Barak UpdatesHappeningsBreaking News
একনাথ রানাডের জন্মজয়ন্তী পালিত করিমগঞ্জে
২১ নভেম্বরঃ বর্তমানে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল। স্বামী বিবেকানন্দ চতুর্দিকে জলবেষ্টিত ওই প্রস্তরখণ্ডে বসে ধ্যান করেছিলেন৷ এর পরই বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন। এই মূল্যবান প্রস্তরখণ্ডকে বিশ্বমাঝে পরিচিত করে তোলার কাজটি করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মকর্তা একনাথ রানাডে। তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারী। বৃহস্পতিবার একনাথ রানাডের জন্মজয়ন্তী মর্যাদার সঙ্গে পালন করে বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারীর করিমগঞ্জ শাখা। প্রধান বক্তা ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণ আসাম প্রান্তের প্রান্তপ্রচার প্রমুখ মনোরঞ্জন প্রধান।
করিমগঞ্জ বেবিল্যান্ড ইংলিশ স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রপাঠে মঙ্গলাচরণ করেন কেন্দ্রের করিমগঞ্জ শাখার সহ সংযোজক গৌতম দেব। স্বামী বিবেকানন্দ ও একনাথ রানাডের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন মনোরঞ্জন প্রধান, করিমগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক মৃণালকান্তি দত্ত ও সংযোজক অরূপ রায়। মৃণালবাবুই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন।
মনোরঞ্জন প্রধান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, স্বামীজির মহান বাণীকে সামনে রেখে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংস্কার, হস্তবিদ্যা, আদিবাসী কল্যাণ এবং সর্বোপরি, ভারতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হিসাবে তুলে ধরাই ছিল একনাথ রানাডের লক্ষ্য। বিবেকানন্দ শিলা স্মারক গড়তে তাঁকে যে কঠিন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগোতে হয়েছিল, তাও তুলে ধরেন মনোরঞ্জনবাবু। তিনি জানান, স্থানীয় গ্রামবাসী, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের বহু মন্ত্রীর বিরোধিতা সত্ত্বেও লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন রানাডে। শক্তিশালী বিরোধীদের মোকাবিলায় তিনি লালবাহাদুর শাস্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। লালবাহাদুরই তাঁকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কাছে নিয়ে যান। সব শুনে নেহরু বলেন, অধিকাংশ সাংসদ সম্মত হলে সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না। সে থেকে শুরু রানাডের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান। ঘুরে ঘুরে তিনি ৩২৩ জন সাংসদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন।
কোভিড বিধি মেনেই সংক্ষিপ্ত ছিমছাম অনুষ্ঠান হয় বৃহস্পতিবার।