Barak UpdatesHappeningsBreaking News
তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলা শিলচরে
শিলচরে আসা তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন রুবিরানি দাস নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতাদের বিমানবন্দর থেকে বেরোতে আপত্তি করলে তাঁরা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হন। এজাহার দিয়ে বলেন, সরকারি নির্দেশের কথা জানিয়ে হাত জোড় করে বলা হয়েছিল, তাঁরা যেন ভিআইপি লাউঞ্জে গিয়ে বসেন। ১৪৪ ধারা জারির কাগজপত্রও দেখানো হয়। তাঁরা সে-সব কানে না তুলে মারপিট শুরু করেন। তিনি নিজে এবং শম্পা দাস নামে আরেক কনস্টেবল প্রচণ্ড চোট পান। পার্থ শীল নামে প্রশাসন নিয়োজিত এক আলোকচিত্রীও জখম হয়েছেন।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন জানিয়েছেন, পুলিশ বিভাগের হয়েই রুবিদেবী মামলাটি করেছেন। এটি উধারবন্দ থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫৩, ৩২৩, ৩৮ ধারায় তাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়া সকলের নামই এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। কারণ শারীরিক নিগ্রহের ঘটনার সময় হাকিম তখনও শিলচর আসেননি।
পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে রাকেশবাবু বলেন, ৬ সাংসদ, ১ বিধায়কের বিরুদ্ধে এজাহার আর দশটি মামলার মতো নয়। জনপ্রতিনিধি বলে কথা! তাই প্রথমে ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে দিয়ে অভিযোগের তদন্ত করানো হবে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেলে এর পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলা শেষপর্যন্ত যে পথেই এগোক, রুবিরানি দাস ও শম্পা দাস বিভাগীয় প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ প্রধান মুকেশ অগ্রবাল তাঁদের ডেকে নগদ অর্থে পুরস্কৃত করেন। অন্যদের উপস্থিতিতেই পুলিশ সুপার বলেন, সেদিন তাঁরা যেভাবে মার খেয়েও মাথা ঠাণ্ডা রেখে সাংসদ-বিধায়কদের আটকেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে।
এ দিকে, কলকাতা ফিরে গিয়ে হাকিম যে সরকারি আতিথ্য গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন, তা বিস্মিত করে রাকেশবাবুকে। তিনি বলেন, তাঁরা প্রথমে খাবার গ্রহণে আপত্তি করেছিলেন, পরে অফিসাররা সবাই মিলে অনুরোধ করলে তাঁরা ফেরাতে পারেননি।