NE UpdatesHappeningsBreaking News
ভিএইচপি-র দক্ষিণ আসাম প্রান্ত সমিতি গঠিত, শান্তনু সভাপতি, সম্পাদক সমীর
ওয়েটুবরাক, ১৭মার্চ: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণ আসাম প্রান্ত সমিতি গঠিত হয়েছে। দিন কয়েক আগেই অযোধ্যায় কেন্দ্র বৈঠকে নবগঠিত প্রান্তের সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয় শান্তনু নায়েক ও সমীর দাসকে। প্রান্ত কার্যকরী সমিতি গঠনের জন্য শনি ও রবিবার দু-দিবসীয় প্রান্ত বৈঠক আয়োজিত হয় শ্রীগৌরী স্থিত মাধবধামে। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেত্র সংগঠন সচিব দীনেশ তেওয়ারি ও ক্ষেত্র ধর্ম প্রসার প্রমুখ পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল।
শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে এই বৈঠক সমাপ্ত হয় রবিবার দুপুর দুটোয়। দু-দিবসীয় বৈঠকে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন ক্ষেত্র সংগঠন সচিব তেওয়ারি। সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম লালা দর্শনে যাওয়া কর্মীরা তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন সভায়। বিগত দিনের কার্যবিবরণী তুলে ধরেন প্রান্তের কর্মকর্তারা। তাছাড়াও জেলা অনুযায়ী বৈঠকে মিলিত হন প্রান্ত কার্যকর্তারা। সংগঠনের আগামী দিনের বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয় এতে।
দুদিনের বৈঠকের মোট ছয়টি সত্র বা সেশন ছিল। অন্তিম সত্রে দক্ষিণ অসাম প্রান্তের প্রান্ত সমিতি ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন সভাপতি শান্তনু নায়েক, সহ সভাপতি দুজন বিজিত দেব ও পরেশ চন্দ্র পাল, সম্পাদক সমীর দাস, সহ সম্পাদক শ্যাম সুন্দর রবিদাস, সংগঠন সচিব দিলীপ দেব, কোষাধ্যক্ষ দেবব্রত পাল, বজরং দল সংযোজক প্রীতম দাস, সহ-সংযোজক সৌরভ দাস, মাতৃ শক্তি সংযোজিকা চন্দ্রা দাস, দুর্গা বাহিনী সংযোজিকা পাপিয়া ভট্টাচার্য, ধর্ম প্রসার প্রমুখ গোপীব্রত গোস্বামী, সহ ধর্ম প্রসার প্রমুখ পরেশ কুমার প্রজাপ্রত্যয়, সৎসঙ্গ প্রমুখ মনীন্দ্র কুমার দাস, সেবা প্রমুখ রতীশ দাস, গো-রক্ষা প্রমুখ পঙ্কজ শ্যাম, সামাজিক সমরসতা প্রমুখ শৈলেন্দ্র চন্দ্র দাস, ধর্মাচার্য প্রমুখ স্বামী বিজ্ঞানন্দ মহারাজ, বিশেষ সম্পর্ক প্রমুখ প্রদীপ গোস্বামী, মন্দির অর্চক পুরোহিত প্রমুখ বিভাস চন্দ্র চক্রবর্তী, সহকারী দ্বিজেন্দ্র কান্তি দেব, প্রান্ত প্রচার প্রসার প্রমুখ শমীন্দ্র পাল, সহ প্রচার প্রসার প্রমুখ সুজয় শ্যাম, সোশ্যাল মিডিয়া প্রমুখ মহেশ ভট্টাচার্য, সহ সোশ্যাল মিডিয়া প্রমুখ মৈনাক দেব, বিধি প্রকোষ্ঠ প্রমুখ দিলীপ দাস, প্রান্তীয় ট্রাস্টি প্রদীপ কুমার বণিক। তাছাড়াও রয়েছেন আরও ছয়জন প্রান্ত কার্যকরী সদস্য। তারা হলেন, যথাক্রমে সৌমিত্র বিশ্বাস, বিজন বিহারী ঘোষ, রজতমণি থাউসেন, গোপাল ভট্টাচার্য, মিজোরামের উদয় কুমার, মনু কুমার সুবেদি। এদিন প্রান্তের অধীন দশটি জেলার মধ্যে ৭টি জেলার সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে পশ্চিম কাছাড় জেলা সভাপতি বিধুভূষন দেব ও সম্পাদক জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস। দক্ষিণ কাছাড় জেলার সভাপতি হিল্লোল দে ও সম্পাদক পিংকু রুদ্রপাল। লক্ষীপুর জেলার সভাপতি চন্দ্রমোহন রাজবংশী এবং সম্পাদক মুরারী দেবনাথ। হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি গৌতম ঘোষ এবং সম্পাদক লক্ষীনিবাস কালোয়ার। ডিমা হাসাও জেলার সভাপতি অনিল দাওলাগপু ও সম্পাদক রাহুল পরবাসা এবং উম্রাংশু জেলার সভাপতি হিসাবে সুদর্শন জুহুরীর নাম ঘোষণা করা হয়। মধ্য কাছাড় (শিলচর) ও শ্রীভূমি (করিমগঞ্জ) জেলায় এখন পূর্বের কমিটিই বহাল থাকছে। দিন কয়েক পরে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। মিজোরাম জেলা কমিটিও এদিন ঘোষণা করা হয়নি। এদিন শিলচর বিভাগ সম্পাদক হিসেবে মিঠুন নাথ ও বজরং দল বিভাগ সংযোজক হিসেবে অমলেন্দু দাসের নাম ঘোষণা করা হয়। কর্মকুঞ্জ বিভাগের বিশ্বজিৎ বণিককে দায়িত্ব মুক্ত করা হয়। হাফলং বিভাগে বিভাগ সংগঠন সচিব হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয় বিক্রম সিংকে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তের অন্তর্গত ছিল বরাক উপত্যকার তিন জেলা সহ ডিমা হাসাও, ত্রিপুরা, মণিপুর এবং মিজোরাম রাজ্য। তবে মণিপুর ও ত্রিপুরাতে পরিষদের কাজ বেড়ে যাওয়াতে সম্প্রতি ত্রিপুরা ও মণিপুরকে পৃথক প্রান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত নাম বদল করে এই প্রান্তের নামকরণ করা হয় দক্ষিণ আসাম প্রান্ত। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি প্রান্ত গঠন করা হয়েছে। ফলে সমগ্র দেশে পূর্বে ৪৫ টি প্রান্ত ছিল, যা এখন বেড়ে ৪৮টি প্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণ আসাম প্রান্তের প্রচার ও প্রসার প্রমুখ শমীন্দ্র পাল এক প্রেসবার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।