Barak UpdatesAnalyticsBreaking NewsFeature Story

Will classes be resumed from September? Let’s listen to the parents
সেপ্টেম্বরেই কি স্কুলে পাঠাবেন সন্তানদের, কী বলেন অভিভাবকরা

২২ আগস্টঃ সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার, যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ তবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে গিয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে৷ এর আগে তাঁদের কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছিন শিক্ষামন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷ তিনি অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে অভিভাবকদের মতামত জানতে চেয়েছেন৷ কী বলেন আমাদের অভিভাবকরা?

August 22: The state government is contemplating to resume educational institutions from September though no such final date for reopening has been declared. The teachers were asked to be present in their respective schools, colleges and universities from 1 September. All teachers prior to that should go for compulsorily COVID-19 test. In such a situation, parents and guardians have come up with a mixed bag of suggestions in this context. Let’s find out the opinions expressed by a host of guardians.

  • প্রশান্ত  চক্রবর্তী, কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক

আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে অসমের সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার মৌখিক ঘোষণা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আমি নিজেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই। অসম সরকারের আইন অনুসারে আমি সরকারি নির্দেশ মানতে বাধ্য। কিন্তু একজন সচেতন নাগরিকমহলে কিছু প্রশ্ন ঘুরছে। সেগুলো বলি।

১. অফিস, ব্যবসায়-প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্কুল-কলেজের কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে। আমাদের দেশে বিদ্যাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করাটা অলীক কল্পনা। গাঁ-গঞ্জ তো দূর, শহরেও ছেলেমেয়েরা গাদাগাদি, চাপাচাপি করে বসে অনেক জায়গায়। এক বেঞ্চিতে তিন চার পাঁচ এমনকি ছয়জনও বসতে দেখেছি। কলেজে ইংরেজি, রাজনীতিবিজ্ঞান বা এই জাতীয় ক্লাসে ছাত্রছাত্রী ঠাসা থাকে। এই ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব মেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কত দূর সম্ভব?

২. ধরা গেল, অনেকগুলো সেকশনে বিদ্যার্থীদের ভাগ করা হলো। এতে সংখ্যায় কমে যাবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে। কিন্তু সেকশন বাড়ালে~ক্লাসরুম বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে শিক্ষক-অধ্যাপকের সংখ্যাও। সেটা কি সম্ভব?

৩. কোভিট বাড়ার মূলে তথা সামাজিক সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ~বেশির ভাগ মানুষ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে না। বিষয়টিতে নিতান্ত সাদামাটা গুরুত্বহীন বলে ভাবে। “হলে হবে~দেখা যাবে” জাতীয় মনোভাব। অনেকে মাস্কও পরে না, পরলেও থুতনিতে পরে~কানে গলায় ঝোলে~নাক-মুখ বাইরেই থাকে। ওই অবস্থায়~নাকে হাত দিচ্ছে~কাশি-হাঁচি, নাকঝাড়া~সবই চলছে। সমাজজীবনের এই চিত্রের পাশাপাশি ছাত্রজীবনের কথা ভাবুন! ছাত্রছাত্রীদের শারীরিকভাবে দূরে দূরে রাখা কি সম্ভব? ওই বয়সটাই তো হইচই~ছোটাছুটি, দৌড়ঝাঁপের। বিশেষত স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের সামলানো কতটা সম্ভব? হাইয়ার সেকেন্ডারি বা ডিগ্রির পড়ুয়ারাও কতটা প্রটোকল মেনে চলবে?

৪. লক্ষণবিহীন বা মৃদু লক্ষণযুক্ত করোনা রোগী কম নয়। ছাত্রছাত্রীদের যে জটলা সেটা অফিস কাছারির চেয়ে আলাদা। লক্ষণবিহীন পড়ুয়াদের শরীর থেকে তাদের বাড়ির বয়স্ক লোকদের সংক্রমণ ঘটবেই। তখন?

৫. মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সব শিক্ষক-অধ্যাপকদের কোভিট টেস্ট বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছেন। ঠিক আছে~করল সবাই। কিন্তু এই দুই তিনদিন পর বা হপ্তাখানেকের মধ্যেই সংক্রমণ হতেই পারে। কারণ শিক্ষক অধ্যাপকেরা বাজার হাটে যাবেন, ব্যাংকে অফিসে যাবেন~রিস্ক তো থেকেই যাচ্ছে। তাই না? তখন কি আবারও টেস্ট করাতে হবে? তাহলে শিক্ষক কর্মচারীদের মাসে টেস্ট কতবার করা হবে? সকালে নিগেটিভ হয়েও বিকেলে পজিটিভ হচ্ছে অনেকেই। তাই~টেস্টিং করে তো সংক্রমণ রোখা যাবে না। আর একজন শিক্ষক অধ্যাপক বা ছাত্রের পজিটিভ ধরা পড়লেই গোটা বিভাগ, বা স্কুল বা ওই এলাকাটাই বন্ধ করে দিতে হবে। কোভিট কি আর ছাত্র শিক্ষক বোঝে? কোভিট বোঝে~একটি মানব শরীর।

৬. আমেরিকায় স্কুল কলেজ খুলে দিয়েছিল। হু-হু করে সংক্রমণ বাড়তেই আবার বন্ধ। এই কথা ভুললে চলবে না~সমাজে রোজ যেখানে ভিড় হয়~তার তিনটি ক্ষেত্র। হাটবাজার, স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোই গণসংক্রমণের মূল কেন্দ্র। হাটে বাজারে একজন সচেতন নাগরিক সাবধানে চলতে পারেন। কিন্তু তাঁর সন্তানটি কি পারবে সামাজিক শারীরিক দূরত্ব মেনটেন করে চলতে?

সবচেয়ে বড় কথা~বেশির ভাগ অভিভাবক নিজেদের সন্তানকে স্কুলে কলেজে পাঠাতে নারাজ। চেনাজানা কাউকে জিজ্ঞেস করুন~উত্তরটি পাবেন। তাহলে প্রশ্ন হলো~ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিতে উপস্থিতি যখন বাধ্যতামূলক নয়~সেই ক্ষেত্রে শিক্ষক-অধ্যাপকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করে লাভ হবে কি? সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমি সরকারের সব সিদ্ধান্তই মানতে বাধ্য। এই প্রশ্নগুলো জনমানসে ঘুরছে বলেই তুলে আনলাম। যদি কর্তৃপক্ষ যুক্তিগুলো বিবেচনা করেন~বাধিত হব।

  • Debotosh Chakraborty, Assistant Professor, Deptt. of Political Science, Assam University

It is not the appropriate time to reopen schools. In many districts of Assam, infection rate is increasing in an alarming rate. When the medical authorities are not in a position to provide the basic services to the patients and mortality rate is getting high day after day, it is not advisable on the part of the govt to reopen schools. It has been reported that immediately after reopening of schools, 97 thousand children got infected in America. Similar situation may happen in Assam, as we are about to reach the peak. Considering all the factors in view we, being parents, are not ready to send our wards at school. Let us wait for one more month and give our best efforts to break the chain of infection.

