Barak UpdatesHappeningsBreaking News

লক্ষীপুরে নতুন আদালত ভবনের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা

ওয়ে টু বরাক, ১ ডিসেম্বর : অসমের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হল রবিবার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা লক্ষীপুরে সদ্যনির্মিত সাব-ডিভিশনাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এম) কোর্ট কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন। ৩.৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আধুনিক বিচারালয় ভবনটি গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিজয় বিষ্ণোই ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে উন্মোচন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা তাঁর সরকারের “ইজ অফ জাস্টিস” নীতির ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “এই নতুন বিচারালয় ভবন লক্ষীপুর এবং বরাক উপত্যকার মানুষের জন্য একটি সুবিচারের প্রতীক। এটি দ্রুত এবং কার্যকর বিচার প্রদান নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।”

মুখ্যমন্ত্রী ডঃ শর্মা জানান, বরপেটা, শিবসাগর ও বোকাখাত সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন বিচারালয় ভবন নির্মাণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ডিফু, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া ও তিনসুকিয়াতে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ই-ফাইলিং, ভার্চুয়াল শুনানি এবং পেপারলেস কোর্ট চালুর মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের ওপর অপরাধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ১৭টি জেলায় পকসো আদালত এবং নগাঁওয়ে আরও একটি বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী শর্মা উল্লেখ করেন, উপনিবেশিক যুগের আইন পরিবর্তন করে নতুন ভারতীয় বিচারবিধি এবং প্রমাণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতগুলিকে নির্ভর করতে ৮১,০০০টিরও বেশি ক্ষুদ্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাক্ষী সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতেও রাজ্য সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মহিলা ও শিশু সুরক্ষায় সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মুখ্যমন্ত্রী “ভরসা” মোবাইল অ্যাপ এবং ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সঙ্কটে থাকা মহিলাদের আইনি সাহায্য প্রদানের কথা বলেন। গুয়াহাটিতে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক তদন্ত ও আইনি শিক্ষার প্রসারও ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিলম্বিত বিচার সুবিচারের অন্তরায়। সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার প্রদান মানুষের আস্থার মূল ভিত্তি।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি সুমন শ্যাম, বিচারপতি কল্যাণ রাই সুরানা, কাছাড় জেলা আয়ুক্ত, মৃদুল যাদব, সম-জেলা আয়ুক্ত, লক্ষীপুর, ধ্রুবজ্যোতি পাঠক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

এছাড়াও এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রায়, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, উত্তর শ্রীভূমির বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, ধলাইর বিধায়ক নীহার রঞ্জন দাস, পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল এবং রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker