India & World UpdatesBreaking News
কলকাতায় পুলিশ কমিশনারের বাংলোয় সিবিআই, প্রতিবাদে ধর্না মমতারCBI vs Mamata, drama unfold in Kolkata
শনিবারই পশ্চিমবঙ্গে জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনারের বাংলোয় সিবিআই পাঠানো হল। একে জরুরি অবস্থার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেন মমতা। তাঁর কথায়, রাজনৈতিকভাবে না পেরে বিজেপি সিবিআইকে ব্যবহার করতে নেমেছে।
অন্যদিকে, সিবিআই-র অভিযোগ, রাজীব কুমার চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। তাকে বহুবার ডাকা হলেও তিনি হাজির হননি। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটেরও অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইর অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, তাই তদন্তের প্রয়োজনেই রবিবার বিকেলে পুলিশ কমিশনারের সরকারি বাংলোয় গিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। সেখানে আগে থেকেই শীর্ষ পুলিশ কর্তারা মোতায়েন ছিলেন। তাঁরা সিবিআই অফিসারদের বাধা দেন। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধাক্কাধাক্কি হয় সিবিআই অফিসারদের। একরকম জোর করেই তাঁদের গাড়িতে তুলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া এইভাবে যে কারও বাড়িতে যে কোনও সময় তল্লাশি চালানো যায় না। পরে অবশ্য সিবিআই অফিসারদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি রাজীব কুমারের সরকারি বাংলোয় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। দেশের প্রায় সমস্ত অবিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিং যাদব ফোন করে তাঁকে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ট্যুইট করেন, মোদি গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নিয়ে পুরোদস্তুর তামাশা করছেন। কয়েক বছর আগে দিল্লির অ্যান্টি-করাপসন শাখায় তিনি আধা সামরিক বাহিনী পাঠান। এখন মোদি-শাহ জোট বেঁধেছেন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য।
অখিলেশ মমতার ধর্নাকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, বিজেপির উতপীড়নকারী নীতি ও সিবিআই-কে খোলামেলা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের দরুন দেশ, জনতা ও সংবিধান আজ বিপদের মুখে। এর প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনায় বসেছেন, তাঁর প্রতি তাঁর দলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও লিখেন, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই পাঠানো এবং এর পরবর্তী ঘটনাবলী আমায় বড় দুঃখ দিয়েছে। জরুরি শাসনের দিনগুলির মতো অসাংবিধানিক কাজ শুরু করেছে মোদির সরকার। এন চন্দ্রবাবু নাইডুও মমতার পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।