Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আন্তর্জালে হল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসবAssam Univ conducts online meet of its Alumni Association
১৩ ফেব্রুয়ারি: আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আন্তর্জালের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলন অনুষ্ঠান আয়োজিত হল শনিবার। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অনুষ্ঠান শুরু হয় গুগল মিট-এর মাধ্যমে । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন এমন ছাত্র ও গবেষকরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগদান করেন৷ ভারতের বাইরে কানাডা, ইউএসএ, লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকেও অনেকে এই পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বর্তমান মহামারীর জন্য এবং কভিড-১৯ সংক্রান্ত নানাবিধ শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নেওয়া হয়।
সব বাধা অতিক্রম করে খুব সহজে বেশি সংখ্যক প্রাক্তনীরা যাতে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার দ্বারা আয়োজিত এটি তৃতীয় পুনর্মিলন অনুষ্ঠান, যদিও আন্তর্জালের মধ্য দিয়ে এরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন এবারই প্রথম । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার আহ্বায়ক ড০ প্রদীপ্ত দাসের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে ওইদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ পথ চলার নানান মুহুর্তকে একসাথে নিয়ে একটি স্বল্প সময়ের ভিডিও ক্লিপ এ দিন প্রদর্শিত হয় ।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার সহ-সভাপতি মনোজকুমার পালের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ও বর্তমানের নানান স্মৃতিচারণমূলক ঘটনা উঠে আসে। তিনি আরও বলেন, মহামারীর সময় অতিক্রান্ত করে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রাক্তনী সম্মেলনের আয়োজন করব । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও বর্তমান নিবন্ধক ড০ প্রদোষ কিরণ নাথের বক্তব্যে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধির নানান প্রসঙ্গ । তিনি বলেন, ছয়টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়৷ এখন চল্লিশটির উপর বিভাগ রয়েছে, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো ক্যাম্পাস রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের নানান খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি ।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার সভাপতি ও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক দিলীপচন্দ্র নাথ বলেন, প্রাক্তনীরাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান স্তম্ভ, তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা ছাড়া কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি করতে পারে না। নিউ এডুকেশন পলিসি কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল পাল্টে দেবে, তার ইতিবাচক দিকগুলি নিয়েও তিনি আলোকপাত করেন । ওইদিনের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড০ অনিল চন্দ্র বরা । তাঁর বক্তব্যে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত নানান সোনালি স্মৃতি উঠে আসে ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী শতদল আচার্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়, এখানে উল্লেখ্য শতদল সাম্প্রতিক আসাম সরকারের লেখক সম্মাননা পেয়েছেন । শতদল ছাড়াও সমরবিজয় রায় ও কিশান চরইকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার সাংস্কৃতিক সমন্বয়ক ড০ হিমাদ্রি শেখর দাস এ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, মনোজ সিং, বিশ্ববিজয় রায়, শায়েরি গুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা কুর্মি, লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য, মিঠুন নাথ প্রমুখ । সব শেষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন পান্না দেব ।