NE UpdatesBarak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
কর্ণাটক থেকে করিমগঞ্জ: হারিয়ে যাওয়া দিদিকে ভাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দিল বিএসএফ
১৪ মার্চ: কোথায় কর্নাটক, আর কোথায় করিমগঞ্জ! ভাষাসঙ্কটে পড়ে করিমগঞ্জে এসে ভিক্ষে করে দিন কাটাতে হল কর্ণাটকের ৪০ বছর বয়সী কালাম্মা বি-কে৷ তিনমাস পরে শনিবার ভাই-বোনে মিলন হয়৷ সৌজন্যে বিএসএফ৷
ভাগ্যিস, ৪০ বছরের কালাম্মা নানা সঙ্কটে পড়েও ভাই কুমারচারির মোবাইল নম্বর লেখা চিরকূটটা হাতছাড়া করেননি৷ ১২ মার্চ তাঁকে করিমগঞ্জ জেলার মহীশাসন রেলস্টেশন এলাকায় ঘুরতে দেখে বিএসএফ জওয়ানদের সন্দেহ হয়৷ ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে তারা পড়েন বিপাকে৷ দক্ষিণী মহিলা কন্নড় ছাড়া কিছুই বোঝেন না৷ বিএসএফের ৭ নং ব্যাটেলিয়নে এই ভাষা জানেন একজনই, তিনি কনস্টেবল পন্দিরনাথ৷
কন্নড় জানা মানুষ দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কালাম্মা৷ বললেন, তিনমাস ধরে ভাইকে একটা ফোন করার কথা কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারেননি৷ নম্বরটা কত মানুষকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু ভাষাসমস্যায় তা আর হয়ে ওঠেনি৷
পন্দিরনাথ ফোন করতেই ও প্রান্ত থেকে কুমারচারি জানান, তিনমাস ধরে তারা দিদিকে খুঁজে পাচ্ছেন না৷ সন্ধান পেতেই রওয়ানা হয়ে যান করিমগঞ্জের উদ্দেশে৷ শনিবার ভাই-বোনে দেখা হতেই সে কী খুশি!
কুমারচারি চোখের জল মুছে জানতে চান, স্বামীর সঙ্গে রাগারাগি হল বলেই না দেখেবুঝে ট্রেনে উঠে যাবেন! কালাম্মা বলেন, ‘আমি তো তোদের কাছে (বাপের বাড়ি) যাব বলেই বেরিয়েছিলাম৷ ঝগড়াঝাটির দরুন সারা দিন কিছু খাওয়া জোটেনি৷ শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে৷ ফাঁকা জায়গা পেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি৷’ কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই পড়ে যান মহাসমস্যায়৷ কেউ কন্নড় বোঝেন না৷ কোথায় পৌঁছালেন, কোথায় নামবেন, কিছুই বলতে পারলেন না৷
শেষ পর্যন্ত করিমগঞ্জ পৌঁছার পর তাঁর মনে হয়েছে, আর দূরে যাওয়া ঠিক হবে না৷ নেমে পড়েন৷ শনিবার রাতে তিনমাস পরে সেই করিমগঞ্জ থেকেই ট্রেনে ওঠেন কালাম্মা৷ কুমারচারির মাধ্যমে বারবার বলেছেন, বিএসএফ জওয়ানদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনও ভাষা নেই৷