NE UpdatesBarak UpdatesBreaking News
In my fight against Ajmal Congress was & is besides me, says Himantaআজমলদের বিরুদ্ধে আমার লড়াই কংগ্রেসেও ছিল, এখনও আছে, বললেন হিমন্ত
৭ ডিসেম্বরঃ এক এজেন্ডাতেই তিনি কংগ্রেসে সক্রিয় ছিলেন, ওই একই এজেন্ডাতেই বিজেপিতেও সক্রিয় রয়েছেন। সেটি হল বদরুদ্দিন আজমলের মত যারা শুধু অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা, প্রভাব-প্রতিপত্তির জন্য ভারতে এসে ঘাঁটি গেড়েছেন, তাদের বিরোধিতা। সোজা মন্তব্য অসমের অর্থ, পূর্ত, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে শুক্রবার তিনি রাজদীপ সরদেশাইর মুখোমুখি হন। খোলামেলা বলেন, তিনি যখন কংগ্রেসে ছিলেন, আজমলের দলকে কাছাকাছি ঘেঁষতে দেননি। কিন্তু রাহুল গান্ধী যখন ডেকে বলে দিয়েছেন, এখন থেকে আর আজমলদের বিরোধিতা চলবে না। তখনই কংগ্রেস ছাড়ি। আজমল বিরোধিতার জন্য বিজেপিতে যোগ দিই।
আজমলে অসুবিধেটা কোথায়? হিমন্তের বক্তব্য, এরা সুবিধাভোগী শ্রেণি। নিজের আর্থিক জায়গাটাই বোঝে। তাই তাদের রাষ্ট্রক্ষমতার কাছাকাছি যেতে দেওয়া যায় না। তাঁর আশঙ্কা, এখনই তাদের আটকানো না গেলে বদরুদ্দিন আজমল না পারলে তার ছেলে নইলে তার ছেলে একদিন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এর বিপরীতে একজন উদ্বাস্তুকে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেখতেও অসুবিধে নেই। বললেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে গেলে যারা নাগরিকত্ব পাবেন, তাদের আর উদ্বাস্তু করে পৃথক পরিচিতির ব্যাপার থাকবে না। তিনি পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী হতেও আপত্তি থাকবে না।
৩১ আগস্ট প্রকাশিত এনআরসিতে বাদ পড়া ১৯ লক্ষের মধ্যে ১৩ লক্ষই মুসলমান, জানান হিমন্ত। তাদের প্রতি যে তার বিন্দুমাত্র দরদ নেই, তাও স্পষ্ট করে দেন। বলেন, ১ লক্ষ আদিবাসী রয়েছে ওই তালিকায়। ৫ লক্ষ ৪০ হাজার হিন্দু। তাদের মধ্যে ১ লক্ষের নথিপত্র আছে ভারতীয় হিসেবে। বাকি হিন্দুদেরও নাগরিকত্ব দিতে হবে। সে জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করে আগে তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এরপর হবে দেশজুড়ে একযোগে এনআরসি।
কিন্তু এনডিএ শরিকদের মধ্যে যে পারস্পরিক বিরোধিতা, এই বিল কি শেষপর্যন্ত আইনের চেহারা নেবে? জোরগলায় হিমন্তের হাসিমাখা জবাব, বিলটি ভোটাভুটিতে গেলে সমস্ত শরিক দলই পক্ষে থাকবে। সঙ্গে জুটবে কিছু বিরোধী ভোটও। চতুর্দিকে এত আপত্তি, প্রতিবাদের মধ্যেও কোথা থেকে এত জোর পান আসাম মন্ত্রিসভার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড? সব উত্তর যেন তাঁর ঠোঁটের ডগায়। বলেন, এই বিলের প্রতি মানুষের রায়ই বিজেপির শক্তি। তাঁর কথায়, আগে এই রায় সম্পর্কে তাদের কিছুটা আশঙ্কা ছিল, তাই লোকসভা পাশের পরও তারা এগোননি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ভোটের বাক্সে মানুষ যেভাবে বিজেপির পাশে থেকেছে, সেখান থেকে বোঝা গিয়েছে, বিলটা দ্রুত আইনি চেহারা পাক, এটাই দেশবাসীর ইচ্ছা। তাই তাঁরাও এখন আর দেরি করতে চাইছেন না।
গান্ধীজির জন্মের দেড়শো বছর পূর্তির এই সময়ে এমন একটি আইন তৈরি করা কি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ হচ্ছে? এমন প্রশ্ন শুনেও উত্তর দিতে এক মিনিট সময় নেননি। ভাবনা-চিন্তারও যেন কিছু নয়। বললেন, গান্ধীজি নিজেও চেয়েছেন, যারা দেশভাগের শিকার, তারা যেন চাইলে ভারতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন। কারণ দেশভাগ গান্ধীও চাননি। এরাতো দেশভাগেরই শিকার।
তাই বলেই কি আসামে এদের ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে? হিমন্ত বলেন, ডিটেনশন ক্যাম্প বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা। গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে সরকারকে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে হয়েছিল, হচ্ছেও। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগতভাবে এর বিরোধী। তাঁর ইচ্ছে, অন্য দেশের নাগরিক ধরা পড়লে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই দেশের সরকারের কাছে বিষযটি তুলে ধরা এবং তাদের নিজের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া।