Barak UpdatesHappeningsSportsBreaking News
ক্যাপ্টেন গুপ্ত ট্রফি : সেনাপতির বিপক্ষে দাপুটে জয় মহামেডানের
//দ্বিজেন্দ্রলাল দাস//
৭ নভেম্বর : আসরের প্রথম তিনদিনে দাপট ছিল মণিপুরের। ম্যাচ শেষ হাসি হেসেছিল মণিপুরের দলের খেলোয়াড়রাই। আজ বৃহস্পতিবার সেটা আর হলো না। কলকাতার মহামেডান এফসি-র কাছে হেরে গেল মণিপুরের সেনাপতি এফসি। ম্যাচের ফল ৩-১।
শিলচরের সতীন্দ্রমোহন দেব স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের বারবেলায় দাপট দেখাল মহামেডান স্পোর্টিং। তাদের দাপুটে জয়ে ‘অল মণিপুর ফাইনালের’ বিষয়টি ঝুলেই রইল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মহামেডান খেলবে আইজল এফসি-র বিপক্ষে। শনিবারের ম্যাচ ড্র হলেই ফাইনালে খেলার টিকিট আদায় করতে পারবে মহামেডান।
একসময় ভারতীয় ফুটবলে দাপট ছিল কলকাতার এই দলের। কলকাতার তিন প্রধানের একটি মহামেডান। এরপর কালের স্রোতে হারিয়ে যায় তাদের ফুটবল-গরিমা। সাম্প্রতিককালে তারা আবার ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। এক এক ধাপ অতিক্রম করে মহামেডান এখন আইএসএল-এর দল। এখন চলছে আইএসএল মরশুম। তাই শিলচরে প্রথম দল পাঠায়নি মহামেডান। দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে এলেও আজ ফুটবলটা বেশ ভালোই খেললেন কলকাতার দলের খেলোয়াড়রা। প্রথমার্ধের পর দাপট থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও।
ক্যাপ্টেন এন এম গুপ্ত ট্রফির প্রতিটি ম্যাচেই দর্শক সমাগম খারাপ হচ্ছে না। আজ কলকাতার দলের পাশাপাশি ছিল মণিপুর, ফলে দর্শকের সংখ্যা ছিল লক্ষ্য করার মতো। নিত্যদিনের ব্যস্ততার পরেও আজ বেশ কিছু সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। ফুটবল প্যাভিলিয়নে বসে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন ম্যাচের কিছু মুহূর্ত।
আজ খেলার প্রথম থেকে মহামেডান খেলার রাশ নিজেদের হাতে রাখার মরিয়া প্রয়াস চালায়। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বিপক্ষের শিবিরে। খেলোয়াড়দের গা গরম হবার আগেই এক গোল হজম করে বসে সেনাপতি। মহামেডানকে এগিয়ে দিলেন স্ট্রাইকার এস টপের মেইতেই। খেলার শুরুতে গোল পাওয়ায় বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকেন মহামেডানের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের সাত মিনিটে টপের মেইতেইর পাস থেকে ফল ডাবল করেন লেফট উইঙ্গার বামিয়া সামাদ। মহামেডান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। দুই গোলে এগনোর পরেও তাদের আক্রমণের ধার কমেনি। অন্যদিকে, সেনাপতি দুই গোল হজমের ধাক্কা সামলে লড়ার চেষ্টা করলেও প্রথম ম্যাচের ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না খেলোয়াড়রা। মহামেডান তাদের তৃতীয় গোল করে ২৭ মিনিটে। বল পেয়ে বিপক্ষের শিবিরে আক্রমণ হানেন টপের। বিপক্ষের খেলোয়াড়রা তাঁর গতি রোধ করার চেষ্টা করেন। নিজের কাছে বল না রেখে বাড়িয়ে দেন সামাদকে। বক্সের কাছাকাছি এসে সামাদ বল বাড়ালেন টপেরকে। ঠান্ডা মাথায় বল জালে রাখতে ভুল করেননি মহামেডানের এই স্ট্রাইকার। এরপর দুই দলের খেলোয়াড়রা গোলের সুযোগ পেলেও স্কোরলাইনে আর পরিবর্তন আসেনি। বিরতির সময় মহামেডানের পক্ষে ফল ছিল ৩-০।
প্রথমার্ধের খেলা যেখানে শেষ হয়েছিল, প্রায় সেখান থেকেই যেন শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। একের পর এক আক্রমণে এগোতে থাকে ম্যাচ। মহামেডান ব্যবধান বাড়ানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল খেলার ৬২ মিনিটে । জোশেফের মাধ্যমে সুন্দর আক্রমণ তৈরি হয়। গোলকিপারকে একা পেয়েও বল তুলে দিলেন তাঁর হাতে। আবার ৭৩ মিনিটে আক্রমণে গিয়েছিলেন সামাদ। তাঁর শট ফিরিয়ে দেন গোলকিপার হিচি আব্রাহাম। বল পেলেন পরিবর্ত খেলোয়াড় রেহান। তাঁর জোরালো শট চলে যায় গোলের বাইরে। সেনাপতি ব্যবধান কমায় ৮৭ মিনিটে। চিনাখোর সেন্টার থেকে হেডে গোল করেন থাওনগাও লু জেমস। আজ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেলেন টপের। তাঁর হাতে পুরস্কার ট্রফি ও নগদ অর্থ তুলে দিলেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও তাপস রায়।
আগামীকাল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি খেলবে লেনরোল এফসি-র সঙ্গে