Barak Updates
ত্রিপুরা পঞ্চায়েতে ৯৬ শতাংশ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি, ভোট ৩০ সেপ্টেম্বরBJP to win 90 percent seats in Tripura Panchayat polls unopposed, polling on 30 September
১৬ সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ৯৬ শতাংশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই দখল কায়েম করতে চলেছে। এছাড়া দল রাজ্যের মোট ১৮টি জেলা পরিষদেও দখল নিচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা এ খবর জানিয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ৩৩৮৬ আসনে উপ- নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩২০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৬১টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ১৮টি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে।
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গঠন হওয়ার পর বড় সংখ্যায় বাম দলগুলোর প্রতিনিধিরা ইস্তফা দেওয়ায় এই আসনগুলো খালি হয়েছে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের কিছু আসনে প্রতিনিধিরা মারা যাওয়ায়ও কয়েকটি আসন খালি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বিজেপি প্রার্থীরা ৩০৭৫ গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৫৪ পঞ্চায়েত সমিতি ও ১৮টি জেলা পরিষদের সবক’টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন শুধুমাত্র ১৩২টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৭টি পঞ্চায়েত সমিতির জন্যই হবে। নাম প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ শুক্রবার।
অন্যদিকে বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস এবং বিধানসভায় বিজেপি জোটের শরিক হলেও পঞ্চায়েতে পৃথকভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া আইপিএফটি নির্বাচন কমিশনকে বলেছে, একের পর এক হিংসার জন্য তাদের দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য তারা ভোট দ্বিতীয়বার করার দাবি জানিয়েছেন। এই দলগুলোর পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি কর্মকর্তারা তাদের দলের প্রার্থীদের ৩৫টি ব্লকে গত সোম ও মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধাদান করেছেন। তবে বিজেপি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরায় গত সোম ও মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গোষ্ঠীর মধ্যে কমপক্ষে ১২ জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিজেপি, কংগ্রেস ও আইপিএফটির ২৫ কর্মকর্তা এবং দুই শীর্ষ আধিকারিক সহ ১০ পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।
বিরোধীদের অভিযোগ অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বিজেপির রাজ্য প্রবক্তা মৃণাল কান্তি দেব বলেন, বিরোধী দলগুলো বিশেষ করে সিপিএম পঞ্চায়েত ভোটের জন্য যোগ্য প্রার্থী খুঁজে বের করতে পারেনি। তাছাড়া ত্রিপুরায় বেশিরভাগ মানুষ বামদল ও কংগ্রেসের পক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
অন্যদিকে সিপিএম কেন্দ্রীয় সমিতির সদস্য গৌতম দাস ত্রিপুরার নির্বাচন কমিশনার জি কামেশ্বর রাওয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরায় বর্তমানে মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করানোর পরিবেশ নেই। ৩৫টি ব্লকের মধ্যে ২৮টিতেই শাসক বিজেপি দলের সমর্থকরা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা করাতে দেননি।