HappeningsBreaking News
বিমান দুর্ঘটনাঃ ১৬ দিন পর ১৩ মৃতদেহ উদ্ধারAN-32 aircraft crash: 13 dead bodies recovered after 16 days
২০ জুন: বিমান দু্র্ঘটনার ১৬ দিন পরে অরুণাচলের সিয়াং থেকে উদ্ধার হল ১৩টি মৃতদেহ। এরমধ্যে ৬জনের পুরো দেহ উদ্ধার করা গেলেও সাতজনের শুধু দেহাবশেষ মিলেছে। বৃহস্পতিবার ওই দেহ ও দেহাবশেষ অরুণাচল থেকে যোরহাটের রৌরিয়া বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আনা হয়। আবহাওয়া সামান্য ভাল হওয়ায় বুধবার বিকেলে বিমানবাহিনীর কপ্টার অরুণাচলপ্রদেশের সিয়াং ও সি-ইয়োমি জেলার সংযোগস্থল থেকে মৃতদেহগুলি আলোয় আনতে পারে। বাকি দেহাংশ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে অন্য আরেকটি দল।
৩ জুন বেলা ১২টা ২৭ মিনিটে অসমের যোরহাট থেকে অরুণাচলের মেচুকার উদ্দেশে উড়েছিল বায়ুসেনার এএন-৩২। আধ ঘণ্টা পরে তার সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ১১ জুন বায়ুসেনার কপ্টার সিয়াং ও সি ইয়োমি জেলার সীমানায় থাকা পরি পাহাড়ের ঢালে বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। মুখপাত্র উইং কমান্ডার রত্নাকর সিংহ জানান, ১২ জুন ১৫ জনের উদ্ধারকারী দল ও পরের দিন আরও তিন উদ্ধারকারীকে দুর্ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী এলাকায় এয়ারড্রপ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে আবহাওয়া টানা খারাপ থাকায় কপ্টার সেখানে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না।
সম্প্রতি ২০ জন পর্বতারোহীর দল পায়ে হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন। এর মধ্যে বুধবার বিকেলে আকাশ পরিষ্কার থাকায় বায়ু সেনার কপ্টারের সাহায্যে ৬টি দেহ পশ্চিম সিয়াং জেলার আলোয় নিয়ে আসা হয়। আজ আরও সাতজনের দেহাংশ উদ্ধার করে আলোয় আনা সম্ভব হয়েছে। বিমানের ব্ল্যাক বক্স আগেই উদ্ধার হয়েছে। দেহাংশগুলির ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যোরহাট নিয়ে আসা হয়।
দেহগুলিও বায়ুসেনার বিমানে বৃহস্পতিবার যোরহাটে আনা হয়েছে। বিমানে ছিলেন উইং কম্যান্ডার জি এম চার্লস, স্কোয়াড্রন লিডার এইচ বিনোদ, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহিত গর্গ, আশিস তানোয়ার, সুমিত মহান্তি ও এল আর থাপা, ওয়ার্যান্ট অফিসার কে কে মিশ্র, সার্জেন্ট অনুপ কুমার, কর্পোরাল শেরিন, এয়ারম্যান এস কে সিংহ, পঙ্কজ, রাজেশ কুমার ও পুতালি।