Barak UpdatesHappeningsBreaking News

গেট বন্ধ, না খেয়ে মরার উপক্রম কাঁটাতারের ও -পারের ভারতীয়দের

১২ সেপ্টেম্বর: বিএসএফ জওয়ানদের দেখলেই এরা ডাকাডাকি করেন৷ গেটের তালা খুলে দিতে কাতর আর্জি জানান৷ অনেকে কান্না জুড়ে দেন৷ এঁরাও ভারতীয়৷ কিন্তু কাঁটাতারের ও পারের বাসিন্দা৷ এতদিন বিএসএফ সকাল-বিকাল নির্দিষ্ট সময়ে গেট খুলে দিত৷ তাঁরা ভারতের মূল ভূখণ্ডে এসে কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যার আগে ফিরে যেতেন নিজেদের গ্রামে৷

করোনা ভাইরাস তাদের সেই কোনক্রমে দিন কাটানোতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷ বাংলাদেশ থেকে অতিমারি ভারতে ঢুকে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় মার্চে লকডাউনের শুরুতেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করা হয়৷ বরাক উপত্যকার হাজার খানেক মানুষ হয়ে পড়েন আক্ষরিক অর্থেই কারাবন্দি৷ না এঁরা সীমান্তের ও পারে যেতে পারেন, না আসতে পারেন নিজের দেশের মূল ভূখণ্ডে৷ জীবিকা হারিয়ে মানুষগুলি এখন না খেয়ে মরার উপক্রম৷ কারণ তাদের রোজগারের মূল উৎসই ছিল মূল ভূখণ্ড৷ কেউ দিনমজুর, কেউ রিকশাচালক৷ নিজের খেতে যাঁরা সবজি ফলান, তাঁদেরও গেট পেরিয়ে বাজারে আসতে হয় সবজি বেচতে, ঘরের নুন-তেল কিনতে৷ এখন সব বন্ধ৷ টানা লকডাউনের সময় বিভিন্ন সংস্থা ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছিল৷ এক-দুবার মিলেছিল সরকারি রেশনও৷ আনলক শুরু হতেই কেউ আর ও-মুখো হন না৷

উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, অভাবের তাড়নায় এরা ভুগছে৷ রুজি-রোজগার, বাজার-হাট ৬ মাস ধরে বন্ধ৷ এমনকি অসুস্থ হলে ন্যূনতম চিকিৎসার সুযোগ নেই৷ কমলাক্ষের দাবি, আনলক প্রক্রিয়ায় সবকিছু যখন স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে, ওই মানুষগুলিকেও বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হোক৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker