SportsBreaking News

আইপিএল ট্রফি জিতল চেন্নাই

ওয়েটুবরাক, ১৬ অক্টোবর : তৃতীয় বারের মতো ট্রফি ঘরে তোলা হল না শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সন্তান আরিয়ানকে নিয়ে বিপর্যস্ত শাহরুখ হয়তো দল ট্রফি জিতলে কিছুটা শান্তি পেতেন। কিন্তু তাও হল না।

কলকাতার মিডল অর্ডার শুক্রবার আত্মসমর্পণ করল প্রতিপক্ষ চেন্নাই কিংসের কাছে। ওপেনাররা বাদে কেউই দাঁড়াতে পারলেন না। দুবাইয়ের পিচে বড় রান ওঠালেও সেই রান তাড়া না করার মতো পরিস্থিতি একেবারেই ছিল না। কিন্তু মর্গ্যানের দলের ব্যাটারদের উন্নতি না করা এবং শিক্ষা না নেওয়ার মনোভাব ফের এক বার ডোবাল। উল্টোদিকে, চেন্নাইয়ের জার্সিতে শেষ বার খেলা মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ট্রফি জিতে নিজের বিদায় স্মরণীয় করে রাখলেন। চেন্নাইয়ের তোলা ১৯২-এর জবাবে কলকাতা থেমে গেল ১৬৫ রানে।

ম্যাচের শুরুর দিকেই দু’প্লেসিকে স্টাম্প করার সুযোগ হাতছাড়া করেন দীনেশ কার্তিক। চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষে সেই সুযোগ নষ্টের পরিণাম হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তারা। ৫৯ বলে ৮৬ রান করে কলকাতার হাত থেকে একাই ম্যাচ কেড়ে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ব্যাটার। এক বার প্রাণ ফিরে পেয়ে আর ভুল করেননি। বাকি ম্যাচে কলকাতার বোলারদের উপরে রীতিমতো তাণ্ডবনৃত্য করলেন তিনি। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকলেন এবং একেবারে শেষ বলে আউট হলেন।

দু’প্লেসিকে সঙ্গত দিয়ে কাজের কাজ করে যান চেন্নাইয়ের দুই ব্যাটার রবিন উথাপ্পা এবং মইন আলি। নয় বছর আগে এই ম্যাচে কলকাতার হয়ে খেলেছিলেন উথাপ্পা। দুবাইয়ের মাঠে তিনি হলুদ জার্সিতে। কলকাতার বোলারদের পিটিয়ে ১৫ বলে ৩১ করে আউট হলেন তিনি। চারে নেমে মইন আলিও নিজের কাজটা করে গেলেন। ২০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। নয় বছর আগে কলকাতার বিরুদ্ধে ১৯০ তুলেছিল চেন্নাই। শুক্রবার দু’রান বেশি তুলল। সেই রানই পাহাড়প্রমাণ হয়ে গেল কলকাতার কাছে।

ফাইনালের মতো এত বড় মঞ্চে কলকাতার দুই তরুণ ব্যাটার নিজেদের সেরাটাই বের করে এনেছিলেন। প্রথমেই বেঙ্কটেশ আয়ারের ক্যাচ ফেলে দিলেন ধোনি। এরপর ফের একটি ক্যাচ মিস করলেন তিনি। শুভমন ধরা পড়েছিলেন অম্বাতি রায়ডুর হাতে। কিন্তু সেই বল স্পাইডার ক্যামে লাগায় বলটি অবৈধ হয়ে যায়। দুই ওপেনার মোট তিন বার প্রাণ ফিরে পাওয়ার ফায়দা তুলেছিলেন পুরোপুরি। কলকাতার প্রথম উইকেটে উঠে গিয়েছিল ৯১ রান।

কিন্তু প্রথম উইকেটের পতনের পর আর কেউ প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারলেন না। একের পর এক ফিরে গেলেন কলকাতার ব্যাটাররা। কলকাতার দুই ওপেনারই অর্ধশতরান করেন। কিন্তু মিডল অর্ডারের কেউ দু’অঙ্কের গন্ডি পেরোতে পারলেন না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ঝলসে উঠল না মর্গ্যানের ব্যাট। নিজেকে উপরে তুলে এনেছিলেন। কিন্তু ৮ বলে তাঁর অবদান মাত্র ৪। শেষ দিকে এসে কিছু হারানোর ছিল না শিবম মাভি এবং লকি ফার্গুসনের। দু’জনে মিলে হাত খুলে চেন্নাই বোলারদের মারলেন। যে শার্দূল ঠাকুর কলকাতার ব্যাটারদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁকেই পিটিয়ে এক ওভারে ১৭ রান নিলেন। তাতেও ১৬৫-র বেশি তুলতে পারল না কলকাতা। হেরে গেল ২৭ রানে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker