Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ফেল ছাত্রছাত্রীরা শিলচরে ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল, পাশে ডিএসও
ওয়েটুবরাক, ৫ আগস্ট : আজ বৃহস্পতিবার শিলচরের মনমোহন হাইস্কুল, নিবেদিতা হাইস্কুল, ছোটলাল শেঠ হাইস্কুল, গভর্নমেন্ট গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, কাছাড় হাইস্কুল, ঘরবরণ হাইস্কুলের শতাধিক অনুত্তীৰ্ণ ছাত্ৰ-ছাত্ৰী জেলাশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভে ছাত্র ছাত্রীরা জানতে চায়, বিনা পরীক্ষায় বেশিরভাগ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের স্কুলের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাস করিয়ে দেওয়া হলে তাদের কেন বঞ্চিত করা হয়েছে ? বেসরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তো ১০০ শতাংশ পাস করানো হলে সরকারি স্কুলে কেন তাদের এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল? এদিকে, অনুত্তীৰ্ণ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের ফলাফলকে পুনঃবিবেচনা করার দাবিতে গত বুধবার এআইডিএসও শিক্ষামন্ত্ৰীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে৷ আজ এর প্রতিলিপি জেলার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপায়ুক্ত দীপক জিডুঙের হাতে তুলে দেন এআইডিএসও’র কাছাড় জেলা সম্পাদক গৌর চন্দ্র দাস, কোষাধ্যক্ষ পল্লব ভট্টাচার্য, আপন লাল দাস, বাবলি দাস ও ডোনা বর্মন৷
বেরিয়ে এসে তাঁরা অনুত্তীৰ্ণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এআইডিএসও’র পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্ৰীর নিকট স্মারকপত্র প্রদান করে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
তাঁদের কথায়, প্রত্যেক অনুত্তীৰ্ণ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীর ফলাফলকে পুনঃবিবেচনা করতে হবে৷ কারণ ফেল করা ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের মধ্যে অনেকের পাস করার যোগ্যতা রয়েছে। তাই নিজ নিজ স্কুলেই ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত মূল্যায়ন করে উত্তীৰ্ণ হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা বিভাগ যে ভাবে ফেল করা ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পরীক্ষা বোর্ডের অধীনে নিতে চাইছে তা যুক্তিসম্মত নয়। কারণ দু’ধরনের নিয়ম একই ধরনের ছাত্রছাত্রীর জন্য প্রযোজ্য হতে পারে না।
যেহেতু বিশেষ মূল্যায়ন পদ্ধতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রদান করা নম্বরের ভিত্তিতে এ বছর ছাত্র ছাত্রীদের পাস করানো হয়েছে তাই ফেল করা ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পুনর্মূল্যায়ন স্কুল কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। সেক্ষেত্রে তারাই ঠিক করবেন ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের মেধা যাচাই অনলাইন পরীক্ষায় না এসাইনমেন্টের ভিত্তিতে করবেন। এ আই ডি এস ও’র পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা নিলে তার রেজাল্ট ঘোষণা করতে দেরি হওয়া স্বাভাবিক৷ সে ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাশ করলেও ছাত্ৰ-ছাত্ৰীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে না এবং তাদের একটি বছর নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পূর্বেই মেট্ৰিক ও হায়ার সেকেন্ডারির বিকল্প মূল্যায়নে ফেল করা ছাত্র ছাত্রীদের পুনঃমূল্যায়ন করে ফলাফল ঘোষণা করার দাবি জানান তারা।