  • হিমাদ্রীশেখর দাস, সহকারী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়

স্কুল খোলার খবর পেলে আমার মেয়ে ঐশী সবার আগে খুশিতে নেচে উঠবে। সব বন্ধুদের সে অনেকদিন ধরেই খুব মিস করছে। মাঝেমধ্যেই ফোনালাপ হয় বন্ধুদের সঙ্গে। আলোচনায় উঠে আসে স্কুলে না যাবার দুঃখ, প্ল্যাগ্রাউন্ডে খেলতে না পারার দুঃখ ইত্যাদি ইত্যাদি। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই করোনাসুর-কে বকা দিয়েই ঐশীর দিনের শুরু হয়। অনেক বাচ্চাদের মতই তার প্রাত্যহিক রুটিন বদলে গেছে। তিন রুমের মধ্যেই দীর্ঘ পাঁচমাস দিনযাপন চলছে।

আপাতদৃষ্টিতে বাচ্চাদের এই অবস্থা দেখলে মনে খুব কষ্ট হয়। গত পাঁচমাসে কচিকাচাদের মনস্তত্ত্বে বেশ প্রভাব পড়েছে। এভাবে বেশিদিন চললে অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠবে। তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে আমি কিছুটা ইতিবাচক। ক্লাসের একটি সেকশনে এক-চতুর্থাংশ ছাত্রছাত্রী নিয়ে সপ্তাহে একদিন বা দুদিন ক্লাস শুরু করা যেতে পারে।

তবে সরকার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে। যদি তাদের স্বাস্থ্যের কোনও অবনতি ঘটে, তাহলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারটি সম্পূর্ণ তাদের সামলাতে হবে। মনে রাখতে হবে, একটি ছাত্রও যদি সংক্রমিত হয়ে যায়, তবে অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর সর্বাধিক সম্ভাবনা। এছাড়া যদি কোনও ছাত্রের কিছু একটা হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভারও তাদের নিতে হবে। এমনিতেই মেডিকেল কলেজের হাল বেহাল। তাই বাচ্চাদের জন্য আলাদা কোভিড ওয়ার্ড না বানিয়ে স্কুলে কচিকাঁচাদের পাঠানো ঝুঁকি হয়ে যাবে। আর এটাও চরম বাস্তব যে, সেপ্টেম্বরে স্কুল খুললেও সিংহভাগ অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না। যদি শিক্ষকদের নিয়মিত যাবার জন্য স্কুল খোলা হয়ে থাকে তবে ব্যাপারটা আলাদা। আমার মনে হয় ভ্যাক্সিনেশন হবার পর স্কুলে বাচ্চাদের পাঠানোটাই বেশি নিরাপদ হবে। আরও কিছুদিন অপেক্ষা তো করা যেতেই পারে।

  • দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়, প্রধান শিক্ষক, নেতাজি বিদ্যাভবন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

যেহেতু এখনো পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন বের হয়নি নোবেল করোনা ভাইরাসের, তাই আমার বাচ্চাকে এই মুহূর্তে স্কুলে পাঠাতে আমি রাজি নই। যেহেতু এখনও স্বাস্থ্যপরিষেবা সকলের জন্য সমানভাবে সুবিধা প্রদান করতে পারছে না, ভাই, আমি আমার বাচ্চাকে এই মুহূর্তে স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছি না। ছাত্র-ছাত্রীরা এখনও নিজেদেরকে সামাজিক দূরত্বে কতটা রাখতে সক্ষম হবে সে বিষয়ে সন্দিহান আমি এবং আমরা। করোণা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই যাচ্ছে, তাই সেপ্টেম্বরে বাচ্চাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছি না।

যারা পাঠ দান করবেন শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীরা তারা কি সবাই কোভিড নেগেটিভ টেস্টে নিশ্চিত আছেন? এটাও যখন জানা হচ্ছে না তখন বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠাবার কোন মানেই হয় না। নির্দিষ্ট করে কী কী ওষুধ খেলে বা কীভাবে চললে অসুস্থ হওয়ার পরে রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে, সে বিষয়ে সকলের স্পষ্ট ধারণা নেই ৷ বাচ্চাকে পাঠাবার স্বপক্ষে কোন যুক্তি নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

  • Dr. Swarupa Bhattacharjee, Head, Deptt of Political Science, G.C. College, Silchar

We are not at all ready to send our daughter to school, if it reopens on September. We firmly believe that the opening of the school will spread maximum infection in the society. We can’t drag our daughter’s life at risk. We should wait till the spread curve gets down. Further, we would like to request the central and state governments to declare this year as Educational Moratorium to save the life and career of the students throughout the nation.

  • Bibhas Roy, Cultural Activist

As a parent, I am not ready to send my child to school in this current scenario where the number of COVID-19 positive cases are increasing day by day. For me, the safety of my daughter is my prime concern. Her schooling is a secondary one. I am also aware that many parents are not financially capable of providing facilities to their children for availing proper online classes. However, that cannot be an excuse to compromise with a child’s life.

How can we expect our little children to practise all the prescribed safety measures in school when a matured human cannot completely maintain the safety procedures to the book even after continuous warnings and advice from the government? Moreover, I feel that although the health department is giving their best efforts, it is far less than enough with the ever increasing positive cases. I just do not have the courage to push my child into an uncertain situation just for the sake of educating her ‘in the school premises’. For the government our children may be just numbers, but for us they are our world. And therefore, I want to take this opportunity to request our government to reconsider their decision for the safety of the children.

  • নিবেদিতা চক্রবর্তী, শিক্ষিকা

আমার মেয়ে ক্লাস টেনে। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার পক্ষে অভিমত পোষণ করি। কারণ ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করে শুধু সিলেবাস শেষ হতে পারে। অন্যান্য দিকগুলো অবহেলিত থেকে যায়। স্কুল-কলেজের যে প্রভাব একটি ছাত্র বা ছাত্রীর উপর সারা জীবন থেকে যায়, সেটা শুধু ঘরে বসে কী করে পাওয়া সম্ভব! টিন এজারদের সমস্যাগুলোও অবহেলা করা উচিত নয়। বন্ধুদের পাশাপাশি শিক্ষকদের মুখোমুখি বসে স্কুলের ভিতর ক্লাস করার কোনো বিকল্প হতে পারে না। কেবলমাত্র এই অতিমারীর তাণ্ডবের জন্য আজ একটা প্রজন্ম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আমার খুব কষ্ট হয় ওদের কথা ভেবে।

তবে আমার এধরনের মন্তব্যে অনেকেই হয়তো তেড়ে আসবেন। আমার সঙ্গে একমত হবেন না। আমি একটু অন্যভাবে জিনিসটা ভাবি। দেখুন, সারা জীবন তো ঘরকুনো হয়ে বসে থাকলে চলবে না। আর এই মহাবজ্জাত ভাইরাস করোনাও এই পৃথিবী থেকে এত দ্রুত বিদায় নিচ্ছে না, এটা আমরা সবাই জানি। তবে…. তবে আর কি! ছেলে-মেয়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে স্কুলে যেতে দিতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিয়ে দিতে হবে। ওরা নিজেদের রক্ষা নিজেরাই করবে। তাতে যদি কেউ অসুস্থ হয়। ভয় পেয়ে লাভ নেই। সুস্থ হয়ে উঠবে। ছোটবেলা থেকে অনেকবারই তো ওরা অসুস্থ হয়। তাই বলে কি আমরা ওদের ঘরে বন্ধ করে রেখে দিয়েছি?

এখনো মনে আছে, আমার মেয়ে ক্লাস টু তে যখন পড়ে তখন ভাইরাল ফিভার হযে পুরো একমাস শয্যাশায়ী ছিল। এরপর এমন দুর্বল হয়ে পড়ে যে, স্কুলের জুতোটা ওর পায়ে অনেক ভারি ঠেকতো। আর যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়তো। তাহলে…. আজও আমরা যদি (অভিভাবকরা) সাহস করে না পাঠাই তবে ওদের মধ্যে সাহসটা আসবে কোথা থেকে? আমরা দিনের শেষে শুধু দেখি, আজ ক-জন করোনা আক্রান্ত হলো, আর কজন মারা গেছে। কিন্তু ক-জন নেগেটিভ হয়ে সুস্থ জীবন যাপন করছেন, এই খবর কজন রাখি। তাই আমার মনে হয়, বেশি ছোটদের ছাড়া আর সবারই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করা উচিত।

  • Soumen Choudhury, Advocate, Silchar

No vaccine, no school. I am not going to send my children to school until I am absolutely sure that the affect of the pandemic is not existing. I cannot expose my children to any danger. Safety and security of the children comes first and foremost, education next. The government is without any proper strategy. So, schools should not reopen at this stage.

  • Kapil Raj Adhikari, Businessman

I personally don’t agree with the decision of the Government to reopen schools from September 1 because until vaccine comes it’s unsafe to send our children to school. Safety measures should be taken. As you are aware of the news that when USA rescheduled the classes approximately a lakh of student where affected of corona. Yes, education is very essential for every student and we can understand that the students are facing a lot of problems, but if on reopening the school the students get prone to the virus then it would be difficult for the parents as well as government to tackle the situation.

As the government has already stated that the corona will be in it’s peak during the months of September to November; so it’s really an unsatisfying decision from the part of Government to reopen the schools from September 1. In this situation, the first and the foremost priority should be given to safety and precaution.

  • অমিত সিকিদার, অবসরপ্রাপ্ত বেতারঘোষক

আমি এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি। আমাদের পরিবারের এক সদস্যের সূত্রে জেনেছি, আমেরিকা সরকার স্কুল খোলার চেষ্টা করে পিছিয়ে গেছে। নিজেদের দক্ষতা দেখাতে গিয়ে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে যদি কোনও ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা হয় তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাব।

  • বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য, সঙ্গীতশিল্পী

না, অভিবাবক হিসেবে আমার সন্তানকে এই মুহূর্তে স্কুলে পাঠানোর কথা কোনওভাবেই ভাবতে পারছি না। যে হারে করোনাক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বোঝাই যায়, সেপ্টেম্বরে তা আরও বাড়বে! এক বছর ছেলেমেয়ে না পড়লে মুখ্যসুখ্য হবে না। তবে করোনা থাবা বসালে অনেক মায়ের কোল খালি হবে!

  • Santanu Sutradhar, Entrepreneur

As approximately 28% of India’s population is now Covid positive and according to medical experts, the virus is airborne at this moment. Due to community spread, the risk of getting infected anytime even after testing negative is very high. The education department in Assam has instructed all the teachers to go for Covid test through RAT before reopening the school. Now, this has got no relevance according to me, as once a teacher tests negative, his or her chances of getting infected the next day remains high.

Moreover, the health facilities in Barak valley is in such a deplorable condition that we cannot risk the life of our children after knowing the consequences of opening the school in USA where within a week, 97,000 children became Covid positive. I feel the children should continue with the online classes for this session and atleast till the virus is controlled by the vaccine which is scheduled to arrive by November. With proper vaccination, the children should attend regular classes at their respective schools.

  • Sonali Choudhury, Librarian, Radhamadhab College, Silchar

Sending children to school at a time when coronavirus infection is at higher level is a critical question for parents to answer whether children should be sent to school in the prevailing situation. We as parents can very well apprehend that the social, physical, mental and aesthetic developments of our kids are at stake for not being able to attend schools. The online education is also not playing ample role to supplement the physical classroom learning. But amidst all these disadvantages, I as a thoughtful parent insistently feel that children at this stage should be restraint from going to school. It is the health and physical stability which is more important than other well beings at the moment. Moreover, children do not have fully developed immune system to fight against infections. Going to school means being prone to infection and bringing the infection home making it vulnerable to those having infants and elderly people at home like mine.

  • Pallabita Sharma, Hospital Coordinator & Social Activist

Being a parent, I do not agree with the decision of the state Government to reopen schools from September.
As we can see, now-a-days, we are in community transmission phase and situation is beyond control of health department and administration. Death ratio is increasing at a rapid pace. People are running here and there but till far away from getting proper professional guide of getting treatment of Covid-19. There are so many cases where people died without treatment even after advertisements of so many promises of good initiative taken by health department and administration. So when the situation is so deplorable, how can we allow the life risk of our children?

  • শান্তশ্রী সোম, শিক্ষিকা

এখন আর নেই সেই একান্নবর্তী পরিবার। সবাই-ই প্রায় দুইয়ে একে তিন। বা বড় জোর দুইয়ে দুইয়ে চার। কাজেই খুব ছোটবেলা থেকে আজকাল শেখাতে হয় ‘শেয়ারিং ‘। যাতে নিজের ছানাটা নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে জন্মেও বিশ্বজনীন হয়। এবার মারীর এই অবাধ বিচরণের সাম্রাজ্যে শেয়ারিং-এর এই অমোঘ ভালো লাগাটাই তো দুর্দান্ত বেয়াড়া হয়ে দাঁড়াবে এতোদিন বদ্ধ জলায় আটকে থাকা কচিকাঁচা থেকে শুরু করে কিশলয়দের। স্কুলের মতো তাদের ‘সব পেয়েছি’র দেশে কি করে বজায় থাকবে ‘সামাজিক দূরত্ব ‘!

বলছিলাম আমরা মা-বাবাদের দেওয়া শিক্ষাই বোধহয় এই করোনা কালে স্কুলমুখো ছেলেমেয়েদের বিপদ বাড়িয়ে দেবে অনেকগুণ। এছাড়া রয়েছে পরিকাঠামোগত বিস্তর সমস্যা। গ্রামভিত্তিক এই দেশে যে ছাত্রছাত্রীরা এই কটা মাস নিজেদের মতো করে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করেছে, তাদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার পর্যায়টুকু বাদ দিলে বেশিরভাগ জায়গায়ই অনেকখানি পথ পেরিয়ে ছেলেমেয়েগুলোকে পড়তে যেতে হয়। এর জন্যে পাব্লিক ভেহিকল ছাড়া যাতায়াতের কোনও বিকল্প তাদের কাছে খোলা নেই। মাস্টারমশাইরা নেগেটিভ চিরকুট হাতে করে গেলেও কিশোরটি ঘর থেকে বেরিয়ে যাতায়াতের পথেই যে আক্রান্ত হবে না, তা বলা বড়ই মুশকিল।

এবার আসি কম সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে ক্লাস করানোর কথায়। গ্রামের স্কুলগুলিতে একেকটি ক্লাসে সেঞ্চুরি সংখ্যক ছেলেমেয়ে একসঙ্গে পড়ে। এদের দশ জন করে নিয়ে ক্লাস করলে একজন ছাত্র দশদিনের মাথায় আবার স্কুলে আসতে পারবে। আর শিক্ষকটিকেও টানা দশদিন একটি অধ্যায়ই পড়িয়ে যেতে হবে। এরচাইতে অনলাইন ক্লাসে পাঠ অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। এক্ষেত্রে দূরদর্শন, আকাশবাণী সহ স্থানীয় চ্যানেলগুলির মাধ্যমে নিয়ম করে সূচি মেনে বিস্তৃত পাঠদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আজকাল গ্রাম শহর প্রায় সর্বত্র ক্যাবল, ডিজিটাল চ্যানেলের পরিধি বিস্তৃতি পেয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, যে শিক্ষকটি আসছেন আরও বহু ঘাট, বহু পথ মাড়িয়ে, তিনি যে ক্যারিয়ার হয়ে বিদ্যা ও জ্ঞানদানের পাশাপাশি রোগদান করে যাবেন না, তার গ্যারান্টি তো তিনি নিজেও দিতে পারবেন না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে – ক’টা স্কুলে ক্লাসরুমের পরিসর ততটা বড় রয়েছে, রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ, যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে! তারথেকেও ভাবার বিষয় হচ্ছে যে- আমাদের এই অঞ্চলের এসময়ের মৌসুমি বায়ুর মর্জিমাফিক বিচরণ, ভাদ্রের তাল পাকানো গরম, কোনোটাই খোলা আকাশের নীচে পাঠদানে স্বস্তি দিতে পারে না।

সবশেষে মা হিসেবে প্রতিটি মাতৃহৃদয়ের মনের কথা কান পেতে শুনে চুপিচুপি বলে যেতে চাই। একটা বছর পড়া পিছিয়ে গেলেও আমার সন্তান সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকুক। ভবিষ্যৎ ওর সুস্থ শরীরেই আস্তানা গাড়বে। অসার দেহে শিক্ষার ইমারত বালির ঘরের মতোই ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। যা আমি কক্ষনো চাই না৷

  • Debomita Chakraborty, Advocate.

In this situation of ongoing pandemic due to coronavirus, being a parent of a small child, I do not subscribe with the decision of Assam government to reopen educational institutions from September,2020. In most of the localities, we find banners of containment zones declared by the Dept of health and Disaster Management Authorities and from the count of increased rate of spread of the disease in communities and enhanced death rate, it can be easily be inferred that, if at all the schools are reopened from September 2020, the children who were/are nurtured with utmost caution and care by the guardians since the initiation of lockdown shall be forced to face the unknown danger. The re-opening of schools will not just accelerate the spread of the virus, but also severely affect the future and well being of our children. This fact has already been witnessed by us in the USA  in the recent past.

Moreover, I am really satisfied with the online classes going on now. The teachers are imparting education in a very lucrative and lucid manner. My child is getting all the updates regularly, even the copies are checked and online examinations are held.

Lastly, I would like to lay emphasis on the fact that children should attend the school but after a short break as we all know that very soon the vaccines will come and I also desire that each and every child should grow up with healthy body and mind and the all round development of each and every child should be carried on, which is possible only through attending schools. Children are the future of the nation, so we should nurture them with utmost care and caution. The re-opening of educational institutions at this juncture will not only accelerate the spread of the virus, but will also severely affect the future and well being of our children.

  • Dipabali Roy, Lecturer, Deptt of Political Science, Ramanuj Gupta College, Silchar

I cannot give any direct opinion regarding this as because reopening of school amidst such a pandemic situation may lead to vigorous rise in positive cases and in some cases students with weak immunity level will obviously be affected by the virus. As health facilities in our locality is not upto the mark, hence it is not desirable that the schools are opened at this juncture. Moreover, parents will also not feel safe to send their wards to school because most of the schools do not have space to facilitate distance, maintain protocol and moreover when children will meet with their friends after such a long interval, they will come in close contact with each other as it is not possible on the part of school authority to have constant look…

But school or college authority may take initiative to reopen Class 9 to 12 as it is essential for them because online coaching is not sufficient for their board exams. But before starting so each and every student, teachers and other staff who are connected with the process must get themselves tested at regular intervals. By maintaining social distance protocol and other safety measures, 3 days class in a week can be taken for students of Class IX to XII. Students with weak immunity level or any other such medical history should be considered. But along with this, online coaching should also be continued.

  • দেবযানী চৌধুরী,  শিক্ষিকা

যতদিন যাচ্ছে করোনা যেন বিস্তারের জালটা আরও বেশি করে ছড়াচ্ছে। করোনা যেন গত ছ-মাস থেকে আমাদের জীবনকে, আমাদের যাপনকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। কর্মজীবন বিপন্ন, শিক্ষাজীবন বিধ্বস্ত, সামাজিক জীবন বিপর্যস্ত। সুদীর্ঘ ছ-মাস থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংযোগহীন। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে অনলাইন লাইন ক্লাস চললেও অনলাইন ক্লাস পারেনি ক্লাসরুম পাঠের বিকল্প হতে, হওয়া সম্ভবও নয়। একটু একটু করে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।

