Barak UpdatesHappeningsBreaking News
লকডাউনে বরাকেই আটকে বিহারের হাজার শ্রমিক, দুর্ভোগের কথা শুনলেন ইউনিয়ন নেতারাAround 1000 labourers from Bihar are stuck in Barak during lockdown
১১ মে : লকডাউনের ফলে বিহারের প্রায় সহস্রাধিক শ্রমিক আটকে রয়েছেন বরাকে। এমনটাই দাবি করল ‘অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস’ অনুমোদিত শ্রমিক সংগঠন ‘বরাকভ্যালি গুডস্ হ্যান্ডলিং মজদুর ইউনিয়ন’। সংগঠনের বিবৃতি অনুযায়ী শিলচর ফাটকবাজারেই বিহারের ৪০০ শ্রমিক দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। আর বর্তমানে তাঁরা দুর্ভোগে রয়েছেন। তাঁরা বিহারে নিজেদের বাড়ি-ঘরে যেতে চাইছেন।
করোনার জেরে গত দেড় মাসে এদের রুজি রোজগার প্রায় বন্ধ। জমা টাকাও ফুরিয়ে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এ অবস্থায় তাঁরা ঘরে ফিরে যেতে চাইছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শিলচর থেকে বিহার যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। রেলমন্ত্রক ১২ মে থেকে ট্রেন পরিষেবা শুরু করবে বললেও শিলচরে কবে শুরু হবে সেই ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা নেই। রবিবার জানিগঞ্জ ভূঁইয়া রোডে ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকদের এসব সমস্যা নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক আয়োজিত হয়। বৈঠকে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই অংশ নেন শ্রমিক নেতারা। পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন বৈঠকে। অনিশ্চয়তাপূর্ণ অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য এ দিন শ্রমিকরা জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
‘অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস’এর অসম রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি রফিক আহমেদ ও ‘সেন্টার অব ট্রেড ইউনিয়ন’এর কর্মকর্তা দুলাল মিত্র অসম সরকারের দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ১৮৮৬ সালের ‘হে মার্কেট আন্দোলন’এর পর থেকে পৃথিবীজুড়ে শ্রমিকদের কাজের জন্য ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও এতদিন একই নীতি কার্যকর ছিল। কিন্ত এখন সব পাল্টে যাচ্ছে। সরকার যেন শ্রমিক শোষণের নীতি আনুষ্ঠানিকভাবে অধিগ্রহণ করেছে। আর চাপিয়ে দিয়েছে করোনার নাম। আদতে করোনার অজুহাতে সরকার কাজের সময় বাড়িয়ে মালিকপক্ষের সুবিধা করে দিতে চাইছে।
এই বৈঠকে এই নতুন আইন অবিলম্বে তুলে নিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রতিককালে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতি অধিগ্রহণের কড়া নিন্দা জানানো হয় বৈঠকে। দেশজুড়ে অধিগৃহীত এইসব শ্রমিক বিরোধী নীতি ফিরিয়ে নিতে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এ দিন শ্রমিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জোরালো আওয়াজ ওঠে।