India & World UpdatesHappeningsBreaking News
হরিয়ানার ফলাফল পর্যালোচনা করছে কংগ্রেস
ওয়েটুবরাক, ১০ অক্টোবর : হরিয়ানায় কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করলেন, “হরিয়ানায় অপ্রত্যাশিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখছি আমরা। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যে অভিযোগ পেয়েছি, তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। হরিয়ানার মানুষকে ধন্যবাদ তাঁদের সমর্থনের জন্য। ধন্যবাদ আমাদের কর্মীদের, যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন। অধিকারের জন্য, সত্যের জন্য লড়াই জারি থাকবে।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্ব হরিয়ানার জাঠ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার উপরে একটু বেশিই ভরসা রেখেছিল। তাতে অন্য নেতারা প্রচার থেকে অনেকটাই হাত গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এই সুযোগে অ-জাঠ ভোট নিজেদের ঝুলিতে টানতে মরিয়া প্রচার চালায় বিজেপি, যার সুফল তারা ভোটবাক্সে পেয়েছে।
জাঠ এবং অ-জাঠের মেরুকরণের পাশাপাশি কংগ্রেসের ময়নাতদন্তে উঠে আসছে প্রচারের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব এবং গাফিলতির প্রসঙ্গও। ঘরোয়া ভাবে একাধিক প্রার্থী বলছেন, তাঁদের কেন্দ্রে প্রচারের জন্য রাজ্য স্তরের বড় নেতাদের ধারাবাহিক উপস্থিতি ছিল না। প্রথমে স্থির হয়েছিল, প্রতিটি গ্রামের মহিলা নেত্রীদের বলা হবে মানুষের কাছে গিয়ে দলের ইস্তাহারে দেওয়া সাতটি গ্যারান্টির কথা বোঝাতে। এই একই সূত্রে ফল পাওয়া গিয়েছিল কর্নাটক এবং তেলেঙ্গনায়। কিন্তু হরিয়ানায় সে ভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতি মাসে একজন মহিলাকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া বা ২ লাখ যুবাকে সরকারি চাকরি দেওয়ার মতো জনমোহিনী গ্যারান্টিগুলিও ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস জয়ের প্রশ্নে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল যে, পরিশ্রম করার প্রয়োজন অনুভব করেননি নেতারা। কংগ্রেসের প্রচারের মুখ ছিল একটাই— দশ বছরের বিজেপি ‘অপশাসনকে’ সরিয়ে হুডাকে মুখ্যমন্ত্রী করা।