Barak UpdatesHappeningsBreaking News
দেবানন্দ বরগোঁহাইকে বরখাস্তের দাবি জানাল বিডিএফBDF raises demand of dismissal of AHSEC Chairman
ওয়েটুবরাক, ২০ এপ্রিল: আসাম হায়ার সেকেন্ডারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দয়ানন্দ বরগোঁহাই সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে যে উগ্র জাতীয়তাবাদী বক্তব্য রেখেছেন, এর তীব্র বিরোধিতা করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, চেয়ারম্যানের এই বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকার এক শ্রেণীর মানুষ বরাক সম্পর্কে কী মনোভাব পোষণ করেন। তিনি বলেন, দয়ানন্দবাবু বরাককে আলাদা করে দেওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমে না বলে সরকারকে বলুন। যদি সরকারের মনোভাবও তাই হয় তবে পৃথক হতে কোন আপত্তি নেই বরাকের নাগরিকদের। যদিও এই দাবি এখনও তেমনভাবে করেননি বরাকবাসী, তবে স্বাভিমানে আঘাত লাগলে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তাঁরা। প্রদীপবাবু বলেন, আসলে এসব করে ইচ্ছাকৃত ভাবে বরাককে পৃথকীকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বিডিএফ যুব ফ্রন্টের আহ্বায়ক কল্পার্নব গুপ্ত বলেন, একটি সরকারি পদে থেকে এইধরনের তীব্র সাম্প্রদায়িক বক্তব্য করে নিঃসন্দেহে সরকারি নিয়মনীতি ভঙ্গ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক পরিষদের চেয়ারম্যান। এজন্য তাঁকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। অন্যথায় এর প্রতিবাদে বরাকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
Also Read: FIR lodged against Chairman of AHSEC for ‘controversial comment on Bengalis of Barak
প্রদীপ দত্তরায়ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বরাকের লোক মোটেই অসমিয়া বিরোধী নন। তাঁরা অসমিয়া ভাষা সংস্কৃতিকে ভালবাসেন এবং অধিকাংশই অসমিয়া ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে পারেন। কিন্তু জোর করে তাদের উপর অসমিয়া ভাষা চাপিয়ে দেবার কোনও প্রচেষ্টা সর্বশক্তি দিয়ে রুখবেন তাঁরা। তাঁর কথায়, সরকারি কর্তাব্যক্তিদের মনে রাখা দরকার, এই রাজ্য শুধু অসমিয়াদের নয়, এর এক বহুভাষিক চরিত্র রয়েছে। এখানে বোড়ো জনগোষ্ঠীর লোকেরা রয়েছেন যাদের জনসংখ্যা ৫০ লক্ষ, আছেন এক কোটি বাঙালি। আছেন ডিমাসা, কার্বি সহ বহু গোষ্ঠী। এদের সবাইকে জোর করে অসমিয়া বানাতে গেলে আবার শতধাবিভক্ত হবে আসাম।
Also Read: Sushmita Dev write to Assam CM, demands immediate action against AHSEC Chairman
বিডিএফ-এর আরেক আহ্বায়ক পার্থ দাস বলেন, ১৯ মে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সেবা চেয়ারম্যান বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, সোমবারের মধ্যে এই পরীক্ষা কার্যসূচি পরিবর্তন করে সংশোধিত রুটিন প্রকাশ করবেন। এসব যে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি ছিল, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত এবং তাঁরা যে ইচ্ছাকৃতভাবে বরাকবাসীর ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন, তাও বোঝা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে শিলচরের সাংসদের ভূমিকা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ ব্যাক্ত করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ২৬ এপ্রিলের প্রস্তাবিত বনধকে বাতিল করার জন্যই তড়িঘড়ি করে এই ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন সাংসদ রাজদীপ রায়। অন্যথা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন এখন অব্দি কোনও পদক্ষেপ নিল না শিক্ষা বিভাগ ?