আমাদের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সেপ্টেম্বর থেকে আবার স্কুল-কলেজ চালুর ইঙ্গিত দিয়েছেন। টিচারদের পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে কাজে যোগ দিতে বলেছেন। ক্লাস ওয়ান থেকে ফোর অব্দি ক্লাস চালু না হলেও ক্লাস ফাইভ থেকে এইট অব্দি ক্লাস ক্লাসরুমের বাইরে কোনও মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুরু করতে চাইছেন। ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভ অব্দি ক্লাস শুরু করার জন্য তিনি কিছু পথ বাতলে দিয়েছেন। স্কুলে একদিনে দুটি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা আসবে, তাও নির্দিষ্ট দুটি সময়ে। একটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পনের জনের গ্রুপ হিসেবে ভাগ করে অর্থাৎ একটি ক্লাসে পনেরজন শিক্ষার্থী নিয়ে করার কথা বলা হয়েছে, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস চালু করবে ।

আমেরিকায় স্কুল চালুর দু-সপ্তাহের মধ্যে প্রায় এক লাখ বাচ্চা করোনাক্রান্ত হয়েছে। এরপরই ওখানে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এখানে অভিভাবকরা আতঙ্কিত, এই সময়ে বাচ্চাদের স্কুল পাঠাতে তারা রাজি নন। প্রশ্ন হলো, শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে বলেছেন, সেভাবে এই সময়ে কি ক্লাস শুরু করা সম্ভব? এখনও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোয়রেন্টাইন সেন্টার হিসেবে আছে। শিলচর ডনবস্কো স্কুলের মত অনেক স্কুল আছে, যেখানে করোনা হাসপাতাল গড়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এরা কোথায় ক্লাস শুরু করবে? তাছাড়া স্কুলগুলোতে এক একটি ক্লাস পনেরজন স্টুডেন্টকে নিয়ে করাতে বলা হয়েছে। ক্লাসের সময়কে দুটো ভাগ করতে বলা হয়েছে। প্রথম ভাগ সকাল ন’টা থেকে বারটা অব্দি, এক ক্লাস। সেই ক্লাস শেষ হওয়ার পর আরেক ক্লাসের স্টুডেন্টস নিয়ে দ্বিতীয় ভাগ দুপুর একটা থেকে চারটা অব্দি থাকবে।

সরকারি স্কুলগুলোতে এক-একটি ক্লাসে একশ থেকে দেড়শ অব্দি স্টুডেন্টস থাকে। ধরা যাক, একটি ক্লাসে একশ স্টুডেন্টস আছে। পনের জন করে যদি ক্লাস নেওয়া হয়, তাহলে একটি সাবজেক্টের ক্লাস নিতে হলে শিক্ষার্থীদের একদিনে সাতটি ভাগে ভাগ করতে হবে। চল্লিশ মিনিট করে ক্লাস হলে একটি ক্লাস করাতে গেলে ২৮০ মিনিট লাগবে। একজন টিচারকে একদিনে একটি ক্লাসে একটি পাঠকে সাতবার পড়াতে হবে। অনেক সরকারি স্কুলে এত টিচারই নেই যে একই সময়ে একই ক্লাসের সাতটি ভাগ করে সাতটি ক্লাস নেবেন। এতে আরো এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এভাবে ক্লাস শুরু করা কতটুকু সম্ভব কিংবা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, এ প্রশ্ন থেকেই যায়।

তাছাড়া আমাদের রাজ্যে করোনা টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে টিচারদের সেপ্টেম্বরে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীদেরও করোনা টেস্ট করা হবে। কিন্তু প্রথমে তিনি বলেছিলেন, অভিভাবকরা যাতে নির্ভয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারেন, এরজন্য টিচারদের করোনা টেস্ট করাতে হবে। প্রশ্ন হলো, স্কুল-কলেজে কি টিচাররাই করোনার বাহক হবেন? স্টুডেন্টরা কি হতে পারে না করোনা ছড়ানোর কারন? যদি সর্বজনীনভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনা টেস্ট করা হয়, সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। টেস্টের পরও আতঙ্ক থেকে যায়। টেস্ট রিপোর্ট যদি আজ নিগেটিভ থাকে দুদিন পর যে পজিটিভ হবে না, তার কি কোন গ্যারেন্টি আছে? এরকম উদাহরণ তো অনেক আছে।

এমনও উদাহরণ আমাদের কাছাড়েই আছে, কোভিড আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হওয়ার কতদিন পর আবার আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহুর্তে যেভাবে গ্রামে- গঞ্জে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়াটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তবে এটাও ঠিক, ইতিমধ্যে একটি শিক্ষাবর্ষ থেকে ছ-মাস বাদ পড়ে গেল শিক্ষার্থীদের। এবছর যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে, তারা এখন অব্দি কোন এন্ট্রাসে বসতে পারেনি। সেমিস্টার পরীক্ষাগুলোও বাদ পড়েছে। এই শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছে। করোনা তো আর হারিয়ে যাবে না, আরও অনেক রোগের মত করোনাকে আমাদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। কিন্তু প্রতিষেধক কিংবা বিকল্প কোনও পথ বের না হওয়া অব্দি আতংক থেকে মুক্তি পাবো না আমরা । চিন-ইতালি-স্পেন-আমেরিকার মত উন্নত স্বাস্থ্যসেবা থাকা দেশগুলি যেখানে আজও করোনাকে হারাতে হিমসিম খাচ্ছে, সেখানে ১৩৫ কোটির এদেশে প্রতি দশ হাজারের একজন চিকিৎসক আর অপ্রতুল চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বিদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই আমাদের হয়ত আরো কিছু সময় অপেক্ষা দরকার।

  • Sudipta Sengupta, Teacher

No, till now the spread of the disease or the number of affected persons have not subsided either. Thus, even if school starts, I am unwilling to send my child to school. Even if tests are done, that cannot ensure safety as the very next day, one can catch the disease. Studies are indeed important but never at the cost of life .Govt should reconsider the decision of resuming schools from 1st September, even if initially with higher classes. Let educational institutions continue online education though most of the students are not well equipped to continue the same. Things need to be sorted out. Such a situation is unprecedented. Minimize the courses and defer the examinations as deemed fit.

  • Subrata Das, Programme Executive, Doordarshan.

I don’t know whether it will come into reality or not. However, I believe the decision, if already taken, will be reviewed by the government for sure before implementing. Because, this government sounds not only serious with context to this pandemic, but also deserves applause in combating COVID-19. So, it’s quite unlikely that without taking the quantum of impending danger into consideration, the government will reopen all its educational institutions for all the students indiscriminately.

We learn things through rational and experiential methods. None of these methods drive us to take this hasty decision at this critical juncture, specially when the experience of this experimentation in some countries have been proved to be misadventure. Children should be kept afar as much as possible from this kind of exposure because they are always prone to contagious diseases owing to their forgetfulness and restless mindset. They hardly can remember the significance of hand-washing, social distancing and putting on masks.

