Barak UpdatesHappeningsBreaking News
নিজেরা রান্না করে স্টেশনে খাবার দিচ্ছে ভাষাশহিদ স্টেশন সমিতি, সঙ্গে উদয়ের পথেBhasha Shahid Station Committee & Udoy-er Pothe cooks food daily for the poor
৮ এপ্রিলঃ প্রস্তাব দুটো দিয়েছিলেন ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজীব কর। প্রথমত, ২৫ হাজার টাকা নিজেদের মধ্যে সংগ্রহ করে আরোগ্য নিধি তহবিলে প্রদান করা হোক। দ্বিতীয়ত, স্টেশন অঞ্চলে ২৪-২৫ জন অত্যন্ত অসহায় মানুষ থাকেন। ভিক্ষা করেই দুমুঠো খাবার সংগ্রহ করেন তারা। লকডাউনের দরুন ট্রেন বন্ধ৷ খাবারের দোকান খোলে না৷ মানুষের চলাচলও শূন্যপ্রায়৷ এতে তাঁরা মহাবিপদে।
এই সময়ে সমিতির পক্ষ থেকে নিজেরা রান্না করে তাদের অন্তত একবেলা খাবার দেওয়া হোক। দুটো প্রস্তাবেই সমর্থন মেলে। ২৫ হাজার টাকা জোগাড় হয়ে যায়। কিন্তু কঠিন ছিল দ্বিতীয় প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। একেও সহজ করে তোলে উদয়ের পথে নামে আরেক এনজিও। সঙ্গে কালীমোহন রোড সহ তারাপুরের বিভিন্ন লেনের বেশ কয়েকজন সমাজহিতৈষী মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা বাজতেই রান্নার সমস্ত সামগ্রী চলে আসে। হাত লাগান অনেকে। রান্নার পর প্যাকেটে পুরে স্টেশন চত্বরেই তা বিতরণ করা হয়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে প্রথমদিনের কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। একই প্রক্রিয়ায় খাবার তৈরি ও বিতরণ করা হয় বুধবার দ্বিতীয় দিনেও। তবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয় দিনে দুপুরের বদলে রাতে আযোজন করা হয়। কারণ দুপুরে কেউ কেউ স্টেশনে যান ত্রাণ বিতরণে। কিন্তু রাতটা উপোষ কাটাতে হয়।
বুধবার রাতে ভাষাশহিদ স্টেশন সমিতি রান্না করে ডিম-আলুর ঝোল আর ভাত। রান্নায় ছিলেন দীপায়ন সেন (পিঙ্কু)। সহযোগিতায় দেবজ্যোতি দত্ত (বাবু), শর্মিষ্ঠা কর, রূপসা, তৃষা প্রমুখ। অমিতাভ দে সহ উদয়ের পথের সদস্যরা গোটা পর্ব পরিচালনা করেন। রাজীববাবু জানান, এ দিনের ডিম সহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করেছেন দেবজ্যোতি দত্ত (বাবু)। সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে আরও দুয়েকজন এক-একদিনের খরচ বহন করতে রাজি হয়েছেন। তাই রাজীব কর, স্বপন দাশগুপ্ত, দীপায়ন চক্রবর্তীরা আশাবাদী, লকআউট দীর্ঘতর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়লেও তাদের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে উদয়ের পথের এনজিও-র পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সবধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
ধন্যবাদ , এবং শুভেচ্ছা। দরকারে জানাবেন, দূর থেকে যা পারি করব।