Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের লাইভ শোAssam University organises live show of lunar eclipse
ওয়েটুবরাক, ৮ নভেম্বর : আজ ৮ নভেম্বর আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাব’ এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় দূরবীনের সাহায্যে চন্দ্রগ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল চারটের সময় শুরু হয় অনুষ্ঠান। চন্দ্রগ্রহণ দেখতে প্রায় পাঁচশো মানুষ উপস্থিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী, নানা বিভাগের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও শিলচরের বিভিন্ন শিক্ষায়তনের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এনআইটি (শিলচর), সেন্ট ক্যাপিটানিও স্কুল (শিলচর), বিবেকানন্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (বড়জালেঙ্গা), প্যারামাউন্ট ইংলিশ অ্যাকাডেমি (রংপুর) থেকে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা গিয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান হয় প্রায় পাঁচটা পনেরোতে। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক রাজীব মোহন পন্থ, বরিষ্ঠ অধ্যাপক অশোক কুমার সেন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ শর্মা, অধ্যাপক অত্রি দেশমুখ্য, অধ্যাপক সুদীপ্ত রায়, সহযোগী অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর দাস, ড. বিশ্ব রঞ্জন রায় , ড. পান্না দেব প্রমুখ।
তিনটি দূরবীনের সাহায্যে সরাসরি গ্রহণ দেখানো ছাড়াও প্রজেক্টারের সাহায্যে পদার্থবিদ্যা বিভাগের বিল্ডিং এর ছাদে লাইভ শো দেখানোর ব্যবস্থা করানো হয়। দায়িত্বে ছিলেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের গবেষক গুলাফসা বেগম চৌধুরী, ভাস্কর গোস্বামী, বিকি প্রসাদ, আশিক জামান, রাংচাইগিরি ব্রহ্ম, বিশ্বজিৎ দেব প্রমুখ। জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে উৎসুক ছাত্রছাত্রীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অধ্যাপক অশোক কুমার সেন এবং ড. হিমাদ্রি শেখর দাস।
ক্লাবের তরফ থেকে গ্রহণ ছাড়াও দূরবীনের সাহায্যে বৃহস্পতি আর শনি গ্রহ দেখানোর ব্যবস্থাও করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাবের আহ্বায়ক এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর দাস বলেন, শিলচরের আকাশ পরিষ্কার থাকায় অধিক সংখ্যক লোক এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে দূরবীনের সাহায্যে চন্দ্রগ্রহণ দেখার সুযোগ পেলেন। গ্রহণ চলাকালীন হালকা রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থাও করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, উপস্থিত দর্শকদের খাবার এবং জল পান করিয়ে কুসংস্কারের বিরূদ্ধে লড়াই করাতে উদ্বুদ্ধ করা। এই প্রয়াস বেশ প্রশংসিত হয়েছে৷