Barak UpdatesHappenings
খাঁচায় মৃত্যু, উধারবন্দ মণ্ডপ থেকে পাখি বের করে নিল বনবিভাগBirds die inside cages, Forest Department remove birds from Udharbond Puja pandal
৫ অক্টোবরঃ পরিবেশ মন্ত্রীর নিজের জেলায় জন-বিনোদনের নামে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া হল দুটি রঙিন পাখিকে। এর পরই অবশ্য টনক নড়ে জেলাপ্রশাসনের। দ্রুত বন্দি পাখিগুলিকে বের করার জন্য জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি ডিএফও-কে নির্দেশ দেন। বিশাল বাহিনী নিয়ে ডিএফও সান্নিদেও চৌধুরী সমস্ত পাখি উধারবন্দ কালীবাড়ি রোড পূজামণ্ডপ থেকে বের করে আনেন।
পুজোকর্তা শঙ্কর রায়ের সব দাবি ভুয়ো প্রমাণ করে দিল ওই দুই নিরীহ পাখির মৃত্যু। খাঁচাবন্দি পাখির মৃত্যুসংবাদ বেরিয়ে পড়তেই নতুন করে নড়ে বসে জেলাপ্রশাসন। সকালে সুর নামিয়ে জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি জানিয়েছিলেন, পাখি সরানোর ‘নির্দেশ’ নয়, তাদের সরিয়ে নিতে ‘বলেছিলাম’ মাত্র। কিন্তু দুই পাখির মৃত্যুতে তিনি দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করেন। শুধু পাখি বের করে নেওয়া নয়, লায়া মাদ্দুরি জানিয়েছেন, দুটি পাখির মৃত্যুর জন্য দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতেও বনবিভাগকে বলা হয়েছে।
ডিএফও সান্নি দেওচৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন, এই পাখিগুলি বন বিভাগের দুষ্প্রাপ্য পাখির তালিকায় পড়ে না। তাই ব্যবস্থা নিতে হবে জেলা প্রশাসন বা অন্য কোনও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকেই।
এ দিকে, পাখি আটকে বিনোদনের জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি পুজো কমিটির প্রধান কর্মকর্তা শঙ্কর রায়। শুক্রবার জেলাশাসক পাখি সরিয়ে নিতে বললে শঙ্করবাবু যুক্তি দেখিয়েছিলেন, তাদের এমনভাবে ভেতরে ঢোকানো হয়েছে যে, মণ্ডপ না ভেঙে সেগুলিকে বের করে আনা সম্ভব নয়। পুজোর আগেই মণ্ডপ ভাঙা দর্শনার্খীরা মানবেন কিনা, এমন প্রশ্নও তুলেছিলেন। শনিবার সেগুলি সরাতে গিয়ে বনবিভাগের মণ্ডপ ভাঙার প্রয়োজন পড়েনি। তবে শুক্রবার যত হাঁকডাক চলুক, শনিবার পাখি সরানো নিয়ে কোনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। বিশাল বাহিনী শুধু দাঁড়িয়েই ছিল। সাধারণ বনকর্মীদের সঙ্গে পাখি বের করার কাজে বরং পুজো কমিটির কিছু সদস্যও হাত লাগান।
কিন্তু পাখিগুলির এখন কী হবে? ডিএফও জানান, সে নিয়ে এখনও কিছু ভাবা হয়নি। আপাতত এগুলিকে বনবিভাগের তত্ত্বাবধানেই রাখা হচ্ছে।