CultureBreaking News
পুজোর সেরা উপহার, মেডলি বাঙালির ‘আগের বাহাদুরি’Madli Bangali comes with Puja special ‘Ager Bahaduri’
৪ অক্টোবর : বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি মানেই শুধু নতুন পোশাকের বর্ণময় গন্ধ নয়। প্রতিমা আর প্যান্ডেলের সাজসজ্জায় নয়। পুজো মানে সেই চিরন্তন শারদীয় সংখ্যার, পুজো মানেই নতুন গানের রেকর্ড। আজকাল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইউটিউব চ্যানেল। পুজোর গানের সেই আমেজটাও যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও সেই প্রতি বছর পুজোর গানের রেকর্ড হয় পশ্চিম বাংলায়ও, আর বছর কয়েক থেকে এই ঈশান বাংলায়ও।
গত এক দশকে এই বাংলায় বেশ কয়েকটি বাংলা গানের ব্যান্ডের জন্ম হয়েছে। প্রত্যাশা জাগে তখন, যখন দেখি, আজকের তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই জন্ম হচ্ছে এসব ব্যান্ডের। আর তরুণ ছেলেমেয়েগুলো সেই চিরন্তন লোকগীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, পুরনো দিনের বাংলা গানগুলোকে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করছে। আবার গানগুলোকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রয়াসে মেতেছে।
ম্যাডলি বাঙালি এমনই একটি বাংলা গানের দল, যারা বছর পাঁচেক থেকে লোকগীতিকে নতুন আঙ্গিকে উত্তর পূর্বাঞ্চলে জনপ্রিয় করে তুলছে।পুজো উপলক্ষে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের আলোয় এল ‘আগের বাহাদুরি’ মিউজিক ভিডিও কিংবা মিউজিক শর্টফিল্ম। এটি তাদের দ্বিতীয় মিউজিক একটি এলবাম। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে এই মিউজিক ভিডিওটি দর্শক- শ্রোতার দরবারে আসার পর থেকে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এখন অব্দি ইউটিউবে ১.৭ হাজার ভিউয়ারের সংখ্যা।
বাংলাদেশের বাউল সম্রাট আব্দুল শাহ করিম পাঁচশ’র বেশি লোকগানের রচয়িতা, গীতিকার, আর সুরকার। নব্বুইয়ের দশক অব্দি তাঁর গান বাংলাদেশের ভাঁটি অঞ্চলেই জনপ্রিয় ছিল। আজ তাঁর গান ওপার বাংলা ঘুরে এপার বাংলায় পাড়ি দিয়েছে। ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পীরিতি শিখাইছে’, ঝিলঝিল ঝিলঝিল করে রে ময়ূর পঙ্খি নাও’, ‘সখী কুঞ্জ সাজাও গো’ — এরকম অনেক জনপ্রিয় গানগুলোর সৃষ্টিকর্তা শাহ আব্দুল করিম। তারই একটি সৃষ্টি , ‘আগের বাহাদুরি’। লোকগীতিটিকে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করল ‘ম্যাডলি বাঙালি’।
গানের সঙ্গে উপরি পাওনা অনু নাটক। অনু নাটকটিতে প্রবীণ প্রজন্মের সেই নস্টালজিকতা, জরাগ্রস্ত শরীরেও সেই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস দেখাতে গিয়ে আটকে যাওয়া, আর সঙ্গীদের মশকরা সেই ‘আগের বাহাদুরি’ আর নাই । পরিবেশনায় দুই প্রজন্ম, প্রবীণ আর নবীন। অনু নাট্য পরিবেশনায় নাট্য সংস্থা দশরূপকের প্রবীণ অভিনেতারা, চিত্রভানু ভৌমিক, শুভ্রাংশু এস দত্ত, অশোক দত্ত, ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী, জয়ন্ত বি পুরকায়স্থ ও অরূপ চক্রবর্তী। গানে রয়েছেন এদিব ইমন।
তার সঙ্গে বাঁশিতে দেবরাজ দাস, গিটারে রিকি দত্ত, পারকাশনে রাজদীপ চক্রবর্তী, অক্টোপ্যাডে মিলন দাস, কিবোর্ডে দেবাশিস দে, চিত্রনাট্যে কাশী বিশ্বনাথ দাস, চিত্র পরিচালনায় অভিষেক গোস্বামী, আলো প্রক্ষেপনে হিজোল চৌধুরী, সিনেমেটোগ্রাফি সহযোগিতায় সৌরভ দাস। দেবাশিস দে’র কনসেপ্টে সনিকম্পন স্টুডিও মিউজিক এলবামটির রেকর্ডিং, মিক্সিং করেছে দক্ষ হাতে। পুরো মিউজিক এলবামটি দুই প্রজন্মের সম্মিলনে এক অনন্য সুন্দর নিবেদন।