Barak Updates
পেপার মিলে সিবিআই, জেলে যেতে হবে প্রাক্তন মন্ত্রী-বিধায়কদের!CBI at Paper Mill, Former ministers & MLA’s might be send behind the bars
আর কর্মচারীদের বেতন-সমস্যা? প্রদীপ দত্তরায়ের দাবি, ২০১৯-র শুরুর দিকেই বেতন মিলবে তাঁদের। একটু দেরি হলেও খুলবে কাছাড় পেপার মিল এবং নগাঁও পেপার মিল দুটোই। এর আগে মুখোশ খোলার পর্বটি শেষ হয়ে যাক, চান প্রদীপবাবু।
সন্তোষমোহন দেবের নাম উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, মিল আধুনিকীকরণের নামে ‘পেপার মিল রিজার্ভ ক্যাপিটেল’ ভাঙা দিয়ে ধ্বংসটা শুরু হয়েছিল। তিনিই নিজেকে বাঁচানোর জন্য সিবিআই-র আঞ্চলিক কার্যালয় শিলচর থেকে শিলঙে সরিয়ে দেন। মিজোরামে বাঁশগাছে ফুল ফোটার কথা বলে তীব্র বাঁশ সঙ্কট দেখানো হয়। আর সেই সুযোগে চড়া দামে কাঁচামাল কেনা হয়। একবার একলাফে ৩৩০০ টাকা প্রতি মেট্রিক টনে বাঁশের দাম বাড়ানো হয়। আরেকবার উঁচু দরে পাল্প নিয়ে আসা হয়। পরে সেগুলি কাদায় ফেলে রাখা হয়। কয়লা নিয়েও চলে একই কাণ্ডকারখানা। ৩৮০০ টাকা টনের কয়লা আনা হয় ৯০০০ টাকা দরে।
অথচ মিলে উতপাদন বন্ধ হওয়ার সময়ে ৫০ হাজার টন বাঁশ পড়ে রয়েছে। নষ্ট হয়েছে ৫০০ টন চূণ। কয়লার মজুতও বিশাল। তিনি আইএনটিইউসি নেতা দিলীপ শুক্লবৈদ্য, মানবেন্দ্র চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। বলেন, ইউনিয়ন নেতাদের আত্মীয়-স্বজনের ঢালাও চাকরি হয় মিলে। এখন তাঁরাই সিবিআই-কে দেখে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের কথা বলছেন! তাদের মূল লক্ষ্য হল, আগের মতই যদি তদন্তের গতিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। এ বার তা সম্ভব হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রদীপবাবু জানিয়ে দেন, এ বার জেলে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।