Thus, I am more than 100% confident that our respected Health and Education Minister understands it better than anyone else. So, reopening of schools from the coming September may be a warm up session for teachers and office staff only; if at all it does take place; to discuss, decide and devise their future course of action. Or hardly, it may include a few higher secondary students on ‘as and when required’ basis. Sometimes closure of any institution for long and indefinite period may create several other problems in terms of technical and administrative support. So, if schools are resumed in the light of above, it shouldn’t be treated as a set back. It may be a break of the break, by the break, for the break. Hope, things will be better explained in course of time. Let’s not jump to any negative conclusion before it’s formally and finally announced without any reasonable explanation by our government.

  • Subhas Debnath, Assistant Professor, Deptt of Chemistry, GC College, Silchar

As a parent, I am not ready to send my wards to school at present. Now corona is at its peak, and opening schools at this hour won’t be a wise decision by the government. It will be difficult to manage school children of lower classes to follow strictly the COVID-19 protocol in the school premises and ultimately they will become the carrier to the families which are not inflected yet. Many children may be suffering from unknown diseases and corona will be a bigger threat to their life. Moreover, many teachers may become unknowingly the carrier and spread the disease to the children because children are more attached with teachers. Opening of schools in September will not be safe. My suggestion is not to open schools unless complete eradication of corona from the state. However, students who are in higher classes particularly in class 10 and 12 may be supported with study materials via different media. The students of lower classes may be directly promoted, if required.

  • নুরুল ইসলাম লস্কর, চিত্র সাংবাদিক

সোজাসাপটা কথায় বললে, বাচ্চা স্কুলে দেবো না। কারণ নিজের উপরই ভরসা নেই আমার। কোভিড মহামারী একটা ভাইরাল রোগ। শর্ত রয়েছে মাস্ক পড়ে স্যানিটাইজ করে ডিসটেন্স মেনটেন করতে হবে। পাঁচ মাস পর যদি স্কুলে যায় ছোট-ছোট বাচ্চারা, এরা কি ডিসটেন্স মেনটেন করবে। আবেগিক হয়ে যাবে, স্কুলে গিয়ে খেলাধুলা করবে । ভুল তো দেখে যাচ্ছি শহরে অনেক গুণী, জ্ঞানী, শিক্ষিতরা করছেন। পাড়ায় পাড়ায় সরকারি নির্দেশের অবমাননা হচ্ছে। ভুল একজনের, ভোগান্তি সমাজের। এককথায় বললে, যতদূর পারি, সতর্ক থাকবো, দূরত্ব বজায় রাখব, জনসমাগম এড়িয়ে চলব, কিন্তু বাচ্চাদের স্কুলে দেবো না। সরকারকে সমর্থন করি, সম্মান করি, পাশাপাশি সন্তানদেরও ভালোবাসি।

  • মঞ্জরি হীরামণি রায়, শিক্ষিকা

এই অতিমারী সময়ে, যখন আমাদের দেশে ভাইরাসটি তার তান্ডবের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, তখন স্কুল খোলার কথা ভাবনাতে আনাটাই আশ্চর্যের বিষয়। এটা বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। একজন অভিভাবক হিসেবে আমি সন্তানের শিক্ষার ব্যাপারে যেমন সচেতন, তেমনি তার স্বাস্থ্য নিয়েও সমান সচেতন। আজকের পরিস্থিতিতে শিক্ষা অপেক্ষা করতে পারে কিন্তু স্বাস্থ্য কিছুতেই নয়। কারণ করোনা প্রচন্ড সংক্রামক এবং অনেক সময় প্রাণঘাতীও বটে!খোলা জায়গায় পাঠদান করার মতো পরিকাঠামোও আমাদের স্কুল গুলোতে নেই। শ্রেণি কক্ষের বদ্ধ পরিবেশে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এছাড়া শিক্ষকরা ( অনেক ক্ষেত্রে পড়ুয়ারাও) অনেকেই পাবলিক যানে স্কুলে আসবেন, সে ক্ষেত্রে আসা যাওয়ার পথে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

  • মধুমিতা ভট্টাচার্য, নৃত্যশিল্পী

না, সন্তানের জীবন কেরিয়ার থেকে অনেক বেশি দামি। আমাদের পরিকাঠামো নাগরিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেবার মত হয়ে ওঠেনি, আর এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি না, আমার সন্তান তার স্কুলে নিরাপদ।

  • Tumpa Roy Goswami, Banking Executive

I completely disagree with the proposal of sending children now to school or reopening of school. I oppose and question the higher authority, “Who will take the sole responsibility of caring our child at school? Can they assure that our children will not be affected with Covid-19? Can they take proper care of our children?

  • Moushumi Dhar Saha, Businesswoman

My child’s health is more precious to me than studies. Moreover, the Covid trend is increasing day by day creating more havoc. I at my residence have experienced the COVID strain, so can know how fatal it can be. So to all intellectuals who find Covid as normal ILI, please be more cautious and think twice before opening schools. Why cant you promote class X students to XI as they have gathered proper knowledge till class X so long.

  • Anamika Dhar, Entrepreneur

A big “NO” is what I would like to say on the issue of reopening schools in September. It remains my first priority when it come to send my child back to school. It is really unsafe for a 9 year old child to resume his classes before being vaccinated. My child’s health status always remains my first priority, even if he is to suffer academic loss.

  • Goutam Goswami, Businessman

A million dollars question, “Is it safe to send my child to school, should government decide to open educational institution post 1st September ‘2020? I am sure this is a question haunting every parent’s mind at this moment. My son is 9+, studies in 4th standard. Obviously, I don’t expect him or his fellow students to to follow the COVID 19 protocol. The administration might be acting as everything is falling back to place, however, unfortunately it is not. The is grimmer than before. Under such circumstances, I cannot take chance of risking my child’s life. So sending him to school under the current situation is totally out of question. Yes, for grown up college going students, it might be possible but certainly not for small kids. So I request the government to kindly consider the reality before taking any decision.

  • Sanjeev Roy, President, Youths Against Social Evils(YASE), Central Committee. Silchar

No way, never. The adverse pandemic effect is transparent at present, not only in India but also worldwide. The same trend was followed by US recently but the outcome of such a step was very harsh. More than 90% of the students got affected there with Covid-19 and are facing severe hardships at present.

In India, the figure is very much nearer to 30 lakhs and the present figure is the clear outcome of totally ‘Unplanned Lockdown’ and a series of unplanned ‘Unlocks’ too. Different political and non-political programmes, several Govt programmes has witnessed clear violations of Covid-19 protocols and this is one of the major reason of present outburst of the virus.

What is the guarantee that the school authorities will follow the guidelines and protocol hundred percent? How can the schools be monitored thoroughly? The school children may not have the clear concept as they are observing series of violations regularly and without any prompt actions from the competent authorities. If Schools are directed by Govt of Assam to reopen from the month of September, I will be the last person to send my child to the school, at least not during the present critical situation. Moreover, I will request the government to conduct some online awareness classes to make the children aware about the preventive measures and caring of Covid-19. It must be done immediately and after that whenever the infection rate decreases and curing rate ascends then only, after proper monitoring and after satisfying all the needs required for caring Covid-19, the schools may be reopened. But, at present, no experiments should be carried out on the innocent lives and the hearts of the parents. My suggestion is simply ‘NO’.

