Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পাঁচ সোনা-রুপো রামানুজ গুপ্ত ডিগ্রি কলেজে, উচ্ছ্বাস
ওয়েটুবরাক, ১৫ জুলাই : কত আর বয়স রামানুজ গুপ্ত ডিগ্রি কলেজের! টেনেটুনে পাঁচ বছর৷ এর মধ্যে ফলাফল মিলেছে তিনবার৷ নিজেদের জুনিয়র কলেজের মতো এখানেও সাফল্যের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী৷ তিনবারই সোনা-রুপোর ছড়াছড়ি৷ প্রথম দুইবার করে দুইজন করে পদক পেলেও এ বার একেবারে পাঁচজন৷ বাণিজ্য, কলা ও বিজ্ঞান তিনবিভাগে মেজর বা অনার্স আছেই শুধু নয় বিষয়ে৷ পাঁচটিতেই রামানুজ গুপ্ত ডিগ্রি কলেজ প্রথম বা দ্বিতীয়৷
পদকজয়ীরা হলেন বাণিজ্য বা হিসাবশাস্ত্রে অন্বেষা দত্ত ও আয়ুষী দত্ত দুই যমজ বোন ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয়৷ রাষ্ট্র বিজ্ঞানেও দুই স্থানাধিকারী ন্যান্সি পাল ও মণিদীপা দেওয়ানজি তাঁদের ছাত্রী৷ ইংরেজিতে রুপোজয়ী রামানুজের সেমিংটন মিশ্র৷ গর্বের পাঁচজনকেই শনিবার সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে কলেজের পক্ষ থেকে স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়৷
কী করে সম্ভব হলো এমন সাফল্য? স্মারক হাতে সদ্য স্নাতকরা জানান, কলেজই তাদের ওই ভাবে এগিয়ে দিয়েছে৷ এমনকী কোভিড যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছিল, শিক্ষক-শিক্ষিকারা ততই প্রস্তুত করে দিচ্ছিল৷ কলেজে কেউ আসতে পারছিল না বটে, কিন্তু নিয়মিত স্টাডি মেটেরিয়াল পাঠিয়ে গিয়েছে৷
কলেজের কর্ণধার তথা রামানুজ গুপ্ত মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সভাপতি রুদ্রনারায়ণ গুপ্তও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন৷ তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা যেমন উল্লেখ করেন, তেমনি বলেন নিষ্ঠার কথা৷ উদাহরণ টানেন কোভিড দিনের৷ ছাত্রছাত্রীরা কলেজে আসতে না পারলেও তাঁরা এসেছেন, নিজেদের ফাঁকা ক্লাশরুমে বসেই কলেজের নিজস্ব অ্যাপের সাহায্যে ক্লাশ করে গিয়েছেন৷
আর বাকিটা কলেজের পরিচালন দক্ষতা৷ রুদ্র জানান, স্কুল, জুনিয়র কলেজ কি ডিগ্রি কলেজ সর্বত্র গুরুত্ব দেওয়া হয় শৃঙ্খলাপরায়ণতায়৷ এরই সুফল মেলে প্রতি স্তরে৷
রুদ্র নারায়ণ ছাড়াও সম্মাননা জ্ঞাপনে উপস্থিত ছিলেন রামানুজ গুপ্ত ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষা ড. অঞ্জনা ভট্টাচার্য৷ ছিলেন রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের প্রশাসনিক আধিকারিক শরদিন্দু ধর এবং অধ্যক্ষ পুণ্যদীপ চন্দও৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলেজ শিক্ষক সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য৷ তাঁরা স্কুল-কলেজে না গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কোচিং ক্লাশে সময় দেওয়ার প্রবণতা বা ড্যামি কলেজের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তাতে কতটা শৈক্ষিক বিকাশ আদৌ হচ্ছে, তা ভেবে দেখতে অভিভাবকদের আহ্বান জানান৷