NE UpdatesHappeningsBreaking News
করোনার সময় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখতে বলল সিআরপিসিসি
ওয়েটুবরাক, ২০ জুনঃ অমানবিক ও বেআইনি উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে, কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল পুনর্বার চালু করতে হবে ও বর্তমান সরকারের সংখ্যালঘু বিরোধী অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে ইত্যাদি দাবিতে সিআরপিসিসি-র আহ্বানে সংগঠনের উপদেষ্টা, সভাপতি, সম্পাদক সহ রাজ্যের ৯৩ জন সদস্য একটি আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করেন।
আসাম সরকারের কাছে প্রেরিত আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হয়েই উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর স্বার্থে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নামে ৫০- ৬০ বছর ধরে বসবাস করা পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করছে এবং সম্প্ৰতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মূলত জনসংখ্যা বৃদ্ধির দায়ভার সংখ্যালঘুদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
উক্ত প্রতিটি ঘটনার পেছনে রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকারের মনোভাব পরিষ্কার ভাবে প্রকাশিত হয়েছে যা একটি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্রের সাথে বেমানান। আবেদন পত্রে এও বলা হয় যে কোভিড মহামারির ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনহানি ঘটেছে, এমনকি শ্মশানে, কবরস্থানে শবদেহ সৎকারের স্থান সংকুলান পর্যন্ত হয়নি, হাজার হাজার শিশু তাদের পিতা-মাতা হারিয়ে অনাথ হয়েছে এবং কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পর্যাপ্ত সরকারি সাহায্যের অভাবে অর্ধাহারে, অনাহারে দিনযাপন করছে। আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারীদের বক্তব্য এই চরম বিপদের সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য কিন্তু আসাম সরকার শোনিতপুর, হোজাই, করিমগঞ্জ, চিরাং ইত্যাদি জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণকে তাদের দখলদার ও বিদেশি তকমা লাগিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাটি থেকে উচ্ছেদ করছে। এই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আসাম সরকারের এই আচরণ তাদের ব্যথিত করেছে। তাই তারা নবনির্বাচিত সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন যে জনগণের সুবিধার্থে কাজ করতে।
মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার দীর্ঘ লকডাউনে ক্ষতিগ্ৰস্ত সাধারণ মানুষের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাদ্যের ব্যবস্থা করা সরকারের প্রাথমিক কাজ সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্বাক্ষরকারীরা। আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করেন যথাক্রমে সিআরপিসি-র সভাপতি তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য, নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতির সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র সাহা, কবি, সাহিত্যিক ও সম্পাদক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক বিজিত কুমার ভট্টাচার্য, মাওলানা সারিমুল হক লস্কর, এডভোকেট হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।