  • শিবাশিস চক্রবর্তী, সাংবাদিক

আর কতই বা ঘরে বসে থাকবে পড়ুয়ারা! লকডাউনের পর আনলক পর্যায়ে স্কুলচত্বরগুলো ছাত্রছাত্রীর কলকাকলিতে মুখর হোক, এই চাওয়ার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। জীবনের ছন্দেই জীবনে ফিরুক সবাই। ঘরে বসে মোবাইলে পড়াশোনা কোনওভাবেই স্কুলের আসল ক্লাসের বিকল্প হতে পারে না। আসলে কেবল সিলেবাস আত্মস্থ করার মধ্যেই ছাত্রমন পড়ে থাকে না। আরও অনেক কিছু লকডাউনে মিস করছে তারা। সহপাঠী বন্ধু বান্ধব-বান্ধবী পরস্পরের মুখোমুখি হতে পারছে না প্রায় ছ’মাস হতে চলল। নেই খেলাধুলো, এমনকী লাগালাগি, দুষ্টুমির সামান্য সুযোগও। এ বিড়ম্বনা কি অনন্ত কাল মেনে নেওয়া যায়?

সুতরাং, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত সাধুবাদ যোগ্য। অবশ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই স্কুলে যেতে হবে সবার। এ দিকটাতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা, কোভিড ১৯ নতুন করে স্কুলপড়ুয়াদের জীবনে বিভীষিকা বয়ে আনুক, সেটাও কেউ চাইবে না। প্রথমদিকে সীমিত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী দিয়ে শুরু হোক পড়াশোনা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বিবেচনা করেই না হয় পদক্ষেপ নেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ । ভুলে যাওয়া উচিত নয়, করোনা কালে চোখে সর্ষেফুল দেখছে বেসরকারি স্কুলগুলো। কীভাবে শিক্ষকের মাইনে দিতে হবে, কালেকশন হবে, ক্লাস বহাল রাখা হবে, ইত্যাদি নানা চিন্তায় নাজেহাল মালিকপক্ষ। অতএব স্কুল তার ছন্দে ফেরা আর্থ-সামাজিক দিক দিয়েও জরুরি। অসংখ্য শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীর রুটি-রুজির প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িত৷

Image for Representation
  • Biplab Biswas, Teacher

The re-opening of educational institution depends upon the improvement of the situation and also as per the central government’s decision and permission. Being a parent, it is very tough to decide right at this moment. The life of children is more precious rather than to send them to school due to Covid -19 pandemic. In our district, the phenomenon of community spread has already been started. So, for the sake of my children, I would prefer e-learning rather than to send them to school until normalcy returns back.

  • Arindam Hore, Businessman

As parents, we have already decided to send our child to school only when we think it’s safe. I am ready to defy any order from her school, but will not compromise on her safety. It’s not arrogance rather weakness.

  • Dr. KL Baishnab, Associate Professor, NIT, Silchar

We are not at all ready to send our kids to school unless and until normalcy and stability comes in the society regarding the ongoing pandemic.

Even govt issue order for opening school, taking safety point of view, parents would participate in the exercise or experiment. Already govt machinaries are functioning above it’s capacity. Experiment with the school will pay serious consequences… As a parent I advise not to open school, kids are almost settled…with the situation, understood the need of honour.
I appreciate effort taken by state and central govt.. Specially our Health minister Dr Himanta Biswa Sarma, for his unabated effort to douse the criss in this pandemic.

  • Surajit Shome, Social Activist

I am not interested to send my son in the school in the present situation when the virus is in the community.

  • Sanjay De, Administrative Official, LIC of India, Silchar

As parents of school going child, I feel it would not be a wise move to open schools from September, especially the primary level. In our country as well as the state, Corona positive cases are increasing day by day and so also the number of deaths. A sense of panic & confusion prevails everywhere. England based journal “Mirror” published on 10th August, 2020 that as many as 97000 children were tested positive within two weeks of opening of schools & universities in America. Given the awful & inadequate medical infrastructure in our country therefore, it would be rather a perilous proposition for our kids to expose them to such dreadful health hazards. Let’s admit the pandemic is once in a century crisis.

Therefore, our future generation should be safeguarded against all odds. After all, safety comes first than education. No doubt, mental & physical alertness of kids can not be expected to be equal to an adult individual to understand fully the necessity of mask, sanitization, social distancing, etc. and our overcrowded schools are not equally equipped enough to follow all norms for covid protection. Therefore, it would be my earnest appeal to the concerned authorities in Govt to take decision of opening up the schools only after there are sharp and sustained decline in Corona cases.

  • Arnab Kumar Das, OSD, Airport Authoroty of India, Silchar 

As per the latest Assam Government guidelines, only the Teachers have been asked to report for School from 1st September 2020 after carrying out COVID 19 test and that too RT-PCR. This is an welcome initiative by Government of Assam. But there are many more points to be taken care off before asking students to attend their classes in school and colleges.

  • Whether the students would be tested before they are allowed inside schools? Has the State Government or District Administration chalked out any plan regarding this, coz any COVID Positive student inside the Classroom is going to create huge problem for the entire school.
  • Every classroom has a capacity of 50 to 60 students with twin sharing desks. As per the MoHF, social distancing norms has to be followed and hence single desk has to be provided for each students. This will offcourse create a huge space crunch in the Class room and they might be able to accommodate only 25 to 30 students at the most inside a classroom. So has the Government of Assam considered this before asking students to attend Schools? Did they inform the School Authorities to make necessary arrangements regarding the same?
  • If sl no. 2 has to be implemented, which is a must, then it might happen that the school has to conduct classes for particular students on alternative days or weeks, whichever suitable. It should be the responsibility of the teacher to maintain proper social Distancing amongst students and carry out awareness amongst the students frequently.
  • Another point is regarding segregation & sanitisation of toilets in schools. This has to be given outmost importance and school administration has to ensure frequent cleaning of toilets and common touch points desks classrooms etc at regular intervals. School has to prepare a SOP regarding the same and share with parents and administration.
  • Every School has to ensure availability of certified hand sanitizer inside classrooms and hand washes in the toilets without failure or any excuses.
  • Now it also understood that to implement the above MoHF & ICMR guidelines, schools have to incur additional expenditure and private schools would like to pass the burden on to the students. Government of Assam must bring in strict regulations to stop private schools from indulging in these kinda activities.
  • Last but not the least, whenever Vaccines for COVID-19 are made available, students along with senior citizens should be given first preference for availing the same free of cost.

  • Dr Nabendu Sen, Assistant professor, Deptt of Mathematics, Assam University
Being a responsible citizen, it is our duty to follow government orders. But at the same time, it is our responsibility to protect our children during the situation like Covid-19.  The statistics of coronavirus affected people in our country is alarming. So it seems to be an early decision to reopen academic institutions.  The government should take a bit more time to design a complete blue print to save future generation of our country. This year may be taken as the year of survival. In fine, I firmly say that I shall not send my son in school even if government passes any law.
. কৃষ্ণগোপাল হালদার, সমাজসেবী
এখন সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর প্রস্তাব অবাস্তব৷ ভ্যাকসিনই যেহেতু এর একমাত্র সমাধান, তাই এর আগে তাদের স্কুলে পাঠানো ঠিক নয়৷ কারণ সন্তানরাই হল আমাদের সম্পদ৷ করোনা নিত্য বাড়ছে৷ স্কুল খুললে শিক্ষক-ছাত্র সবার সংক্রমিত হতে হবে৷ বড় চিন্তার কথা!
. শিল্পী চৌধুরী, শিক্ষিকা
এখনই স্কুল খোলার ব্যাপারে আমার মত নেই৷ কারণ কোনও ভ্যাকসিন এখনও বের হয়নি৷ এই সময়ে স্কুল খোলার অর্থ হল বাচ্চাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা৷ আমার অভিমত, স্কুলগুলিতেই ভাল করে অনলাইন ক্লাশের ব্যবস্থা হোক, পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হোক৷ ওইসব না করে এখন স্কুল খুলে দিলে তা হবে তুঘলকি সিদ্ধান্ত৷
. Rajesh Deb, Social activist
I am strongly against it. School should not open on September. If the decision taken to open schools just after 8-9 days, it will be highly risky as the number of cases is raising daily. My opinion is that, school-colleges may open on 1st October.
  • সব্যসাচী রুদ্র গুপ্ত, সমাজকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক

না !! করোনার ভেকসিন বাজারে না আসলে স্কুল পড়ুয়াদের মোটেই স্কুলে পাঠানোর ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন করোনা মহামারি সামাজিক সংক্রমণে পরিণত হয়েছে, এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি চালু করার সিদ্ধান্ত মোটেই সমর্থনযোগ্য ও যুক্তিসঙ্গত নয়। কোভিড ১৯ নীতি-নির্দেশিকাগুলি সফলভাবে বাস্তবায়নে আমাদের সরকার বা প্রশাসন এখনও অনেকটাই দুর্বল। জনগণ মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা—এসব ব্যাপারে মারাত্মকভাবে বেপোরোয়া। কাদের শরীরে ভাইরাস রয়েছে, তা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। কারণ শারীরিক লক্ষণহীন রোগীর সংখ্যাই বেশি।এই পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অবশ্যই তাদের অভিভাবকরাও সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।এর থেকে সংক্রমণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে৷ ছাত্র-ছাত্রীরা, বিশেষ করে যারা শিশু বা বাল্যাবস্থায়, তাদের করোনা মহামারির ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা স্বাভাবিকভাবেই একেবারে কম। তারা সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে মেলামেশা, খেলাধূলার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবে না। একটু পর পর স্যানিটাইজ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয় এবং আশা করাটাও ভুল। এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলেও, তা সফলভাবে রূপায়ণ হওয়া কখনও সম্ভব নয়। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবনেরও ঝুঁকি রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পুণরায় স্বাভাবিক নিয়মে চালু করার পূর্বে সরকারের উচিত করোনা ভ্যাকসিন বাজারজাত করা, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকাগুলি জনগণের মেনে চলার ক্ষেত্রে আরও কঠোর হওয়া এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেষ্ট হওয়া। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যখন এগোবে, তখন অবশ্যই স্কুল-কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাবধানতা অবলম্বনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি স্বাভাবিক নিয়মে চালু করতে হবে। অন্যথায় হিতে বিপরীত হবে। শিক্ষাজীবন থেকে একবছর বাদ পড়ে গেলে মারাত্মক কোনও ক্ষতি হবে না, কিন্তু জীবনের ঝুঁকি কোনভাবে নেওয়া যাবে না।

  • Subrata Roy, Executive Member, Centre for Medical & Sales Representatives Union (NEW)

It must be kept back in mind that many developed nations have already faced adversely a disastrous consequences by reopening the educational institutions in challenging the Coronavirus and as a result, millions of students around the world have been infected and died so far. On the contrary, in India being a developing state having a lack of infrastructure, every day the people are being infected and the spike of fatality rate has been mounting day by day. Amid this ongoing catastrophic situation, it is praiseworthy that our teachers have been putting their best possible efforts relentlessly to educate our children through online which is to some extent effective for secondary and senior secondary students but not at all effective for primary students what I personally think, despite knowing the facts that 30% of our population only do have Smartphone in our country.

In this environment, I wonder how Govt. of India ponders to reopen the educational institutions at this hour! Who will take responsibility for our kids at the end? However, I strongly believe that at this pestilence not a single parent will send their kids to the Schools or Colleges, etc unless and until the situation is normalized.
Hence, in this context, I, being a parent of two kids sincerely suggest and at the same time request to the Ministry of Education of India must think on to consult further with the respective State Govt. and with the appropriate personnel of this field before to come into a conclusion on the question of taking final decision of reopening the educational institutions at this hour to mitigate the risk of further more unimaginable tragedy in our country.

  • ধর্মানন্দ দেব, আইনজীবী

সকলেরই জানা কোভিড-১৯ ও লকডাউনের দরুন সমগ্র দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে খোলা হবে। তবে আগামী ৩১ আগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা চূড়ান্ত গাইডলাইন দেখার পর বিষয়টি কতটুকু বাস্তবসম্মত বোঝা যেতে পারে । জারি হতে পারে প্রয়োজনীয় এসওপি। অবশ্য এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক একমাত্র সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। বরাক উপত্যকা সহ আসামে করোনা অতিমারির বর্তমান যে গ্রাফ রয়েছে, সেটা দেখে আমি একজন অতি-সাধারণ অভিভাবক হিসাবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি  এই মুহুর্তে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির ক্লাস আরম্ভ করা উচিত হবে না ।খাতায়-কলমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাস্তবে আমার মতো অনেক অভিভাবকই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী পাঠাবেন না। ফল হবে অশ্বডিম্ব । সরকার বা স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন সিদ্ধান্তে বিপুল সংখ্যক কচি-কাচাদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে ।

তবে সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যদি মনে করেন, তবে পরীক্ষামূলকভাবে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও করোনা বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোর ক্লাস আরম্ভ করে দেখতে পারেন । আমাদের শুধু সুইজারল্যান্ডের মডেল অনুসরন করলে চলবে না৷ ভাবতে হবে, ভারত ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে থাকা বিস্তর ফারাকগুলি নিয়েও ।

Related Articles

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker