা সবসময় ধরতে হয়, সেগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাঁচি ও কাশির সময় টিসু পেপার অবশ্যই ব্যবহার করবেন। ব্যবহারের পর তা ডাস্টবিনে ফেলে দিন। ঘরে তৈরি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আহার খেতে হবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য লাগাতার ফলের রস খান। সময়মতো ওষুধ খেতে হবে। নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবেন, যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাস নিতে কোনও সমস্যা হয় বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা হলেও পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবশ্যই যোগাযোগ করুন। ভিডিও কল বা টেলিফোন করে দূরে থাকা পরিজন, আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন।
কী করবেন না…
এমন কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে যাবেন না যার মধ্যে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। কারোর সঙ্গে হাত মেলাবেন না বা কারোর সঙ্গে আলিঙ্গন করবেন না। ভিড়ের মধ্যে যাবেন না, এমনকি বাজার, পার্ক অথবা ধর্মীয় স্থানেও যাবেন না। খালি হাত ব্যবহার করে হাঁচি বা কাশি দেবেন না। হাত, মুখ ও নাক বারবার ছোঁবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না। কাউকে নিজের ঘরে আমন্ত্রণ জানাবেন না।
যারা প্রবীণদের খেয়াল রাখবেন তাদের জন্য…..
কী করবেন….
প্রবীণ নাগরিকদের সহায়তা করার আগে নিজের হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। সাহায্য করার আগে নিজের মুখ ও নাক কোনও কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। বেশি ব্যবহার করা সামগ্রীগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখবেন, যেমন হাঁটার জন্য ব্যবহার করা ছড়ি, হুইল চেয়ার, চশমা, রিমোর্ট ইত্যাদি। তাদের স্বাস্থ্যের দিকে সবসময় খেয়াল রেখে চলতে হবে।
কী করবেন না….
জ্বর কাশি বা শ্বাস নেওয়ার সমস্যা থাকা কোনও প্রবীণ নাগরিকের পাশে যাবেন না। প্রবীণদের শুধুমাত্র বিছানায় শুয়ে থাকতে দেবেন না। কখনও হাত না ধুয়ে প্রবীণদের স্পর্শ করবেন না।