Barak UpdatesHappenings
আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবিনার
২৩ জানুয়ারিঃ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের স্লোগানকে বরাক উপত্যকায় সার্থক করার পথ অনুসন্ধানে ওয়েবিনারের আয়োজন করল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন হিউমেন ডেভেলপমেন্ট (সিএসএইচডি)। সহযোগিতায় স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের কাছাড় জেলা কমিটি। ‘প্রসপেক্টস অফ ইন্ডিজেনাস এসএসআই অ্যান্ড এমএসএমই ইন্ডাস্ট্রিজ ইন বরাক ভ্যালি ইন দ্য কনটেক্সট অফ আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনার হবে ২৮ জানুয়ারি, গুগল মিটে। উদ্বোধক আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথ। মুখ্য অতিথি স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের অখিল ভারতীয় সংঘর্ষ বাহিনী প্রমুখ আনন্দশংকর পানিগ্রাহি। মুখ্য বক্তা অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়। এ ছাড়াও থাকবেন সিএসএইচডি-র চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোপালজি মিশ্র, সিএসএইচডি-র ডিরেক্টর অধ্যাপক জি রাম। তপোধীর ভট্টাচার্যের সময়কার রেজিস্ট্রার অধ্যাপক নিরঞ্জন রায় এর কো-অর্ডিনেটর। জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটররা হলেন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের জেলা সংযোজক শান্তনু সূত্রধর, সিএসএইচডি-র ড. দেবতোষ চক্রবর্তী, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের প্রচার প্রমুখ সন্দীপন দত্তপুরকায়স্থ এবং সম্পর্ক প্রমুখ মনীষকুমার কুমাত।
ওয়েবিনারে যোগ দেওয়ার জন্য এই সময়ে রেজিস্ট্রেশন চলছে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের প্রচারপ্রমুখ দত্তপুরকায়স্থ। তিনি বলেন, এ জন্য কোনও ফি লাগবে না। আগ্রহীরা ২৫ জানুয়ারি বিকাল চারটার মধ্যে cshdaus@gmail.com-এ যোগাযোগ করতে পারেন। ওই সূত্রেই লিঙ্ক পাঠানো হবে। অংশগ্রহণকারীদের ই-সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
কেন এই ওয়েবিনার, এর প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আয়োজকরা বলেন, স্বাধীনতা ও দেশভাগের আগে বরাক উপত্যকা সুরমা উপত্যকার অংশ ছিল। গোটা অঞ্চল ছিল চায়ের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু স্বাধীনতার সময় সুরমা উপত্যকার সিলেট জেলাকে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল, যা পরে বাংলাদেশ হিসাবে পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। আর সুরমা উপত্যকার আর এক অংশ বরাক উপত্যকা ভারতের সঙ্গে রয়ে গেল। এর দরুন এই অঞ্চল পূর্ব বঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সড়কপথ ও জলপথ ব্যবহারের সুযোগ হারাল। সেই যে ভারতের মানচিত্রে জায়গা করে নিতে বরাক উপত্যকার সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, আজও তা অব্যাহত। তবে ব্রডগেজ লাইন চালু এবং ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে এই অঞ্চল যুক্ত হওয়ায় আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন ওয়েবিনারের আয়োজকরা। তাঁদের কথায়, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই অঞ্চলে ক্ষুদ্র শিল্প ও এমএসএমই-র যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযান একে আরও অনেকটা ত্বরান্বিত করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে কী করে এই অঞ্চলে ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে, তা খুঁজে দেখাই ওই ওয়েবিনারের মুখ্য উদ্দেশ্য বলে জানান তাঁরা।