Barak UpdatesAnalyticsBreaking News

গরম জল খান ইমিউনিটি বাড়ান, করোনা লড়াইয়ে সুস্থ থাকার বার্তা সাংসদ ডাঃ রাজদীপের

২৭ মে : যক্ষ্মার মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশ জয়লাভ করেছে। পোলিও এবং বসন্ত রোগের বিরুদ্ধে সংগঠিত লড়াইয়েও দেশ পরাস্ত হয়নি। এ বার করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও ভারত জয়ী হবে। এ প্রসঙ্গ টেনে করোনা মোকাবিলায় সরকারের ঘোষিত নীতি নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানান শিলচরের সাংসদ তথা বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাজদীপ রায়। করিমগঞ্জ বিজেপির এক অনুষ্ঠানে রাজদীপ অভয় দেন, আগামী বছর দেড়েকের মধ্যে কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক বের হয়ে যাবে। প্রতিষেধক তৈরি না হ‌ওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন জীবনে করোনাকে সঙ্গী করেই বাঁচতে হবে। সাংসদ বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেকের শরীরে ইমিউনিটি বাড়ানোর প্রয়োজন। মধু, তুলসি, গুলমরিচ, রসুন, হলুদ এগুলো শরীরে ইমিউনিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই ফলদায়ক। সেই সঙ্গে গরম জল পান করা এবং গরম জল দিয়ে স্নান করার‌ও পরামর্শ দেন রাজদীপ।

গরম জল পান করার উপকারিতা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে রাজদীপ বলেন, গরম জল খেলে মুখের ভেতরে জন্ম নেওয়া ভাইরাসগুলো পেটে চলে যায়। আর এতে ভাইরাসগুলো ফুসফুসের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় থাকে না। বিশেষ করে দশ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের সকাল বেলার রোদে কিছুক্ষণ বসে থাকার পরামর্শ দেন তিনি। সকালের রোদে অতি বেগুনী রশ্মির প্রাদুর্ভাব কম থাকার কারণে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য তা খুবই উপকারী। সকালের রোদে ভিটামিন ডি থাকে, যা মানবশরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ভারতকে মুনিঋষির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, প্রাচীনকালে গাছের জড়িবুটি দিয়ে কীভাবে মানবদেহের ইমিউনিটি বাড়ানো যায়, এ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন প্রাচীন যুগের বিজ্ঞানী মুনিঋষিরা। মুনিঋষিদের প্রদর্শিত নিয়ম নীতি মেনে চললে করোনা মোকাবিলায় সফলতা আসবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণের থেকে আমাদের দেশ এখনও অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে রাজদীপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশের করোনা সৈনিক চিকিত্‍সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাংসদ ডা. রাজদীপ রায় বলেন, সমগ্র বিশ্বের প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে সংক্রমণের হার মাত্র ৭ শতাংশ। ভারতবর্ষে সুস্থ হ‌ওয়ার হার ৪১ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সুস্থ হ‌ওয়ার হার মাত্র ১৫ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে মৃত্যুর হার ৬ শতাংশ, আর ভারতে ২ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস (আইএলআই)-এর উপসর্গ হিসেবে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রোগের চিকিত্‍সার জন্য আলাদা চিকিত্‍সা ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যতদিন পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি না হচ্ছে, ততদিন সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে এই মারণ ভাইরাসকে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী করেই বেঁচে থাকতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker