Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কর্মীকে লাঠিপেটা, বন্ধ সিভিলের ব্লাড ব্যাঙ্ক, পরে খুলল
বিধায়কের আশ্বাসে কাজে যোগ দিলেন
৩১ মার্চ: স্বাস্থ্যকর্মীকে পুলিশ-সিআরপিএফের লাঠিপেটা ও বাইক ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অচল হয়ে পড়ে শিলচর সিভিল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিষেবা।পরে বিধায়ক দিলীপ পালের হস্তক্ষেপে কাজে যোগ দেন ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা। আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী সুব্রত চন্দ জানান, সোমবার রাতে শিলচর সিভিল হাসপাতাল থেকে কাজ সেরে মেডিক্যাল রুটে
বাড়ি ফেরার পথে টহলরত পুলিশ-সিআরপিএফের লাঠিপেটার শিকার হন। তিনি বলেন, বাইকের সামনে জেলা প্রশাসনের নির্দেশমতো স্বাস্থ্য পরিষেবার স্টিকার লাগানো ছিল। তাছাড়া, ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয়পত্রও দেখান। কিন্তু বুঝতে রাজি হননি আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। পুলিশ সুপারের অনুমোদিত পাস কোথায় বলে প্রশ্ন করেন টহলরত জওয়ানরা। তা না থাকায় তাকে লাঠি দিয়ে পেটান৷ বাইকেরও ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ করেন স্বাস্থ্যকর্মী সুব্রত।এতে বাইকে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সর্বস্তরের কর্মীরা কর্মবিরতিতে সামিল হন। লকডাউন চলাকালীন আসা যাওয়ার নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলেন তারা। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান বিধায়ক দিলীপ পাল, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা সুদীপ জ্যোতি দাস এবং স্মাইল কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে আলোচনা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানান বিধায়ক। তিনি বলেন, ঘটনা নিন্দনীয়। এতে জড়িত পুলিশ- আধা সামরিক জওয়ানদের শনাক্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্লাড ব্যাংক কর্মী সুব্রত চন্দকে নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানান স্মাইল ব্লাড ডনেশন এনজিও র পক্ষে সৌমিত্র দত্তরায় , সুরজিৎ সোম, পল্লবীতা শর্মা ও অন্যান্যরা। সৌমিত্রবাবু বলেন, লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি দুর্ভাগ্যজনক। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদেরও হাসপাতালে পৌছাতে নানান সমস্যার শিকার হতে হচ্ছে বলে জানান তিনি৷ শেষে বিধায়কের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন সবাই৷