India & World UpdatesHappeningsBreaking News

মোদি চান নতুন শিক্ষানীতির দ্রুত বাস্তবায়ন

8 আগস্টঃ নতুন শিক্ষানীতি দ্রুত বাস্তবায়িত করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার থেকেই সময় ও লক্ষ্য বেঁধে কাজ করার পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। কী ভাবে নয়া নীতি বাস্তবায়িত হবে, সেই পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব অমিত খারে।

বিরোধীদের আশঙ্কা, তড়িঘড়ি নীতি কার্যকর করার অজুহাতে শেষ পর্যন্ত সব রাজ্য এবং বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ও বিতর্কের পরিসরই কমিয়ে আনবে কেন্দ্র।

উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনার উদ্বোধনী ভিডিয়ো-বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষানীতি ঘোষণার পর থেকেই অনেকের জিজ্ঞাসা, কাগজে-কলমে এত বড় সংস্কার না-হয় হল। কিন্তু এই বিপুল কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করা হবে কী ভাবে? নিজেই উত্তর দেন মোদি, “এর জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থায় যে বদল জরুরি, তা করতে হবে। করতেই হবে। এর জন্য যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন, তা জোগাতে আমি দায়বদ্ধ।”

মোদির মতে, এ দেশে দীর্ঘদিন শিক্ষায় বড় বদল হয়নি। অথচ সময়, প্রযুক্তি, বাজার– পাল্টে গিয়েছে সমস্ত কিছু। তাই নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য তৈরি করতে এই নীতির দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। কী ভাবে, তার প্রাথমিক নকশাও এঁকে দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “প্রথমে নীতি কার্যকর করতে রণনীতি তৈরি হোক। তার পরে সেই অনুসারে ঠিক করা হোক পথ-নির্দেশিকা। প্রতিটি লক্ষ্যের জন্য বাঁধা হোক নির্দিষ্ট সময়। দেখা হোক, কীসে কত টাকা লাগবে। যাতে এই সমস্ত কিছু হাতের নাগালে এনে দ্রুত বাস্তবায়িত করা যায় শিক্ষানীতিকে।” তাঁর প্রস্তাব, সমস্ত রাজ্য-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে তাড়াতাড়ি আলোচনা শুরু হোক। সকলে একে দেখুন ‘মহাযজ্ঞ’ হিসেবে।

খারের প্রস্তাব, “শিক্ষানীতির এক-একটি বিষয় নিয়ে রাজ্যে-রাজ্যে আলোচনা হোক। পুরো প্রক্রিয়া যাতে কেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল না-হয়, সেই লক্ষ্যে এ বিষয়ে ‘লিড’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করা হোক প্রত্যেক রাজ্যের একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা আইআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।”

সরকারি বরাদ্দ না-বাড়িয়ে শিক্ষানীতির খোলনলচে বদলের মাধ্যমে মোদী সরকার আসলে এই ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যকরণের রাস্তা প্রশস্ত করতে চাইছে বলে অভিযোগ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির। খারের দাবি, না-জেনে অনেকে এই অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু ঠিক এর উল্টো কথাই লেখা রয়েছে শিক্ষানীতিতে। বলা হয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগ স্বাগত, কিন্তু বাণিজ্যকরণ চলবে না। উদ্বৃত্ত বা মুনাফা ফের লগ্নি করতে হবে শিক্ষাতেই। নীতি প্রণয়নের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে খারে বলেছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আরও বেশি স্বাধীনতা দেওয়া, তাদের অন্তত আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করার মতো বিষয়গুলিতে তাঁরা দ্রুত নজর দিতে চান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker