Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ভোটার সচেতনতায় দীর্ঘতম আলপনা, রেকর্ড গড়ল কাছাড়Cachar District creates record by creating longest street art on voter awareness
ওয়েটুবরাক, ১৪ মার্চঃ শয়ে শয়ে মানুষ আলপনা আঁকলেন। হাতিছড়া থেকে ডলু পর্যন্ত আট কিলোমিটার জুড়ে পথের ওপর ফুটে উঠল নানা রকমের নকশা। দিনভর এই কাজের সাফল্য মিলেছে। আজ রবিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কাছাড়ে। আগের কৃষ্ণা জেলার বিজয়ওয়াড়ার চার কিলোমিটারের রেকর্ড ভেঙে খানখান। এর কৃতিত্ব সাড়ে তিন হাজার আলপনা শিল্পীকেই প্রদান করলেন কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি।
ভোর পাঁচটা থেকে আঁকা শুরু হয়। চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। কাছাড়ের শিল্পীদল বারো ঘণ্টার আগেই তা সেরে নেন। কে ছিলেন না ওই দলে ! বিভিন্ন আত্ম-সহায়ক গোষ্ঠীর মহিলা, বাগান শ্রমিক, কলেজ পড়ুয়া, আসাম রাইফেলস, সিআরপিএফ, বিএসএফ, এনসিসি, এসএসএস, স্কাউট-গাইড আরও কত যে! আগ্রহী সাধারণ জনতার সংখ্যাটাও কম নয়! কীর্তি জল্লি জানিয়েছেন, পেশাদারী শিল্পীদেরও তিনি ডেকে এনেছিলেন৷ মোট ৮০টি দল গঠন করা হয়েছিল৷ প্রতিটি দলকে একশো মিটার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়৷ আর দেওয়া হয় একজন করে বিনা পারিশ্রমিকের পেশাদার শিল্পী৷ তাঁরা সবাই পরে জানান, এই কাজে শরিক হতে পেরে খুব ভাল লাগছে৷
জেলাশাসক বললেন, এই উদ্যোগ মূলত ভোটার সচেতনতারই এক অঙ্গ৷ আলপনাতে শিল্পীরা ওই বার্তাই বেশি করে তুলে ধরতে চেয়েছেন৷ এরই সঙ্গে কেউ কেউ পাখি সুরক্ষা, নেশাবিরোধী এবং প্লাস্টিক নয়, নিরাপদ যান চালনা থিমকেও ফুটিয়ে তোলেন৷
ওইসব দেখে রেকর্ড পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, এর আগে আলপনা বা রঙ্গোলির রেকর্ড রয়েছে বিজয়ওয়াড়ার। অন্ধ্রপ্রদেশের কৃ্ষ্ণা জেলার মানুষ চার কিলোমিটার এলাকা তুলির ছোঁয়ায় রঙিন করে তুলেছিলেন। তাও শুধু দৈর্ঘের হিসেবে নয়, আয়তাকার একটি জায়গায় আলপনা আঁকা হয়েছিল বলে দৈর্ঘ্য-প্রস্থ দুইই হিসেবে এসেছিল। এ ছাড়া, রেকর্ডটাই লক্ষ্য ছিল সেখানে। আজ রেকর্ডকে সামনে রেখে ভোটদানের বার্তা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তাঁর কথায়, কৃষ্ণায় চার কিলোমিটার আর কাছাড়ে আট কিলোমিটার আলপনা হয়েছে। ফলে পুরনো রেকর্ড গিয়ে ভেঙেছে। পাশাপাশি দৈর্ঘের দিক থেকে এবং ভোটার সচেতনতার হিসেবে কাছাড় জেলাই প্রথম এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
একে অভিনব বলে উল্লেখ করেছেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত কাছাড়ের সাধারণ পর্যবেক্ষক অম্লান বিশ্বাসও৷